Travel: চিকেন ফুচকা খেয়েছেন কখনও? শীতের ছুটি পড়ল বলে, বেড়িয়ে আসুন ফুচকা গ্রাম থেকে
Travel: চিকেন ফুচকা খেয়েছেন কখনও? শীতের ছুটি পড়ল বলে, বেড়িয়ে আসুন ফুচকা গ্রাম থেকে
শীতের আমেজ গায়ে মেখে টক-ঝাল ফুচকা খাওয়ার মজাই আলাদা। এই শীতের দুপুরে কলকাতার কাছে পিঠে বেড়িয়ে আসার মোক্ষম ঠিকানা হতে পারে ফুচকা গ্রাম। নাম শুনে আর বোঝার অপেক্ষা রাখে না। এই গামে ঘরে ঘরে তৈরি হয় ফুচকা। নানা স্বাদের, রকমারি ফুচকা তৈরি হয় এখানে।
ফুচকা গ্রাম
ফুচকা খেতে কে না ভালোবাসেন। জল ফুচকা, দই ফুচকা, চাট ফুচকা, মিঠা পানি ফুচকা কোন ফুচকা খাবেন। স্বাদের জুড়ি মেলেনা ফুচকার। প্রায় গোটা দেশেই পাওয়া যায় ফুচকা। কোথাও গোলগাপ্পা তো কোথাও পানিপুরী আবার কোথাও ফুচকা। নাম আলাদা হলেও স্বাদ আদলে একরকমই। জানেন কি আমাদের রাজ্যেই রয়েছে ফুচকা গ্রাম। কলকাতা থেকে দূরত্ব খুব বেশি নয়। সকালে গিয়ে বিকেলে বাড়ি ফিরে আসা যায়। শীতের ছুটিতে নরম রোদ গায়ে মেখে বাড়ির ছোটদের সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়ে আসুন এই ফুচকা গ্রাম থেকে।
কোথায় রয়েছে এই ফুচকা গ্রাম
নদিয়া জেলার কাঁচড়াপাড়ার কাছে রয়েছে এই ফুচকা গ্রাম। এখানে প্রায় ৫০০ পরিবারের পেশা ফুচকা তৈরি করা। গোটা রাজ্যে এখানে তৈরি ফুচকা সরবরাহ হয়। অর্ডারেও তৈরি হয় ফুচকা। বাড়ির মেয়ে বউরাও হাতে হাতে তৈরি করে ফেলেছেন ফুচকা। ভোর থেকে উঠতে বাড়ির সকলেই লেগে পড়েন ফুচকা তৈরি করতে। আটা, সুজি আবার খাবার শোডা মিশিয়ে তৈরি করা হয় ফুচকার আটা। তারপরে লেচি কেটে ছোট ছোট লুচির মত বেলে সেগুলি কিছুক্ষণ শুকোতে দেওয়া হয়। তারপরে ছাঁকা তেলে ভেেজ দেওয়া হয় ফুচকা। গ্রামের প্রতিটি বাড়ির সামনেই রয়েছে ফুচকা তৈরির গাড়ি। সন্ধে থেকে তারা সকলেই বেরিয়ে পড়েন বাড়ির তৈরি ফুচকা বিক্রিতে।
কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে শান্তিপুর লোকাল, কৃষ্ণনগর লোকাল, রানাঘাট লোকালে করে যেতে হবে কাঁচড়াপাড়া স্টেশনে। সেখান থেকে টোটোয় করে সোজা ফুচকা গ্রাম। আসল নাম তার শহিদ পল্লি। সেখানে যেতে মাত্র ৩০ টাকা ভাড়া লাগবে টোটোয়। গ্রামে ঢুকলেউ বুঝতে পারবেন কেন এই গ্রামকে ফুচকা গ্রাম বলা হয়। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই গ্রােম তৈরি হচ্ছে ফুচকা। এখানকার অন্যতম স্বাদের একটি ফুচকা হল চিকেন ফুচকা। এখানে দুপুর থেকেই ফুচকা বিক্রি শুরু হয়ে যায়। ১০ টাকায় ১২টা ফুচকাও বিক্রি হয় এখানে। কলকাতায় যেটা ভাবাই যায় না।
ফুচকাগ্রামের আর কি দেখার আছে
ফুচকা গ্রামের কাছেই রয়েছে গঙ্গা। গ্রামের রানমনি ঘাট থেকে নৌকায় গঙ্গা ভ্রমণও করে আসতে পারেন। সেখানে বেশ কিছুক্ষ কাটিয়ে চলে আসুন কালী মন্দিরে। সেখান কল্পতরু উৎসব বড় করে উদযাপন করা হয়। প্রতিবছর ১৭ জানুয়ারি এই গ্রামে বসে সাঁওতালি মেলা। মন্দিরে ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রতিদিন এখানে ভোগ দেওয়া হয়। ঘুরতে ঘুরতে এখানে ভোগ দিয়ে খেয়েও নিতে পারেন।
বড়দিনের ছুটিতে এশিয়ার এই অফবিট দ্বীপগুলিতে ঘুরে আসুন