শহুরে এক ঘেয়েমি কাটাতে ঘুরে আসুন বাজনাগুড়ি , সুবর্ণরেখার স্রোতে ভাসিয়ে দিন মন
শহুরে এক ঘেয়েমি কাটাতে ঘুরে আসুন বাজনাগুড়ি , সুবর্ণরেখার স্রোতে ভাসিয়ে দিন মন
ঝাড়গ্রাম অনেকেই বেড়িয়ে এসেছেন। কিন্তু বাজনাগুড়ি খুব কমই লোক গিয়েছেন। ঝাড়গ্রামের একটা অজানা স্পট বাজনাগুড়ি। সুবর্ণরেখার পাড়ে বাজনাগুড়ি। ফাগুনের রঙে ঝাড়গ্রাম আরও মনোরম হয়ে ওঠে। সেই মনোরম আবহাওয়াতেই ঘুরে আসুন ঝাড়গ্রামের বাজনাগুড়ি।
সুবর্ণরেখার পাড়ে বাজনাগুড়ি
ঝাড়গ্রামের মধ্যেই রয়েছে বাজনা গুড়ি। ঝাড়গ্রামের বন্য সৌন্দর্যের মাঝে এ এক বিরল জায়গা। সুবর্ণরেখা নদীর পাড়েই রয়েছে বাজনাগুড়ি। মনোরম তার পরিবেশ। এখানকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে এই বাজনাগুড়ি ছিল নীলকুঠি সাহেবদের কুঠি। তারসঙ্গে সুবর্ণ রেখার মনোরম আবহাওয়ার। সোনালি বালির চর। সুবর্ণরেখার উপরে ছোট্ট সেতু। এক মনোরম পরিবেশের তৈরি করে।
কোথায় কোথায় ঘুরবেন
ঝাড়গ্রাম থেকে মাত্র ৩৬ কিলোমিটার দূরে বাজনাগুড়ি। ছোট্ট গ্রাম। সেই গ্রামের মাঝখান দিয়ে বসে চলেছে সুবর্ণরেখা নদী। ব্রিটিশ আমলেন নীলকুঠি সাহেবদের কুঠি রয়েছে সেখানে। সুবর্ণ রেখা নদীর এখানকার মূল আকর্ষণ। নদীর পাড়ে রয়েছে বহু পুরনো বট গাছ। তাঁর শিঁকড় চারপাশ দিয়ে গড়ে পড়েছে। দেখলেই কেমন একটা সিনেমার চালচিত্র বলে মনে হবে। ইচ্ছে করলে নদীতে ঘুরে বেড়াতেও পারেন। তার জন্য নৌকা ভাড়া পাওয়া যায়। সুবর্ণ রেখার পাড়ে সূর্যাস্ত মন ভরিয়ে দেবে।
ডুলুং নদীর পাড়ে
শুধু সুবর্ণ রেখা নয় বাজনাগুড়ির কাছে রয়েছে ডুলুং নদীও। বাজডনাগুড়ির তাপসিয়া মোড় থেকে ৪ কিলোমিটার গেলেই দেখা মিলবে ডুলুং নদীর। এই ডুলুং নদীর ধারেই রয়েছে বেলিয়াবেড়া। নদীর উপরে আছে ওয়েদার ব্রিজ। সেখান দিয়ে গাড়ি নিয়ে যেতে অসাধারণ লাগবে। ডুলুং নদীর এঁকে বেঁকে চলে গিয়েছে। সেই বাক বরাবর চলে গেলে অসাধারণ লাগে নদীকে দেখতে।
কীভাবে যাবেন
বাজনাগুড়ি যেতে হলে খড়গপুর স্টেশনে নামতে হবে। আর গাড়িতে গেলে খড়গপুর রোড হয়ে চৌরঙ্গী মোড়ে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সোজা চলে গেলে পড়বে বালি ভাসা টোলপ্লাজা। সেখান থেকে এগিয়ে গেলে লোধাশুলি হয়ে পড়বে ফোকর মোড়। সেই মোড়ের বাঁ দিক দিয়ে গেলেই পড়বে রানতুয়া মোড়। সেখান থেকে একটি প্রাচীণ বটগাছ আছে। তার পাশ দিয়ে ২০০ মিটার গেলেই পড়বে বাজনাগুড়ি। সেখানে থাকারও একাধিক জায়গা রয়েছে।