অক্টোবরেই সবচেয়ে ভালো ঘুরতে পারেন এই জায়গাগুলিতে, প্ল্যান করুন দিওয়ালিতেই
পুজোর সময়ে অনেক বাঙালিই নিজের বাড়ি ছেড়ে যেতে চান না। কেউ নিজের বাড়িতে তো কেউ পাড়ার পুজোয় মেতে থাকেন। এই সময়ে বেশ কিছুদিন ছুটি পাওয়া গেলেও পুরো সময়টাই বাঙালি দুর্গাপুজোতেই দিয়ে দেয়। তবে পুজোর পর সেই উৎসবের আমেজে ভাটা পড়লেও উৎসবের মরশুম তিন্তু শেষ হচ্ছে না। এখনও গরম আবহাওয়া রয়েছে। কালীপুজো না গেলে তা দূর হবে না। এই সময়ের মাঝে চাইলে কোথাও প্ল্যান করে ঘুরে আসতেই পারেন। ভারতের নানা প্রান্ত আপনাকে দু'হাত তুলে স্বাগত জানাতে তৈরি। কোথায় যেতে পারে এই সময়ে জেনে নিন একনজরে।

আউলি
উত্তরাখণ্ডের এই জায়গাটি গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটানোর পক্ষে একেবারে আদর্শ হলেও শীতের আগেও এখানে মনোরম পরিবেশে ট্রেকিং সহ একাধিক অ্যাক্টিভিটি করতে পারবেন আপনি।

সিমলা
হিমাচল প্রদেশের সিমলা ব্রিটিশ ভারতে দেশের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসাবে বিবেচিত হত। এখনও হিমাচল প্রদেশ বলতে অনেকেই শুধু সিমলা ঘুরেই চলে আসেন। এখানকার আবহাওয়া সারাবছরই মনোরম থাকে। দিওয়ালির আগে ও পরে প্ল্যান করতেই পারেন।

মুসৌরি
উত্তরাখণ্ডে দেরাদুন থেকে মাত্র ২৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হল মুসৌরি। গারওয়াল হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই শৈল শহর ঘন সবুজে ঘেরা। এই এলাকাকে 'কুইন অব হিলস' বলেও ডাকা হয়।

মানালি
হিমাচলপ্রদেশে নদী উপত্যকার পাশে পাহাড়ে ঘেরা শৈল শহর হল মানালি। উত্তর ভারতের অন্যতম সেরা পর্যটনস্থল এই মানালি। এই জায়গাটিকে বলা হল 'দ্য ভ্যালি অব গড' বা দেবতাদের স্থল। এই সময়ে এখানে আবহাওয়া মনোরম থাকে।

মুন্নার
কেরলকে বলা হয় 'গডস ওউন কান্ট্রি'। এখানকার মুন্নারের চা বাগানে ঘেরা পরিবেশে কয়েকদিন কাটালেই মন ভালো হয়ে যাবে সন্দেহ নেই। বিস্তৃত এলাকায় চা বাগানের সৌন্দর্য, মনোরম পরিবেশ আপনাকে মোহিত করবে। কেরলের সবচেয়ে সুন্দর জায়গাগুলির একটি এটি।

কুর্গ
কর্ণাটকের আর একটি জায়গা হল কুর্গ। স্কটিশ উচ্চ পার্বত্য এলাকার সঙ্গে এর তুলনা টানা হয়। এখানকার কফি বাগানে দেশের সেরা কফি তৈরি হয়। এই জায়গাকে ভারতের স্কটল্যান্ড নামেও ডাকা হয়। ফলে স্কটল্যান্ডে না যেতে পারলে কুর্গে ঘুরে আসতে পারেন। বর্ষার পরে দিওয়ালির সময়ে এখানে এলে দারুণ আবহাওয়া পাবেন।

লাক্ষাদ্বীপ
ফিজি দ্বীপপুঞ্জে যেতে যদি না পারেন তাহলে ভারতের লাক্ষাদ্বীপে ঘুরে আসতে পারেন। বিদেশের সমুদ্র সৈকতগুলির চেয়ে সৌন্দর্যে কোনও অংশে কম নয় এটি। কেরল উপকূল থেকে কিছুটা দূরে মাঝসমুদ্রে এই এলাকাটি অবস্থিত। সুদৃশ্য বিচ আর সমুদ্র ভালোবাসলে এখানে যেতেই পারেন।

আথিরাপল্লী
জলপ্রপাত ভারতের নায়াগ্রা নামে পরিচিত আথিরাপল্লী জলপ্রপাত। চারিদিকে সুবজের মধ্যে ৩৩০ ফুট উচ্চতা থেকে জলরাশি নেমে আসছে মাটিতে। মনমুগ্ধকর এই দৃশ্য আপনি দেখতে পাবেন কেরলে গেলেই। এখানকার থিসার জেলায় জলপ্রপাতটি অবস্থিত।

গোয়া
পুজোর সময়ে বহু মানুষ গোয়ায় ঘুরতে যান। দিওয়ালির সময়ও বেশ ভিড় থাকে। সময় কাটানোর আদর্শ জায়গা হল গোয়া। এখানকার একেরপর এক আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকতে সঙ্গীকে নিয়েও যেমন আসতে পারেন, তেমনই পরিবার নিয়ে এলেও মজা কোনওমতেই কমবে না।

উদয়পুর
রাজস্থানের উদয়পুর এক অনন্য জায়গা। ফেব্রুয়ারিতে অল্প শীতে এখানে ঘুরে বিশেষ উপভোগ করা সম্ভব। তবে শীত শুরু আগে অক্টোবর নভেম্বরেও দারুণ ঘোরা যায়। পরিবার নিয়ে প্ল্যান করে ঘুরে আসতেই পারেন।

পাটনিটপ
কাশ্মীর উপত্যকার অসাধারণ রূপ এখান থেকে দারুণ ভালো দেখা যায়। উধমপুর ও শ্রীনগরের মাঝে অবস্থিত এই জায়গাটি উপত্যকার অন্যতম সেরা হিল স্টেশন হিসাবে পরিচিত। দিল্লি থেকে ছোট্ট ট্রিপে কয়েকদিন কাটিয়ে এলে দারুণ লাগবে।

কালিম্পং
এবার আসা যাক আমাদের রাজ্যের কথায়। রাজ্যের উত্তরে কালিম্পং জায়গাটিও কিন্তু এই সময়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আদর্শ। চাইলে দার্জিলিংও অনেকে যান, তবে ওখানে এই সময়ে বেশ ঠান্ডা পড়ে যায়। তা সহ্য করতে পারলে, উত্তরবঙ্গের কোনও জায়গাই ফেলনা নয়।

দার্জিলিং
সব বাঙালিই একবার না একবার জীবনে দার্জিলিং ঘুরতে যায়। আর যতদিন না যায়, যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। কাঞ্চনজঙ্ঘা, চিড়িয়াখানা, চা বাগান, টয় ট্রেন, ঘুম স্টেশন, টাইগার হিলে সূর্যোদয় এসবই এক অনন্য অভিজ্ঞতা।