শীতের দুপুরে মিঠে রোদ গায়ে মেখে ঘুরে আসুন টোটোপাড়ায়
শীতের দুপুরে মিঠে রোদ গায়ে মেখে ঘুরে আসুন টোটোপাড়ায়
পাহাড়, জঙ্গলে ঘেরা ডুয়ার্সের মাঝেই রয়েছে এক অজানা জায়গা টোটোপাড়া। ছোট্ট একটা গ্রাম। যাকে টোটোপাড়া নামেই জানে সকলে। একদিকে ভুটান সীমান্ত অন্যদিকে ডুয়ার্সের জঙ্গল তার মাঝেই রয়েছে মনোরম পরিবেশের টোটোপাড়া। বিশ্বের একমাত্র টোটো উপজাতির বাস এখানে। এখানেই গড়ে উঠেছে জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
ডুয়ার্স মানেই সকলে জানেন জলদাপাড়া গরুমারা, চিলাপাতার জঙ্গলকে। আর জানেন বক্সা, চা বাগানকে। কিন্তু এই জঙ্গল আর পাহারে ঘেরা ডুয়ার্সের মাঝেই রয়েছে টোটো পাড়া। ভুটান সীমান্তের কাছে এশিয়ার একমাত্র টোটো জনজাতির বাস এই টোটোপাড়ায়। অনেকেই জলদা পাড়া ঘুরতে আসেন কিন্তু টোটোপাড়ার কথা জানেন না। কিন্তু এই টোটো পাড়া যাঁরা যাননি তাঁরা বড় কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
আলিপুরদুয়ার
জেলার
মাদারিহাট
থানার
মধ্যে
পড়ে
এই
টোটোপাড়া।
জলদাপাড়া
ঘোরা
শেষ
করে
অনায়াসে
ঘোরা
যায়
টোটো
পাড়া।
মাদারিহাট
থেকে
২০
কিলোমিটার
দূরে।
২১
নম্বর
জাতীয়
সড়কের
পাশেই
রয়েছে
এটি।
এই
গ্রাম
ছাড়া
আর
কোথাও
বিশ্বে
টোটো
উপজাতির
দেখা
মেলে
না।
টোটো
পাড়া
যাওয়ার
রাস্তাটিও
ভীষণ
সুন্দরষ
দুপাশে
পড়বে
চা
বাগান।
তবে
এই
টোটো
পাড়া
বর্ষাকালে
যাওয়া
যায়
না।
কারণ
কাউড়ি
নদীর
উপর
কোনও
সেতু
না
থাকায়
বর্ষাকালে
যোগাযোগ
বিচ্ছিন্ন
হয়ে
পড়ে
টোটোপাড়া।
টোটোপাড়ায় রয়েছে ছোট্ট একটা বাজার। হাউলি নদীর ঘিরেও রয়েছে পর্যটন স্থল। সেখানে ডলমাইট ও লাইমস্টোন পাওয়া যায়। ভুটান পাহাড়ের কাছেই রয়েছে ডলোমাইট। সেখানে ডলোমাইট সংগ্রহ করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। সেটাই তাদের জীবীকা। সেখানেই রয়েছে টোটো জনজাতির বাস। ছোট ছোট টিনের ঘরে তাঁদের বাস। ভুটানিদের সঙ্গে তাঁদের ভাষার বেশ মিল রয়েছে। পর্যটকরা মূলত টোটো পাড়া বাজারেই যান। জঙ্গলের মধ্যে বাঁশ এবং টিনের ছোট ছোট ঘর করে থাকেন তাঁরা।
টোটোপাড়ায় তেমন থাকার কোনও বন্দোবস্ত নেই। সকালে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসা যায় এই মাত্র। স্থানীয় বাজারে খাবারদাবার পাওয়া যায়। রয়েছে ছোটখাট হোটেল। সেখানে দোকানদাররা আবার বেশিরভাগই নেপালি। টোটো জনজাতিরা প্রায় ১৮০০ জন রয়েছে। এদের মূল পেশা শিকার করা। জঙ্গল থেকেই খাবার সংগ্রহ করে থাকেন তাঁরা। বর্ষাকালে দোকান বন্ধ থাকে কারণ প্রায় ২ মাস হাউলি নদীর জলে প্লাবিত হয়ে যায় গোটা এলাকা। কাজেই টোটো পাড়ায় এলে মন্দ কাটবে না একটা দিন।সেই সঙ্গে এই টোটো উপজাতিদের সম্পর্কে জানার সুযোগ পাওয়া যাবে।