'ব্যাগপ্যাক' রেডি তো? নতুন বছরে যেতেই হবে ভারতের এইসব স্বপ্নের 'টুরিস্ট ডেস্টিনেশনে'
কথাতেই বলে বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। করোনাকালে ভ্রমণ পিপাসুদের পায়ের টানে ছেদ পড়লেও ধীরে ধীরে আবার চাঙ্গা হয়ে উঠছে মন। তাই বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা আর দমিয়ে রাখতে পারছেননা ভ্রমণ প্রিয় রা। আর আসছে নতুন বছর, সেই উপলক্ষে ইতিমধ্যেই ব্যাগ প্যাক গুছিয়ে নিতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। বেড়াতে যেতে যারা ভালোবাসেন তাঁদের জন্য প্রকৃতির রূপের ডালি সাজিয়ে রেখেছে আমাদের সুন্দর দেশ ভারত বর্ষ। এক নিজরে দেখে নেওয়া যাক নতুন বছরে ভারতের কোন কোন স্বপ্নের জায়গা হতে পারে বেস্ট টুরিস্ট ডেস্টিনেশন।

গোয়া
আরব সাগরের ধারে এটি হল ভারতের অন্যতম প্রধান পর্যটন ক্ষেত্র। বিশেষত গোয়ার বিচ আর সমুদ্রের গাঢ় নীল রঙ বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দু প্রতিটি পর্যটকদের কাছে। এখানকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান গুলির মধ্যে রয়েছে 'ব্যাসিলিকা অফ ব্যোম জিসাস'। শতাব্দী প্রাচীন এই গির্জা বলা হয় পর্তুগিজদের দ্বারা গোঁড়াপত্তন করা হয়েছিল। এছাড়াও অবশ্যই রয়েছে নানা রকমের মাছ আর কুইজিন।

গুলমার্গ, জম্মু ও কাশ্মীর
'ভূস্বর্গ' নামের সম্পূর্ণ মর্যাদা রেখে কাশ্মীরের গুলমার্গ হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র। 'গুলমার্গ' নামের অর্থ ফুলের রাস্তা। চোখ ধাঁধানো নানা রঙের টিউলিপের সারি থেকেই হয়ত এই স্থানের এই নাম রাখা হয়েছে। গুলমার্গের রূপের বর্ণনা কোনও শব্দ বা লেখার দ্বারা করা সম্ভব নয়। তাই প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে হলে জম্মু ও কাশ্মীরের এই ছোট্ট শহরে আসতেই হবে নতুন বছরে।

মানালি, হিমাচল প্রদেশ
দিগন্ত বিস্তৃত হিমালয় তার শাশ্বত তুষারসাদা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। যেন ভারত মাতার মাথায় হীরের মুকুটের মত তার শোভা। আর হিমালয়ের রূপে মুগ্ধ হতে গেলে অবশ্যই আসতে হবে পাহাড়ের সুন্দরী মানালিতে। হিমাচল প্রদেশের এই শহর পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। সিমলা থেকে মানালি আর রোটাং পাস না দেখলে যে ভারতের কিছুই দেখা হয় না তা বলা বাহুল্য।

গ্যাংটিক, সিকিম
বাঙালির চিরাচরিত দিঘা, পুরি, দার্জিলিং-এর তালিকায় নবতম সংযুক্তি গ্যাংটক। প্যাগোডা আর লামাদের শহর হয়ে উঠেছে পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম স্থান। সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক একমাত্র এমন জায়গা যেখানে রেলপথ নেই। কিন্তু পাহাড়ের গায়ে লাচেন, লাচুং-এর সৌন্দর্য আর গরম দার্জিলিং চায়ের স্বাদ নিতে পর্যটকদের অবশ্যই আসতে হবে এখানে।

পুদুচেরি
দক্ষিণ ভারতের রানি বলা হয় এই শহরকে। এটি ভারতের চতুর্থ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এই শহর ভারতে অন্যতম ফরাসি উপনিবেশ ছিল। কিন্তু এই শহরের প্রতিটি ইমারত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। গোথিক স্টাইলের শতাব্দী প্রাচীন স্থাপত্য নিঃসন্দেহে পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

উটি, তামিলনাড়ু
দুচোখ ভরে পাহাড়ি উপত্যকা আর ঘাসের সবুজ গালিচা যদি দেখতে চান তাহলে অবশ্যই আসতে হবে তামিলনাড়ুর উদাগামণ্ডলম জেলায়। যার প্রচলিত নাম উটি। এমারেল্ড হ্রদ, দোদাবেতা চূড়া, কালহাট্টি জলপ্রপাত, মুদুমালাই জাতীয় উদ্যান, নিডল রক ভিউ পয়েন্ট ইত্যাদি জায়গা থেকে ফিরে যেতে ইচ্ছা করবেনা সহজে। তাই নতুন বছরের হলিডে ডেস্টিনেশন অনায়াসে বানানো যায় নীলগিরির এই শৈল শহরকে।

উদয়পুর, রাজস্থান
রানাদের মাটি রাজস্থান দেশ তথা বিদেশের পর্যটকদের জন্য ভারতের সেরা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। একদিকে আরাবল্লি পর্বতের সবুজ বন, অন্যদিকে 'থর' মরুভূমির আগুন ঝোড়ানো বালি, একই অঙ্গে এত রূপ বোধহয় এই পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। তাই রাজস্থানে এলে অবশ্যই আসতে হবে রাজার শহর উদয়পুরে। আগে এটি চিত্তরের অংশ থাকলেও পরবর্তীতে মহারানা প্রতাপের পিতা 'রানা উদয় সিং' এর নাম অনুসারে এই জেলার নামকরণ করা হয়।