অসমের অজানা সম্পদ সোনাই রূপাই পর্যটকদের হাতছানি দেয়
অসমের অজানা সম্পদ সোনাই রূপাই পর্যটকদের হাতছানি দেয়
অসম মানেই কেবল ব্রহ্মপুত্র, কাজিরাঙা ও মাজুলি, এমন ধারণা নিয়ে যাদের জগৎ, তাঁদের ভাবনার অভিমুখ পরিবর্তন প্রয়োজন। কারণ সুন্দরী অসমকে সীমিত কিছু স্থানে বেঁধে রাখার অর্থই অবিচার করা। উত্তর পূর্ব ভারতের এই রাজ্য যে কত অজনা সম্পদের বাসভূমি, তা জানেনই না অনেকে। সেই স্থানগুলিরই অন্যতম সোনাই রূপাই বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। সৌন্দর্য্য যেখানে ডালা সাজিয়ে পর্যটকদের অপেক্ষায়।
অবস্থিতি
২২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সোনাই রূপাই বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য অসমের সোনিতপুর জেলার তেজপুরের হৃদপীণ্ড। বনের পশ্চিমে রাওতা সংরক্ষিত বনভূমি হিমালয়ের পাদদেশের অপরূপ শোভা বর্ধনে সিদ্ধহস্ত। তেজপুর শহর থেকে ৫২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই অভয়ারণ্য প্রাকৃতিক সম্পদ ও প্রাণীর ভাণ্ডার।
কীভাবে পৌঁছবেন
সোনাই রূপাই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য থেকে গুয়াহাটির দূরত্ব ১৯৩ কিলোমিটার। ফলে অনেকে সেখান থেকে সড়কপথে এই প্রাকৃতিক উদ্যানে পৌঁছে যান। অনেকে আবার তেজপুরে এক রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে সোনাই রূপাই অভয়াণ্যের দিকে রওনা হন। তেজপুরের সালোনি বিমানবন্দর থেকে এই অভয়ারণ্যের দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার। এই স্থানের নিকটবর্তী রেল স্টেশন রাঙাপাড়া। যেখান থেকে সোনাই রূপাই অভয়ারণ্যের দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার।
ইতিহাস
নব্বইয়ের দশকে বনটি সংরক্ষণ করে অসম সরকার। ১৯৯৮ সালে এটিকে অভয়ারণ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়। জীব এবং প্রাকৃতিক বৈচিত্রই এই স্থানের মূল আকর্ষণ। পুরো বন ঘুরতে দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি সময় লাগার কথা নয়। কেউ অসম ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে তেজপুরের এই বন সূচিতে রাখাই যায়।
কী কী দেখবেন
১) স্তন্যপায়ী - বাংলার বাঘ, বন্য বিড়াল, হাতি, বন্য শুকর, ভাল্লুক, বানর, হরিণ।
২) সরীসৃপ - পাইথন, রাসেলস ভাইপার।
৩) পাখি - হাঁস, হর্নবিল, পেলিকান।
৪) নানা প্রজাতির বৃক্ষ এই স্থানের অন্যতম আকর্ষণ।
কোথায় থাকবেন
সুন্দর এই জঙ্গলে পৌঁছতে পর্যটকরা তেজপুরের বন দফতরের ইন্সপেকশন বাংলোতে থাকতে পারেন। এর জন্য ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তাজপুরে পর্যটকদের থাকার জন্য হোটেলের ব্যবস্থাও রয়েছে।