রাজস্থান থেকে গুজরাত, কেরল থেকে কর্নাটক : ২০২১-এর সেরা ভ্রমণের ঠিকানায় নজর রাখা যাক
রাজস্থান থেকে গুজরাত, কেরল থেকে কর্নাটক : ২০২১-এর সেরা ভ্রমণের ঠিকানায় নজর রাখা যাক
অতিমারীতে জর্জরিত ২০২০ প্রায় শেষ। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক সঙ্গে নিয়েই ২০২১ সালে প্রবেশ করতে চলেছে বিশ্ববাসী। মনেপ্রাণে কী হয়, কী হয় ভাবনা। তা বলে ভ্রমণের মতো সুখানুভূতি থেকে বঞ্চিত হওয়া কি সম্ভব! তাই তো বাঙালি মন ছুটে যেতে চায় সাগর, মরুভূমি, পাহাড়। সেই আবেগে ভেসে দেখে নেওয়া যাক ২০২১ সালের সেরা ভ্রমণের ঠিকানা কোন কোন স্থান হতে পারে।অতিমারীতে জর্জরিত ২০২০ প্রায় শেষ। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক সঙ্গে নিয়েই ২০২১ সালে প্রবেশ করতে চলেছে বিশ্ববাসী। মনেপ্রাণে কী হয়, কী হয় ভাবনা। তা বলে ভ্রমণের মতো সুখানুভূতি থেকে বঞ্চিত হওয়া কি সম্ভব! তাই তো বাঙালি মন ছুটে যেতে চায় সাগর, মরুভূমি, পাহাড়। সেই আবেগে ভেসে দেখে নেওয়া যাক ২০২১ সালের সেরা ভ্রমণের ঠিকানা কোন কোন স্থান হতে পারে।
গুজরাত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজভূম গুজরাতে পর্যটকদের আনাগোনা নিত্যদিন বেড়েই চলেছে। রাজধানী গান্ধীনগর, আহমেদাবাদ, মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিধন্য সবরমতী আশ্রম তো বটেই, সেই সঙ্গে এই রাজ্যের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে নানা দর্শনীয় স্থান। পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া মরুভূমিতে মোড়া কচ্ছের রন, সিংহের বাড়ি গির অভয়ারণ্য, সোমনাথ মন্দির, ভদোদরা রাজগৃহ, সৌরাষ্ট্রের দ্বারকা, জুনাগড় মন্দির, পাহাড়ে মোড়া সাপুত্র, মহাত্মা গান্ধীর জন্মভূমি পোরবন্দর, সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের সুবিশাল মূর্তি গুজরাতের প্রধান আকর্ষণ। গোটা রাজ্য ভ্রমণে লেগে যেতে পারে দশ থেকে ১২ দিন।
রাজস্থান
মরুভূমিতে মোড়া রুক্ষ, শুষ্ক রাজস্থান ভারতের অন্যতম সুন্দর ভ্রমণমূলক স্থান। এ রাজ্য ভ্রমণে কমপক্ষে ১৫ দিন হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে। বালি ও পাথর দিয়ে তৈরি হওয়া ছোট-বড় পাহাড়, রাজপুত, মোঘলদের স্মৃতি দিয়ে মোড়া সুবিশাল দুর্গ, প্রাসাদ রাজস্থানের মুখ্য আকর্ষণ। জয়পুর, উদয়পুর, জয়সলমীর, যোধপুর, আজমের, বিকানের, চিতোর গড়ের দুর্গ দেখে মুগ্ধ হন পর্যটকরা। মাউন্ট আবু, পুষ্কর হ্রদ, রণথম্বরের বণ্যপ্রাণ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বিস্মরকর।
ওড়িশা
বহু ইতিহাস ও প্রাচু্র্য বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ওড়িশা ২০২১-এ ছিমছিম ভ্রমণের অন্যতম ঠিকানা হতে পারে। দিগন্ত বিস্তৃত সমুদ্র, বালুকাবেলা এ রাজ্যের অন্যতম আকর্ষণ। তারই পাশে পুরীর আঙিনায় জগন্নাথ মন্দির দেশের অন্যতম ভক্তিমূলক স্থান। কোনারকের সূর্য মন্দির, উদয়গিরি, খণ্ডগিরি, ধৌলি এ রাজ্যের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। গোপালপুর, চিলকা, তপ্তপানি, দারিংবাড়ি, সিমলিপাল জাতীয় উদ্যান, হিরাকুঁদ বাঁধ, টিকারপাড়া বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে জেগে রয়েছে সৌন্দর্য্য।
বিহার
গৌতম বুদ্ধের পদধূলিধন্য বোধগয়া, রাজগীর, পাটনা, মধুবনী বিহারের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। ঐতিহাসিক নালন্দা, বৈশালী, মহাবীর জৈনের স্মৃতিতে মোড়া পাওয়াপুরী পর্যটকদের হাতছানি দেয়।
অন্ধ্রপ্রদেশ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, ইতিহাস ও ভক্তিমূলক আবেহ বেষ্টিত গোটা অন্ধ্রপ্রদেশ ভ্রমণে সময় লাগবে কমপক্ষে ১০ দিন। তিরুপতি, তিরুমালা, লেপাকসির ভক্তি, বিশাখাপত্তনম, আরাকু ভ্যালি, বোরা কেভস, হর্লসলে হিলস, পুলিক্যাট লেক, কোলেরু লেকের সৌন্দর্য্য পর্যটকদের আকর্ষিত করার জন্য যথেষ্ট।
তেলাঙ্গানা
অন্ধ্রপ্রদেশের একদা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তথা বর্তমান প্রতিবেশী তেলাঙ্গানার মূল আকর্ষণ অবশ্যই হায়দরাবাদের চার মিনার, নার্গাজুনসাগর বাঁধ, ওয়ারেঙ্গল, আদিলাবাদ, নালগোন্ডা, নিজামাবাদ, সেকেন্দেরাবাদ। চিলকুর বালাজি মন্দির, নেলাকোন্ডাপল্লী এই রাজ্যের অন্যান্য দর্শনীয় স্থান।
তামিলনাড়ু
মন্দিরের রাজ্য তামিলনাড়ু পর্যটকদের দারুণ প্রিয় জায়গা। রামেশ্বরম, কাঞ্ছিপুরম, মাদুরাই, কোয়েম্বাতুর, থালঞ্জাভুর, তিরুনেলভেলি, তিরুভানামালাইয়ের মতো ধর্মীয় স্থানের পাশাপাশি ওটি, মধুমালাই জাতীয় উদ্যান, কন্যাকুমারী, চেন্নাই, মহাবলীপুরম, কোদাইকানালের প্রাকৃতিক শোভা এ রাজ্যকে গর্বিত করেছে।
কেরল
নদীর রাজ্য কেরলে সব মরসুমেই ভিড় জমান পর্যটকরা। আলাপ্পুজা, আলুভা, আট্টাপাডি, বেকাল, চালাকুড়ি, এর্নাকুলাম, গুরুভায়ুর, কালপেট্টা, কন্নৌর, কোচি, কোল্লাম, কোট্টাম, মুন্নের এই রাজ্যের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। সমুদ্র সৈকত, নারকেল গাছের সারি এ রাজ্যকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
কর্নাটক
তথ্য-প্রযুক্তির পীঠস্থান বেঙ্গালুরুকে বুকে ধরে রাখা কর্নাটক যে একাধারে ভ্রমণের দুর্দান্ত ঠিকানা, তা জানেন না অনেকেই। বন্দীপুরা ন্যাশনাল পার্ক, বেলগাম, বেলুর, বিদার, হাম্পি, বিজাপুর, চিকমাগালুর, কুর্গ, দানদেলির ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতির মাধুর্য্য অবর্ণনীয়।
গোয়া
আগুয়াদা দুর্গ, অঞ্জুনা বিচ, বাটারফ্লাই বিচ, বাগা বিচ, চাপোরা দুর্গ সু্ন্দরী গোয়ার অন্যতম আকর্ষণ।