ডুয়ার্সে এক টুকরো স্বর্গ সবুজ চামুর্চি
কেন যাবেন: চামুর্চির দুই রূপ। দিনের ও রাতের।
সকালে মিঠে রোদ গায়ে মেখে চলুন ভুটান সীমান্তে। সামসি ভুটানের অন্তর্গত। অলস জীবন দেখে ভালো লাগবে। চামুর্চিতে রয়েছে মিউজিক্যাল স্টোন কেভ। পাথুরে গুহার গায়ে আঘাত করলে বেজে ওঠে সপ্তসুর। সে এক বিরল ব্যাপার। দেখবেন, তিরতির করে বয়ে চলেছে ডায়না নদী। এখানে হামেশাই জল খেতে আসে বুনো জন্তুরা। লেপার্ড, গাউর, হাতিদের সামনে পড়ে যেতে পারেন যখন-তখন!
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ের কোলাহল থেকে অল্প দূরে স্বর্গীয় তিনচুলে
চামুর্চিতে সবুজ পাহাড়ের বিস্তার। দূরে ঝকঝক করবে তুষারশুভ্র হিমালয়। আর আছে চা বাগানের শ্যামলিমা। ছোটো ছোটো চা গাছ ছাঁটা সুন্দর করে। দেখে নিতে পারেন চা পাতা তোলার কাজ।
রাতের চামুর্চিও অপরূপা। জ্যোৎস্নায় যখন ধুয়ে যাবে চরাচর, তখন কানে আসবে বহমান জলধারার কুলকুল শব্দ। অমাবস্যার রাতে যখন চাঁদ থাকবে না, ঝিকমিকে তারার দল আকাশের গায়ে শোভা পাবে হীরকসম। জঙ্গল থেকে শনশন বাতাস শরীর ছুঁয়ে যাবে।
কীভাবে যাবেন: চামুর্চি পৌঁছতে গেলে আপনাকে নামতে হবে নিউ মাল জংশনে। শিয়ালদহ থেকে নিউ মাল জংশন যাচ্ছে ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। শিয়ালদহ থেকে রাত সাড়ে আটটায় ছেড়ে নিউ মাল পৌঁছচ্ছে পরদিন সকাল ন'টায়। স্টেশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছতে হবে চামুর্চি। ৮০০-১০০০ টাকা পড়বে গাড়িতে। দরদাম করে নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
কোথায় থাকবেন: চামুর্চিতে থাকার জন্য রয়েছে চামুর্চি ইকো রিসর্ট। খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা আছে। এরাই আপনার সাইটসিয়িংয়ের ব্যবস্থা করে দেবে।
বিস্তারিত জানতে কথা বলুন এই নম্বরে: ৯৯০৩৪৯২০১৮/9903492018