মুর্শিদাবাদের জাফরগঞ্জ, এখানেই শায়িত রয়েছে মীরজাফরের পরিবার, সপ্তাহান্তে বেড়িয়ে আসাই যায়
মুর্শিদাবাদের জাফরগঞ্জ, এখানেই শায়িত রয়েছে মীরজাফরের পরিবার, সপ্তাহান্তে বেড়িয়ে আসাই যায়
পুজোর বাকি আর একমাস। অনেকেই এখনো বেড়ানোর কোনো জায়গা ঠিক করে উঠতে পারেননি। তাঁদের জন্য মুর্শিদাবাদের জাফরগঞ্জ আদর্শ হতেই পারে। হাজার দুয়ারির বাইরে যে মুর্শিদাবাদের অনেক কিছু দেখার আছে সেটা এই জাফর গঞ্জে এলেই বোঝা যাবে। ইতিহাসের পাতায় কালো কালিতে লেখা যে মীরজাফরের নাম সেই মীরজাফরের ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে জাফরগঞ্জে।
ছোট্ট ছুটিতে জাফরগঞ্জ
মুর্শিদাবাদ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইতিহাসের অসংখ্য নিদর্শন। হাজার দুয়ারির বাইরে একেবারে অপরিচিত একটা জায়গা জাফরগঞ্জ। সেখানে লুকিয়ে রয়েছে মীরজাফরের ইতিহাস। ইতিহাসের পাতায় তাঁকে সকলে বিশ্বাসঘাতক বলেই জানে। কিন্তু তিনি কোন বংশের ছিলেন। তঁার পরিবার কোথায় ছিল সেসব অনেকেই জানেন না। এই জাফরগঞ্জ এলেই মীরজাফররের সম্পর্কে অনেক তথ্য চোখের সামনে দেখতে পাবেন পর্যটকরা। যাঁরা ইতিহাস ভালবাসেন তাঁদের জন্য অসম্ভব সুন্দর জায়গা হতে পারে এই জাফরগঞ্জ।
কী রয়েছে এই জাফরগঞ্জে
মুর্শিদাবাদের অফবিট পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম এই জাফরগঞ্জ। এখানে রয়েছে মীরজাফরের পরিবারের সমাধি। মীরজাফর ৩.৫১ একর জায়গা জুড়ে রয়েছে এই সমাধিক্ষেত্র। সেটা তৈরি করেছিলেন মীরজাফর িনজেই। িনজামত ফোর্টের একেবারে ভেরতে নমক হারাম দেওরিতে রয়েছে এই সমাধিক্ষেত্র। নজাফি বংশের সকলকে এখােনই সমাধিস্থ করা হয়। মিরজাফর েথকেই শুরু হয়েছিল এই নজাফি বংশ। পরে এই সমাধিক্ষেত্র দেখাশোনা করতে শুরু করেছিল অফসার বংশ। মীরজাফরের পরিবারের লোকেরা থাকতেন খুশবাগে। যেটা তৈরি করেছিলেন নবাব আলিবর্দি খাঁ। কিন্তু সিরাজ কাণ্ডের পর এক প্রকার অন্ধকারেই চলে গিয়েছিল মীর জাফরের পরিবার।
কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে ১৯৬ কিলোমিটার দূরে মুর্শিদাবাদ সেখানে যেতে সময় লাগে তিন থেকে চার ঘণ্টা। ট্রেনে যেতে সুবিধা বেশি। একাধিক ট্রেন রয়েছে। যেটা শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে। এছাড়া সড়ক পথেও যাওয়া যায় সেখানে। বাসে করেও যাওয়া যায় মুর্শিদাবাদে। একাধিক জেলা থেকে সরকারি বাস ছাড়ে। মুর্শিদাবাদে ছোট্ট ছুটিতে অনায়াসে বেড়িয়ে আসা যায়। অনেক হোটেল রয়েছে এখােন থাকার তেমন অসুবিধা হবে না।
পুজোর ছুটিতে ছোট্ট ট্যুর
কাজেই পুজোর ছুটিতে বে়ড়িয়ে পড়ুন। টিকিট বুকিংয়ের চিন্তা করতে হবে না। ইতিহাসের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়াতে মুর্শিদাবাদের থেকে আদর্শ জায়গা বঙ্গে আর নেই। সিরাজ থেকে মীরজাফর মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য পর্যটন কেন্দ্র। জাফর গঞ্জ দেখে হাজার দুয়ারি বেড়িয়ে আসতে পারবে।
ছবি সৌ:মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট
বন্য প্রাণী সংরক্ষণের সঙ্গে মনোরম পরিবেশের দৃশ্য উপভোগ করতে চান, চলে যান বিদেশে এই জায়গাগুলিতে