(ছবি) পুজোর মরশুমে বেরিয়ে আসুন এই জায়গাগুলিতে
শুরু হয়ে গিয়েছে ছুটির মরশুম। সামনেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। ধীরে ধীরে গরমের ভাব কেটে সুন্দর আমেজ তৈরি হচ্ছে চারিদিকে। নীল আকাশ, সাদা তুলোর মতো মেঘ, সকালে ঘাসের উপরে শিশির বিন্দু ও কাশফুলের উপস্থিতি। সবমিলিয়ে চারিদিকে কেমন পুজো পুজো গন্ধ। [অক্টোবরে পরিবারকে নিয়ে এই জায়গাগুলি হোক আপনার ডেস্টিনেশন]
এমন উৎসবের মরশুমে বাড়িতে বসে কাটানো মানে সময় নষ্ট করা। পুজোর সময়টাই যা একটু ছুটি পাওয়া যায়। এই সময়ে কোথাও ঘুরে এলে খানিক মন্দ হয় না। সেই তো সারাবছরের নামে আবার লেগে পড়তে হবে জীবন-জীবিকার সন্ধানে। [ফটোগ্রাফির শখ থাকলে ভারতের এই জায়গায় যেতেই হবে]
তাই এই সময়টাকে চুটিয়ে উপভোগ করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে ঘুরতে যাওয়ার হাতছানি থাকলে আর কিছু চাই বলে মনে হয় না। [ভারতে অবস্থিত এই মিনি সুইৎজারল্যান্ড]
এই সময়ে সারা ভারতেই নানা পর্যটন স্থলগুলিতে আবহাওয়া দারুণ ভালো থাকে। ফলে সুযোগ বুঝে কোথাও বেরিয়ে পড়লেই হল। দিনকয়েকের জন্য একেবারে নিশ্চিন্তে ঘুরে আসুন দেশের নানা প্রান্তে। [যে স্মৃতিসৌধগুলি জীবনে একবার দেখতেই হবে]
নিচের স্লাইডে দেখে নিন, ছুটির এই মরশুমে কোথায় যেতে পারেন একলা বা পরিবারের সকলকে সঙ্গে নিয়ে। [প্রকৃতির কোলে এই জায়গাতেই খুঁজে পাবেন নিজেকে]
পিথোরাগড়
উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত এই পাহাড় ঘেরা জায়গার শোভা এককথায় অনন্য। সোয়ার উপত্যকায় অবস্থিত পিথোরাগড়কে ঘিরে রেখেছে নন্দাদেবী, পাঞ্চুলি ও নন্দাকোট পর্বতচূড়া। উত্তরে হিমালয়ের প্রবেশপথ নামেও পরিচিত এই এলাকা।
কচ্ছের রন
গুজরাতে অবস্থিত কচ্ছের রন-ও এই সময়ে পর্যটনের জন্য আদর্শ। থর মরুভূমিতে অবস্থিত এই জায়গাটির কিছুটা রয়েছে ভারতে, আর কিছুটা অংশ রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে।
ফুগতাল মনাস্ট্রি
লাদাখে অবস্থিত পাহাড়ের গায়ে এই মনাস্ট্রিটি এককথায় অসাধারণ। দেখলে মনে হবে যেন, পাহাড়ের গায়ে বাসা বেঁধেছে মৌমাছি। এখানে পাহাড়ের মধ্যে গুহাতে লাইব্রেরি ও প্রার্থনাস্থলও রয়েছে।
বেরাবল
গুজরাতের সমুদ্র উপকূলে এই জায়গাটি অবস্থিত। দেশের অন্যতম বড় মাছ ধরার বন্দর এখানে রয়েছে। এখানকার সমুদ্র সৈকত ছাড়াও সোমনাথ মন্দির, গীর ন্যাশনাল পার্ক, ত্রিবেণী সঙ্গম ইত্যাদি ঘুরে আসতে পারেন।
চোপতা উপত্যকা
ভারতের 'সুইৎজারল্যান্ড' নামে পরিচিত চোপতা উপত্যকা উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত। এখানে ট্রেকিংয়ের স্বর্গরাজ্য। হিমালয় পর্বতমালায় ঘেরা এই এলাকায় আসতে বারবার মন চাইবে।
ওরচা বা ওরছা
মধ্যপ্রদেশের ওরছায় কয়েকদিনের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন। এমনিতে ঐতিহ্য ও স্থাপত্য়ের এক অদ্ভুত মিশেল রয়েছে মধ্যপ্রদেশে। প্রাচীন রাজা-মহারাজা থেকে শুরু করে মোঘল যুগ, বরাবরই স্থাপত্যকলার অভিনব সব নিদর্শন গড়ে উঠেছে এখানে।
রনকপুর
রাজস্থান এমনিতেই পর্যটনস্থল হিসাবে সকলের অত্যন্ত পছন্দের। যোধপুর ও উদয়পুরের মধ্যবর্তী রনকপুর গ্রামটিতে অবস্থিত এই জৈন মন্দিরটি পর্যটকদের বিশেষ পছন্দের।
মারখা উপত্যকা
লাদাখে মারখা নদীর তীরে অবস্থিত এই উপত্যকাটির প্রাকৃতিক শোভা অনন্য। এই সময়ে এখানে গেলে সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতে পারবেন।
সান্দাকফু
পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চশৃঙ্গ হল সান্দাকফু। এখানে এই সময়ে প্রচুর মানুষ শুধু ট্রেকিং করতেই আসেন। নভেম্বরের মাঝখান পর্যন্ত আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম থাকে। তারপর শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকে।
চাঁদিপুর
ওড়িশার বালেশ্বরে চাঁদিপুর সমুদ্র সৈকতটি বাঙালির খুব কাছের। এখানকার সৈকতের বৈশিষ্ট্য হল, দিনের একটা সময়ে প্রায় ৫ কিলোমিটার পিছিয়ে যায় সমুদ্র। ফের আবার জল এসে ভরিয়ে দেয় সৈকত। এবং এটা প্রতিদিন হয়।