ভ্যাপসা গরমে জেরবার শহরে থেকে এক ছুটে চলে আসুন লেপচাদের গ্রাম গিটডাবলিংয়ে
ভ্যাপসা গরমে জেরবার শহরে থেকে এক ছুটে চলে আসুন লেপচাদের গ্রাম গিটডাবলিংয়ে
ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস দশা শহরবাসীর। এই গরম থেকে লহমায় শীতল অনুভূতি এনে দিতে পারে লেপচাদের গ্রাম গিটাডাবলিং। লোলেগাঁও থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই গ্রাম। লেপচা জনজাতির গ্রাম বলে এই ছোট্ট গ্রামটিেক। এক যাত্রায় লোলেগাঁওয়ের সঙ্গে এই অজানা গিটাডাবলিংও হয়ে উঠতে পরে আপনার পর্যটন ডেস্টিনেশন।
লেপচাদের গ্রাম গিটাডাবলিং
লেপচাদের গ্রাম গিটাডাবলিং। গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে চেমবুং খোলা নদী। তার উপরেই রয়েছে এই জায়গায় অন্যতম আকর্ষণ। একশো বছরের পুরনো কাঠের সেতু। ১০০ বছরও বেশি বয়স এই কাঠের ঝুলন্ত সেতু। এটা এখন ব্যবহার করেন গ্রামবাসীরা। এই গ্রামের চারপাশ ঘুরে দেখলেই মন মুগ্ধ হয়ে যাবে। ছোট ছোট বাড়ি। তাতে ফুলের বাগান মন ভাল করে দেবে।
কী কী দেখার জিনিস
এই
গিটাডাবলিংয়ে
অনেক
জিনিস
রয়েছে
দেখার।
একশো
বছরের
পুরনো
কাঠের
সেতু
ছাড়াও
রয়েছে
লেপচা
জনজাতির
১৩০
বছরের
পুরনো
রোমান
ক্যাথলিক
চার্চ।
আর
এই
চার্চের
প্রাঙ্গনে
১৭৫
কেজি
ওজনের
বিশাল
ঘণ্টা
রয়েছে।
৪০
বছর
আগে
জেরুজালেম
থেকে
আনা
হয়েছিল
এই
ধাতব
ঘণ্টাটিকে।
এখনও
সক্রিয়
ঘণ্টাটি।
প্রতিরবিবার
প্রার্থনার
সময়
বাজানো
হয়
চার্চের
এই
বিশাল
ধাতব
ঘণ্টা।
গোটা
গ্রাম
পেরিয়ে
প্রতিধ্বনিত্ব
তার
শব্দ।
চার্চের
পাশেই
রয়েছে
সেন্ট
জোসেফ
হাইস্কুল।
৭৫
বছরের
পুরনো
এই
স্কুলটি।
কীভাবে যাবেন
গিটাডাবিং যেতে হলে কলকাতা থেকে ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে এনজেপি। বাগডোগরা এবং এনজেপি স্টেশন দুই জায়গা থেকেই পাওয়া যায় গাড়ি। আগে থেকে হোমস্টেতে জানিয়ে রাখলে তারা গাড়ি পাঠিয়ে দিতে পারে। এনজেপি থেকে গিটাডাবলিং যেতে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে আর বাগডোগরা থেকে যেতে সময় লাগে ৩ঘণ্টা। গাড়ি ভাড়া সাড়ে চার হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। শেয়ারে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন
গিটাডাবলিংয়ে তেমন বড় বড় হোটেল বা রিসর্ট নেই। এখানে দুটি হোম স্টে রয়েছে মাত্র। সেখানে অনলাইনে আগে থেকে বুকিং করে নিতে হয়। যাতায়াতে যতটাকা খরচ হয় থাকা খাওয়া সেই তুলনায় কম টাকাই খরচ হয় এখানে। গরমের ছুটিতে লোলেগাঁওয়ের পথে গিটাডাবলিং অনায়াসেই হয়ে উঠতে পারে বেড়ানোর নতুন ডেস্টিনেশন।
ভারতের সেরা ১১টি সৈকত, ভ্য়াকেশনে চট জলদি টিকিট কেটে উড়ে যান সেখানে
প্রতীকী ছবি