ব্রিটিশ আমলের ইতিহাসের ছোঁয়া, ঘুম ভাঙবে কাঞ্জনজঙ্ঘা দেখে, চলে আসুন চিমনিতে
ব্রিটিশ আমলের ছোঁয়া রয়েছে উত্তরবঙ্গের ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম চিমনিতে। ঘুম ভাঙবে পাখির ডাকে। চোখ মেললেই কাঞ্চনজঙ্ঘা। শহরের ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি তো মিলবেই তেমনই মিলবে মনের শান্তি। অল্প কয়েক দিনের ছুটিতে অনায়াসেই বেড়িয়ে আসা যায় এই পর্যটন কেন্দ্র।

ছুটিতে চিমনি
চিমনি যেমন ছোট্ট নাম। তেমনই সুন্দর এর প্রাকৃতিক শোভা। উত্তরবঙ্গের ছোট্ট গ্রাম চিমনি। পাহাডের কোলে ঘেরা
ছোট্ট এই গ্রাম। আসলেই মন ভাল হয়ে থাবে। পাখির ডাক আর কাঞ্জনজঙ্ঘার মনরম দৃশ্য দুয়ে মিলে মন ভাল হয় যাবে। কার্শিয়াং থেকে ৬৮০০ কিলোমিটার উঁচুতে রয়েছে এই গ্রাম। কয়েকটি ঘর রয়েছে। তারা গ্রামেই কৃষিকাজ করে থাকেন। মূলত ধাপ চাষের মধ্য দিয়ে হয় কৃষিকাজ। গ্রামে থাকার জায়গা বলতে হোম স্টে।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব
গ্রামের ঐতিহািসক গুরুত্বও রয়েছে। হঠাৎ করে চিমনি নামকেন হল গ্রামের এই নিয়ে অনেক গল্প রয়েছে। আসলা হল ব্রিটিশ আমলের একটি বড়চিমনি রয়েছে এখানে। ২৩ ফুট উচ্চতা তার। সেকারণেই এই গ্রাম হয়েছে চিমনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশরা এই চিমনিটি তৈরি করেছিল। ব্রিটিশ সৈনিকরা যখন কার্শিয়াং থেকে আশপাশের গ্রামে যেতেন তখন তাঁদের আশ্রয়স্থল ছিল ই চিমনি গ্রামটি। তখনই তারা এই চিমনিটি ব্যবহার করতেন।

কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরা অথবা ট্রেনে এনজেপি। কার্শিয়াংয়ের দূরত্ব এই দুই জায়গা থেকেই প্রায় ৪২ কিলোমিটার। গাড়িতে ঘণ্টা দেড়েক সময় লাগে। কার্শিয়াং থেকে চিমনির দূরত্ব ৮ কিলোমিটার। কার্শিয়াং থেকে গাড়িতে যাওয়াই ভাল। গাড়ি ভাড়া পড়ে ২৫০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা। আর কার্শিয়াং থেকে চিমনি যেতে খরচ হয় ৫০০ থেকে -১০০০ টাকা। কাজেই খুব একটা খরচ হবে না চিমনি ঘুরতে।

কী কী দেখার জায়গা রয়েছে
চিমনিতে থাকতে গেলে হোমস্টে ছাড়া উপায় নেই। কারণ এখানে কোনও বিশেষ হোটেল নেই। গ্রামবাসীরাই নিজেদের বাড়িেত হোমস্টে তৈরি করে রয়েছেন। তােত থাকা খাওয়া নিয়ে খরচ পড়ে ১০০০ থেকে ১৬০০ টাকা। এখানে প্রকৃতির মনোরম শোভা যেমন আছে তেমন দেখার জায়গাও অনেক আছে। ফরেস্ট মিউজিয়াম। ডাউহিল স্কুল, ডিয়ার পার্ক, চটকপুর এবং বাগোরা। এই জায়গা গুলি দেখে নেওয়া যায়।
ভারতের ১০ টি সেরা ট্রেকিং গন্তব্য দেখে নিন