খাজুরাহো মন্দিরের স্থাপত্যগুলি কোন ইতিহাসের ধারক ও বাহক
বৈচিত্রের সম্ভার ভারত। তারই অন্যতম, পাহাড় কেটে তৈরি করা খাজুরাহো মন্দির এখনও অক্ষত। যার প্রতি স্থাপত্য-শৈলীতে লুকিয়ে কোনও না কোনও ইতিহাস। তার সঙ্গে জুড়ে থাকা ভারতের প্রাচীন শিল্প, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি বিশ্বজনীন।

নির্মাণকাল
ঐতিহাসিকদের ধারণা, রাজপুত বংশোদ্ভুত চন্দেল রাজবংশের সদস্যরা ৯৫০ ও ১০৫০ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে পাহাড় কেটে খাজুরাহোর মন্দির তৈরি করা হয়েছিল।

কোথায় অবস্থিত
মধ্যপ্রদেশের ছত্রপুর জেলার খাজুরাহো শহরের কাছে প্রাচীন হিন্দু ও জৈন মন্দিরের এই মিলিত স্থানে লুকিয়ে ভারতের ইতিহাস। ১৯৮২ সালের ১৫ অক্টোবর মন্দিরটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা দেয় ইউনেস্কো।

ইতিহাস
কথিত আছে, দশম শতাব্দীতে তৈরি এই মন্দির চন্দেল বংশের পতনের পর লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায়। ১৮৩০ সালের আশেপাশের কোনও সময়ে ব্রিটিশ সার্ভেয়ার টিএস বার্ট মন্দিরটি পুনরুদ্ধার করেন বলে শোনা যায়। এর কয়েক বছর পর মন্দির নিয়ে তথ্য একত্রিত করা হয়।

স্থাপত্য
অনেক গুলি মন্দির জুড়ে তৈরি হয়েছে এই ঐতিহাসিক স্থান। যার মধ্যভাগে রয়েছে কেন্দ্রীয় মহাদেবা টেম্পল। সেই বেদীতে অধিষ্ঠিত দেবাদিদেব মহাদেব। আশে পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সূক্ষ্মাতি-সূক্ষ্ম অবয়ব বা প্রতিকৃতির মাধ্যমে পুরুষ ও নারীর পবিত্র সঙ্গমের বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে প্রেম ও কামনার দেবতা কামদেবের প্রতিকৃতি। তাঁকে ঘিরে তৈরি করা পুরুষ ও নারীদের মূর্তি, মানুষের সুপ্ত যৌন রিপুগুলির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। কামদেবের পাশাপাশি খাজুরাহোর মন্দিরে ধর্ম (দায়িত্ব), অর্থ ও মোকসের (স্বাধীনতা) লক্ষ্যে পাহাড় কেটে নানা প্রতিকৃতির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।