পার্বত্য সৌন্দর্য্যের অন্য ঠিকানা মিরিকে মেঘ রাজার নিত্য আনাগোনা
রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন এই পার্বত্য শহর মিরিক সৌন্দর্য্যের প্রেক্ষিতেও অপ্রতিদ্বন্দ্বী। পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা চা বাগান, সবুজ বণানী এবং মেঘের স্পর্শ এই স্থানকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। সম্প্রতি রাজ্য প্রশাসন মিরিককে ঢেলে সাজানোর ব্যবস্থা নেওয়ায় এই স্থানে পর্যটকের ভিড় বাড়ছে।

অবস্থিতি
মিরিক কথাটি এসেছে মির-ইয়ক থেকে এসেছে। এর অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থান। সমুদ্রতল থেকে প্রায় ১৭৬৭ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মিরিকের দূরত্ব দার্জিলিংয়ের থেকে ৪৯ কিলোমিটার। ঘুম এবং কার্শিয়াং থেকে যথাক্রমে ৪১ ও ৪৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত রাজ্যের অন্যতম সেরা শৈলশহর।

কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে ট্রেন, বাসে পৌঁছতে হবে শিলিগুড়ি। বিমানে বাগডোগরা পৌঁছতে বেশি সময় লাগে না। শিলিগুড়ি থেকে ৫২ এবং বাগডোগরা থেকে ৫৫ কিলোমিটার দূরত্ব অবস্থিত মিরিকে পৌঁছনো যায় সড়ক পথে। সঙ্গী হয় বাস কিংবা প্রাইভেট বা ভাড়া করা গাড়ি। পথিমধ্যে পার্বত্য শোভা পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

কী কী দেখবেন
১) টিংলিং ভিউ পয়েন্ট : মিরিক শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত টিংলিং ভিউ পয়েন্ট থেকে দার্জিলিং জেলার সবকটি চা বাগানের দর্শন মেলে একসঙ্গে।
২) দেওসি ডারা : সমুদ্রতল থেকে ১৭৬৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই স্থান থেকে মিরিক শহর এবং তার আশেপাশের পাহাড়ের শোভা পরিলক্ষিত হয়।
৩) মিরিক লেক : মিরিক শহরের অন্যতম আকর্ষণ এই লেকের দৈর্ঘ্য প্রায় ১.২৫ কিলোমিটার। ওক, মাপলে গাছ দিয়ে ঘেরা এই জলাশয়ে বোটিং করতে আসেন বহু পর্যটক। লেকের অদূরে ঘোড়সওয়ারির ব্যবস্থা রয়েছে।
৪) রামিতে ডারা : এটি একটি পাহাড়। যার সর্বোচ্চ স্থান থেকে বরফাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য্য অনুভব করা যায়।
৫) মিরিক চা বাগান : মিরিক লেক থেকে দুই কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই স্থানে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে রয়েছে আটটি চা বাগান। দার্জিলিং জেলার অন্যতম সেরা এই চা বাগান পর্যচকদের অবারিত দ্বার।

কোথায় থাকবেন
আবহাওয়া মনোরম হওয়ায় সব মরসুমেই মিরিকে ঢুঁ মারা যেতে পারে। পর্যটকদের কথা ভেবে এই স্থানে বেশ কয়েকটি হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং হোম স্টে তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

পাহাড়ের বুকে পাইনের বনে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে লাভা, সৌন্দর্য্যের অন্য ঠিকানা