সজনেখালির সবুজ অরন্যে লুকিয়ে এক বন্য পৃথিবী ও অকৃত্রিম সৌন্দর্য্য
সুন্দরবনের সের আকর্ষণ বলতে যদি কিছু থেকে থাকে,তবে তা হল সজনেখালি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য। ম্যানগ্রোভ, নদী এবং অন্যান্য গাছ-গাছালি দিয়ে ঘেরা এই অরণ্যে দেখা মেলে নানা প্রজাতির জীব-জন্তু। বাঘের আশায় এখানে কাটিয়ে দেওয়া যায় বেশকিছু দিন। দেখা মিললে তো বাড়তি পাওনা। দক্ষিণরায় মুখ ফেরালে প্রকৃতি আপন করে নেয় পর্যটকদের।

অবস্থিতি
সুন্দরবনের অন্তর্গত সজনেখালি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের আয়তন প্রায় ৩৬২.৮০ বর্গকিলোমিটার। সুন্দরী, গরান, গেঁও-এর বন এবং মাতলা ও গুমদি নদীর ছোঁয়া এই স্থানকে আরও মোহময়ী করেছে।

সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থেকে ৪৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত সজনেখালি বনাঞ্চলকে ১৯৬০ সালে অভয়ারণ্য বলে ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ১৯৭৬ সালে নবরূপে সাজিয়ে সেটিকে ফের একই মর্যাদা দেওয়া হয়।

কীভাবে পৌঁছবেন
ট্রেনে শিয়ালদহ থেকে ক্যানিং পৌঁছে সেখান থেকে গাড়ি কিংবা বাসে পৌঁছে যাওয়া যায় সজনেখালি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে। কিংবা কলকাতা থেকে বাসন্তী বা সোনাখলি পৌঁছতে হবে পর্যটকদের। সেখান থেকে নৌকায় পৌঁছনো যায় সজনেখালি।

রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার
সাধারণত বাঘ দেখতেই সজনেখালি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে ভিড় জমান পর্যটকরা। যদিও সচরাচর রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মেলে না। কখনও সখনও নদীতে জল খেলে বন থেকে বেরিয়ে আসে দক্ষিণরায়। ওয়াচ টাওয়ার থেকে তা স্পষ্ট দেখা যায়।

অন্যান্য জন্তু
বাঘ ছাড়াও সজনেখালি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে অন্যান্য জন্তুর দেখা মেলা। চিত্রা হরিণ, মেছো বিড়াল, লাল বাদর, বন শুকর, ভোঁদড়, গুই সাপ, কুমীর, কচ্ছপ সেগুলির মধ্যে অন্যতম। একই সঙ্গে সজনেখালির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যেও আকৃষ্ট হন পর্যটকরা।
উত্তরবঙ্গের অন্যতম আকর্ষণ বক্সা জাতীয় উদ্যানে বন্যপ্রাণের বৈচিত্র