রাতের অন্ধকারে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেছেন? চলে আসুন সিকিমের এই প্রত্যন্ত গ্রামে
রাতের অন্ধকারে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেছেন? চলে আসুন সিকিমের এই প্রত্যন্ত গ্রামে
সিকিম মানেই গ্যাংটক, পেলিং এর বাইরে বড় বেশি কেউ যেতে চান না। উত্তর সিকিমের কিছু জায়গাতে অনেকেই অবশ্য বেড়ান। কিন্তু দক্ষিণ আর পূর্ব সিকিম। সেকথা অনেকেই জানেনা। আর এই দক্ষিণ-পশ্চিম আর পূর্ব সিকিমেই লুকিয়ে রয়েছে পাহাড়ি রাজ্যে আসল ঐশ্বর্য। সবুজে ঘেরা পাহাড়,হাতবাড়ালেই কাঞ্জনজঙ্ঘা আর রডোডেনড্রন এই তিনের মহাযোগ রয়েছে সিকিমের এই ভাগে।
গ্যাংটকের বাইরে সিকিম
সিকিম মানেই যে গ্যাংটক, পেলিং তা কিন্তু একেবারেই নয়। সিকিমের গ্রাম, সবুজ জঙ্গল, সবুজে ঘেরা পাহাড়ি রাস্তা কত জন দেখেছেন। সেই ঐশ্বর্য লুকিয়ে রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম আর পূর্ব সিকিমে। অপরূপ তার সৌন্দর্য। সবুজের সমারোহের মাঝে কাঞ্জনজঙ্ঘার দর্শন। তাও আবার হাতের কাছে। যাকে দেখলে মনে হবে হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যায়। এমনই তার মাধুর্য। এই সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে পশ্চিম -দক্ষিণ আর পূর্ব সিকিমের কোনায় কোনায়। এর সৌন্দর্য একবার দেখলে ভোলার নয়।
দীবাবলীর ছুটিতে কিউজিং
সামনেই দীপাবলী। বেশ কয়েকদিন ছুটি রয়েছে হাতে। এই ছুটিতে বেড়িয়ে আসতেই পাড়েন দক্ষিণ সিকিমের ছোট্ট গ্রাম কিউজিং থেকে। রাবাংলা থেকে ৮ কিলোমিটারের পথ। পাহাড়ি রাস্তা খুব একটা ভাল নয় ঠিকই। কিন্তু পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য সেই খামতি ভুলিয়ে দেবে। পাহাড়ি পথের বাঁকে বাঁকে ঘর। আর ছোট ছোট হোমস্টে। অতিথি আপ্যায়ণে সিকিমিস্টদের জুড়ি মেলা ভার। একেবারের ঘরের লোকের মতই নিজের বাড়িতে রাখেন তাঁরা। রান্নার ঘর থেকে ছাদের বাগান সর্বত্র আপনার অবাধ গতিবিধি হতে কোনও বাঁধা নেই।
দীপাবলীর রাতে কাঞ্জনজঙ্গা
সকাল আর সন্ধ্যে পাহাড়ের দুই ভিন্ন রূপ। সকালের নীল আকাশে শ্বেত শুভ্র কাঞ্জন জঙ্ঘা আর রাতে? সেটা সেখানে গেলেই বুঝতে পারবেন। সারাবছর েযন সেখানে দীপাবলীর আলো জ্বলে। একটি পাহাড় থেকে আরেকটি পাহাড়ের দিকে তাকালে মনে হবে অসংখ্য জোনাকি অথবা ফেয়ারি লাইট কেউ জ্বালিয়ে দিয়েছে। রাত যত গভীর হত তত অন্ধকার গাঢ় হয আর শ্বেত শুভ্র কাঞ্জনজঙ্ঘা চিকচিক করে। রাতের অন্ধকারে একাই রানি সে। এমন ছবি ঘরের ভেতরে বসেই দেখতে পাবেন এই কিউজিংয়ে।
কীভাবে যাবেন
শিলিগুড়ি থেকে ৫ ঘণ্টার সফর। রাস্তা খারাপ থাকার কারণেই বেশি সময় লাগে। সেই সময় অবশ্য চরপাশের মনোরম শোভা দেখতে দেখতেই কেটে যায়। তিস্তার গা ঘেয়ে উঠে চলে গাড়ি। সিকিমের সিংহদুয়ার পেরোলেই পুরো ছবিটাই বদলে যায় পাহাড়ের। আরও পরিচ্ছন্ন রাস্তা। ছোট ছোট সাজানো ঘর। ততে রংবাহারি ফুল, পাতাবাহার, ক্যাকটাস, অর্কিড। দেখতে দেখতেই মনজুড়িয়ে যাবে।
কাঞ্জনজঙ্ঘার বিপরীতে দার্জিলিং-কে কেমন লাগে দেখেছেন কখনও? কালীপুজোর ছুটিতে চলে আসুন চাকুঙে