জানেন কি ভারতেই আছে মোগলির জঙ্গল, গরমের ছুটিতে বেড়িয়ে আসুন পেঞ্চ অরণ্য
জােনন কি ভারতেই আছে মোগলির জঙ্গল, গরমের ছুটিতে বেড়িয়ে আসুন পেঞ্চ অরণ্য
পাহাড়ের থেকে জঙ্গল অনেকেই পছন্দ করেন। বঙ্গে জঙ্গল বলতে ডুয়ার্সের জলদাপাড়া,চিলাপাতা, বক্সাকেই বেশি চেনেন সকলে। মাঝে মধ্যে ঝাড়গ্রাম ঘুরে আসা হয়। কিন্তু সেখানে তেমন জঙ্গল সাফারি বলে কিছু নেই। জঙ্গল যাদের খুব পছন্দ তাঁরা ঘুরে আসতেই পারেন পেঞ্চ ফরেস্টে। যাকে অনেকে মোগলির জঙ্গলও বলে থাকেন। শুধু জঙ্গল নয় এখানে রয়েছে ইতিহাসও। মধ্যপ্রদেশে পেঞ্চ ফরেস্টের নাম অনেকেই হয়তো শোনেনি।
কোথায় মোগলির জঙ্গল
ইংেরজি সাহিত্যের জনপ্রিয় গল্প মোগলি। যাকে নিয়ে অ্যানিমেশন থেকে হলিউড মুভি সবই হয়ে গিয়েছে। এই মোগলির জঙ্গল সত্যিকি রয়েছে। এই নিয়ে গল্প কথার শেষ নেই। বইয়ের েলখক রুডইয়ার্থ কপলিংেয়র জঙ্গলবুকের নায়ক মোগলি। এই পেঞ্চ জঙ্গল দেখেই নাকি মোগলির জঙ্গলের কথা মনে পড়ে যায়। এতটাই সুন্দর এই জঙ্গল। সেকারণে এই জঙ্গলকে মোগলির জঙ্গল বলা হয়ে থাকে।
ইতিহাসের ছোঁয়া
পেঞ্চ কেবল জঙ্গল নয় এখানে ইতিহাসের ছোঁয়াও রয়েছে। জঙ্গলের মধ্যে দিয়েই বয়ে গিয়েছে পেঞ্চ নদী। এর কাছেই রয়েছে রামটেক পাহাড়। যে পাহাড়ের চূড়ায় মন্দিরে বসেই নাকি মেঘদূত রচনা করেছিলেন কবি কালীদাস। পাহাড়ের উপর থেকে জঙ্গল দেখতে অসাধারণ লাগে। মোগলির জঙ্গলের সেই মন্দিরের কথা মনে পড়ে যাবে। গরমে এলে এখানে বাঘের দেখা সহজই পেতে পারেন পর্যটকরা। কারণ জঙ্গলের মাঝে মাঝেই রয়েছে ছোট ছোট জলাশয়। গরমে সেখানে জল খেতে আসে বাঘ। বাংলার রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে পেঞ্চ জঙ্গলে।
কাজেই কেল্লা
পেঞ্চ ফরেস্টের কাছেও অনেক কিছু দেখা যায়। জঙ্গলে বাঘ দেখার সৌভাগ্য হলে তো আর কিছু বলার নেই। তবে এখানে নেকড়ে, েলপার্ডেও বেশ দাপট রয়েছে। এছাড়া গাউর, স্লথ বেয়ার, শিয়াল তো রয়েইছে। হরিণ দেখা যায় অসংখ্য। রয়েছে ২৫০ রকমের পাখি। জঙ্গলের কাছেই রয়েছে তোতলাদহ বাঁধ। তার ১০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে আবার পটারি ভিলেজ। সেখানে আদিবাসীরা বিভিন্ন রকমের মাটির জিনিস তৈরি করেন।
কীভাবে যাবেন
ট্রেনে অথবা বিমানে নাগপুরে আসতে হবে। নাগপুর থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা পৌঁছে যাওয়া যায় পেঞ্চ ফরেস্টে। নাগপুর থেকে পেঞ্চ ফরেস্টের দূরত্ব ১৩৫ কিলোমিটার। পেঞ্চে ফরেস্টডিপার্টমেন্টের গেস্ট হাউস রয়েছে। মধ্য প্রদেশ পর্যটন দফতরেরও গেস্ট হাউস রয়েছে। আগে েথকে বুক করে নিতে হয়। এক রাতের ভাড়া ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকা। এসি ঘরের ভাড়া অবশ্য বেশি পড়বে। টেন্টেও চাইলে থাকতে পারেন পর্যটকরা। তার ভাড়া আরও বেশি।
প্রতীকী ছবি
পাইনের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, গ্রীষ্মের দহনজ্বালা শীতল স্পর্শ দেবে তেন্দ্রাবং