সবুজ চা বাগান পেরিয়ে এলাচের গন্ধ মেখে চলুন ঝালং

কেন যাবেন: চাপড়ামারির জঙ্গলকে পিছনে ফেলে পড়বে সিপচু চা বাগান। সবুজের শান্ত বিস্তার। রোদে চা বাগানকে স্নিগ্ধ ছায়া দেয় বড় বড় গাছ। মেঘ ভেসে গেলে আলো-আঁধারির খেলায় ঘোর লেগে যায়। চা বাগান পেরোলে এলাচের গন্ধে ভুরভুর করে বাতাস। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে কুলকুল বইছে রংপো নদী। মিশেছে জলঢাকায়। মুখ তুলে চেয়ে দেখবেন আকাশের গায়ে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভুটানের পাহাড়। যেন ক্যানভাসে তুলি দিয়ে আঁকা। শাল, শিশু, অর্জুন গাছের মাথায়-মাথায় পাখিদের আনাগোনা। তারা ঘাড় ঘুরিয়ে লক্ষ্য করবে আপনার আগমন। রঙিন ফুলে চারদিক হয়ে ওঠে বর্ণময়। তাতে দোল খায় প্রজাপতি।
আরও পড়ুন: ব্যাঙ্গালোরের ব্যস্ত জীবন থেকে নিরালা নিসর্গ হোন্নাবর
রাতের ঝালং-ও মায়াময়। সন্ধে নামলে গোটা এলাকার দখল নেয় ঝিঁঝি। সামনে দিয়ে উড়ে যাবে জোনাকী। ভরা পূর্ণিমায় জ্যোৎস্না ধুয়ে দেয় চরাচর। তখন শুধু নদীর বয়ে চলার কুলকুল শব্দ।
যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন, তাঁরা জঙ্গলঢাকা রাস্তা দিয়ে ট্রেক করে যেতে পারেন বিন্দু ও গোদক।
কীভাবে যাবেন: শিয়ালদহ থেকে ছাড়ছে ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেস। রাত সাড়ে আটটায় ছেড়ে পরের দিন দুপুরে পৌঁছবে নিউ মাল জংশন। এখান থেকে ঝালং ৪৫ কিলোমিটার। গাড়ি রিজার্ভ করে আসতে হবে। হাজার দেড়েক টাকা ভাড়া পড়বে।
এ ছাড়া, নিউ জলপাইগুড়িতে নেমেও আসা যায় ঝালং। নিউ জলপাইগুড়ি বা এনজেপি থেকে ঝালংয়ের দূরত্ব ১০৪ কিলোমিটার। আগাম গাড়ি বুকিং করতে চাইলে কথা বলতে পারেন: ৯৮৭৪৬১৩২৬৭/9874613267
কোথায় থাকবেন: ঝালংয়ে সবচেয়ে ভালো থাকার জায়গা হল পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের তাঁবু। নদীর ধারে পরপর কয়েকটি তাঁবু রয়েছে। যেন প্রকৃতির কোলে বসবাস। জঙ্গলের অন্দরে তাঁবুতে ব্যবস্থাপনা ভালোই।
তাঁবু বুকিং করতে হবে অনলাইনে: www.wbfdc.com
বেসরকারি হোটেলও রয়েছে। তবে তাঁবুতে থাকার মজাই আলাদা।