(ছবি) জেনে নিন প্রতিবেশী ঝাড়খণ্ডের সেরা উইকএন্ড ডেস্টিনেশন
পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে প্রচুর বাঙালি থাকেন। বহু বাঙালি এখানকার মাইথন বাঁধ , পাঞ্চেত বাঁধ, ম্যাসাঞ্জোর বাঁধ থেকে শুরু করে নানা জায়গা দেখতে ও ছুটি কাটাতে আসেন। কয়েকদিনের ছোট ট্রিপের জন্য এই জায়গা গুলি একেবারে আদর্শ। [ভারতের সেরা হিল স্টেশনগুলির একঝলক]
আগে সাধারণত একটু শীতের দিকেই মানুষজন ঝাড়খণ্ডের মতো জায়গাগুলিতে পা দিতেন। তবে এখন নানা ধরনের সুবিধা থাকায় গরম একটু কম থাকলেই সপ্তাহান্তের সেরা ডেস্টিনেশন এই হতে পারে ঝাড়খণ্ড। [ছোট্ট ট্রিপে বেরিয়ে আসুন কালিম্পং]
অনেকেই এখানকার চেনা কয়েকটি জায়গা ঘুরেই চলে আসেন। তবে তা ছাড়াও আরও বেশ কিছু জায়গা রয়েছে, ঝাড়খণ্ডে গেলে যেখানে একবার ঢুঁ মেরে আসতেই হবে। নিচের স্লাইডে দেখে নিন কীভাবে ঝাড়খণ্ড হয়ে উঠতে পারে আপনার সেরা উইকএন্ড ডেস্টিনেশন। [গরমে কাবু? একফাঁকে ঘুরেই আসুন গ্যাংটক]

ডিমনা লেক
দলমা পাহাড়ে পাদদেশে অবস্থিত এই ডিমনা লেক। ঝাড়খণ্ডের মানুষের কাছে সেরা পিকনিক স্পট বলা যেতে পারে একে। এই লেকে আপনি বোটিং ও সাঁতারও কাটতে পারবেন।

জুবিলি পার্ক
জামশেদপুরের এই পার্কটি আকারে বেশ বড়। নানা ধরনের ফুলের গাছে সুসজ্জিত বাগান সন্ধ্য়াবেলা ঝরনা ও আলোর সাজে অপরূপ লাগে।

স্যর দোরাবজী টাটা পার্ক
জামশেদজী টাটার জ্য়েষ্ঠ পুত্র স্যর দোরাবজীর নামে সুসজ্জিত এই পার্কটি জামশেদপুরের অন্যতম আকর্ষণ।

টাটা স্টিল জুলজিক্যাল পার্ক
খারকাই নদী ও সুবর্ণরেখা নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত এই পার্কটিতে বন্যপ্রাণীতে ঠাসা। এই চিড়িয়াখানায় পরিযায়ী পাখিদের ভিড় লেগেই থাকে। এছাড়া নদীতে বোটে চড়েও আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন।

দলমা ওয়াইন্ডলাইফ স্যানচুয়ারি
হরিণ, ভালুক, বাঘ, চিতা ও নানা বন্যপ্রাণ এখানের সেরা আকর্ষণ।

মাইথন বাঁধ
ঝাড়খণ্ডের সেরা আকর্ষণ মাইথন বাঁধ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম এই এই মাইথন বাঁধটিতে মাটির তলায় পাওয়ার স্টেশন তৈরি হয়। এখানকার বাঁধের জলাশয়ে বোটিং খুব জনপ্রিয়।

শক্তি মন্দির
মা দুর্গার নামে তৈরি এই মন্দিরে রয়েছে 'অখণ্ড জ্যোতি' শিখা যা বৈষ্ণুদেবী থেকে আনা হয়েছে।

তোপচাঁচি লেক
মানুষের তৈরি এই লেকটি জঙ্গল ও পাহাড়ে ঘেরা জায়গায় অবস্থিত। ঝাড়খণ্ডের মানুষের কাছে সেরা পিকনিক স্পটগুলির একটি এই লেক।

বীরসা-মুণ্ডা পার্ক
এই পার্কে ছোটদের নানা ধরনের রাইড রয়েছে তাছাড়া জায়গাটি অত্যন্ত মনোরম।

পাঞ্চেত বাঁধ
এখানে তৈরি জলবিদ্যুৎ সারা ঝাড়খণ্ডে সাপ্লাই হয়। মাইথন বাঁধের খুব কাছেই অবস্থিত এটি। এর জলাশয়ে প্রচুর পরিমাণে রুই, কাতলা, মৃগেলের চাষ হয়।

ধানবাদ কয়লাখনি
কয়লা খাদানের জন্য বিখ্য়াত এই এলাকা। পর্যটকেরা ঝাড়খণ্ডে এলে কয়লা খাদানগুলি একবার ঢুঁ মেরে যান।

ম্যাসাঞ্জোর বাঁধ
ময়ুরাক্ষী নদীর উপর নির্মিত এই বাঁধটি পর্যটকদের সেরা ঠিকানা।

টাটলোই উষ্ণ প্রস্রবন
এই উষ্ণ প্রস্রবনটিও ঝাড়খণ্ডের ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে অন্যতম চেনা জায়গা। শীতের সময়ে বহু মানুষ এখানে স্নানের উদ্দেশ্যে ভিড় জমান।

বাবা সোমেশ্বরনাথ মন্দির
এই শিব মন্দিরটিও দর্শনার্থীদের পরিচিত গন্তব্যস্থল।