(ছবি) ভারতের সেরা প্রাসাদগুলির রাজকীয় রূপ একঝলকে
ভারতের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য অন্যতম প্রাচীন ও একইসঙ্গে সারা বিশ্বে সমাদৃত।
এই সত্যতার ইতিহাস বয়ে বেড়াচ্ছে দেশের নানা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্থাপত্যগুলি। নানা ধরনের স্থাপত্যের মধ্যে অগুনতি রাজপ্রাসাদ, প্রাসাদও রয়েছে নানা রাজ্যে যা এককথায় অসাধারণ।
সেইসব প্রাসাদগুলির একেকটির একেকরকম গল্প, ঐতিহ্য রয়েছে। কোনওটি এখন মিউজিয়াম হয়ে গিয়েছে, কোনওটি আবার রাজকীয় হোটেল হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। বছরভর সেখানে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। আসুন নিচের স্লাইডে দেখে নেওয়া যাক, ভারতের কয়েকটি চোখধাঁধানো প্রাসাদের কয়েকঝলক।
ব্যাঙ্গালোর প্যালেস
একেবারে বেঙ্গালুরু শহরের মধ্যে অবস্থিত এই প্য়ালেসটি লন্ডনের উইন্ডসর দূর্গের আদলে তৈরি। ১৮৮৭ সালে ওয়াড়েয়ার বংশের রাজারা এটি তৈরি করেন।
বোলগট্টি প্যালেস
কেরলের কোচি শহরের বোলগট্টি দ্বীপে ১৭৪৪ সালে পর্তুগিজরা এই প্রাসাদ তৈরি করে। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এই প্রাসাদ রাষ্ট্রের সম্পত্তিতে পরিণত হয় এবং সেখানে ঐতিহ্যশালী হোটেল গড়ে উঠেছে।
চৌমহল্লা প্যালেস
হায়দ্রাবাদের নিজামদের গর্ব ছিল চৌমহল্লা প্যালেস। ১৮৫৭ থেকে ১৮৬৯ সালের মধ্যে কোনও এক সময়ে এই প্রাসাদ তৈরির কাজ শেষ হয়। জাতিসংঘের শাখা ইউনেস্কোর তরফেও এই প্রাসাদকে হেরিটেজ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
কোচবিহার প্যালেস
পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত এই প্রাসাদটি লন্ডনের বাকিংহ্যাম প্যালেসের আদলে তৈরি।
জগন্মোহন প্যালেস
এই প্যালেসটি মহীশূর বা বর্তমানে মাইসোরে অবস্থিত। সেখানকার ওডেয়ার রাজার আমলে ১৮৬১ সালে এটি নির্মাণকার্য শেষ হয়।
জয় বিলাস মহল
গোয়ালিয়রের মহারাজা জয়াজিরাও সিন্ধিয়া ১৮৭৪ সালে এই মহল তৈরি করেন। এই প্রাসাদে ৪০০টি ঘর রয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি ঘর নিয়ে মিউজিয়াম গড়ে উঠেছে।
কোউদিয়ার প্যালেস
১৯৩৪ সালে কেরলের মহারাজা চিতিরা তিরুনাল একমাত্র বোন লক্ষ্মীবাঈ তিরুনালের বিয়ে উপলক্ষে তৈরি করেন। তিরুবনন্তপুরমে অবস্থিত ১৫০ টি ঘরবিশিষ্ট এই প্রাসাদে এখনও রাজপরিবারের সদস্যরা বসবাস করেন। ফলে এখানে প্রবেশ দর্শনার্থীদের জন্য নিষিদ্ধ।
লেক প্যালেস
১৭৪৩-১৭৪৬ সালের মধ্যে এই প্রাসাদটি তৈরি করেন মহারাজা জগত সিং (দ্বিতীয়)। রাজস্থানের উদয়পুরে পিচোলা লেকের মধ্যবর্তী জায়গায় চার একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত এই প্যালেসটি বিশ্বের সবচেয়ে রোমান্টিক হোটেলের তকমা পেয়েছে।
লক্ষ্মীবিলাস প্যালেস
১৮৯০ সালে মহারাজা শিবাজিরাও গায়কোয়াড় এই প্রাসাদটি তৈরি করেন। ভদোদরায় অবস্থিত এই প্রাসাদটি বাকিংহ্যাম প্রাসাদের চারগুণ বেশি বড়। এবং সেই সময়েই এটি তৈরিতে খরচ হয়েছিল ১ লক্ষ ৮০ হাজার পাউন্ড।
মার্বেল প্যালেস
কলকাতায় রাজা রাজেন্দ্র মল্লিক এই প্রাসাদ তৈরি করেন। ১৮৩৫ সালে নির্মিত এই প্রাসাদটির দেওয়াল ও মেঝে মার্বেলের তৈরি। কলকাতার মুক্তারামবাবু স্ট্রিটে এই প্রাসাদ অবস্থিত।
মহীশূর প্যালেস
এই প্রাসাদটি অম্বা বিলাস প্রাসাদ নামেও খ্যাত। ইন্দো-রোমান স্থাপত্যকর্মের ছাপ রয়েছে গোটা প্রাসাদ জুড়ে। দশেরার সময় অপরূপ সৌন্দর্যে সেজে ওঠে এই প্রাসাদ। সেসময়ে সারা বিশ্ব থেকে পর্যটকেরা ভিড় জমান এখানে।
পদ্মনাভপুরম প্যালেস
পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পাদদেশে গড়ে ওঠা এই প্রাসাদটি তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী জেলায় অবস্থিত। ১৬০১ সালে ত্রিবাঙ্কুরের রাজা এই প্রাসাদটি তৈরি করেন।
রামবাগ প্যালেস
মহারাজা জয়পুরের আবাসস্থল ছিল এই প্রাসাদটি। এর ভিতরের শোভা অপূর্ব। এখন এটি একটি হোটেলে পরিণত হয়েছে।
উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ
আগরতলায় অবস্থিত এই প্রাসাদটি মহারাজা রাধাকিশোর মানিক্য তৈরি করেন। বলা হয়, প্রাসাদের শোভা দেখে মোহিত হয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই প্রাসাদের নাম দেন 'উজ্জ্বয়ন্ত প্রাসাদ'।