গৌতম বুদ্ধ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য যেন বিহারের লুকানো সম্পদ
গৌতম বুদ্ধ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য যেন বিহারের লুকানো সম্পদ
ব্যস্ততায় ভরা জীবন থেকে খানিক মুক্তির আশায় বেরিয়ে পড়ার মন তৈরি করলে জায়গার অভাব হয় না। আমাদেরই আশেপাশে এমন অনেক স্থান ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, তা অনেকেরই অজানা। তার খোঁজ থাকলেই বেরিয়ে পড়াটা কেবল পর্যটক মনের অভ্যাসে পরিণত হয়। তেমনই এক স্থান বিহারের গয়া। ধার্মিক আকর্ষণ বাদ দিলে সদয় এখানে প্রকৃতিও। তারই একটা অকৃত্রিম অংশ গৌতম বুদ্ধ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। যাকে বিহারের লুকানো সম্পদ বলা যেতে পারে।
অবস্থান
ভারতের বিহার রাজ্যের গয়া জেলা এবং ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলার অংশ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গৌতম বুদ্ধ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। গয়া শহর থেকে ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত এই স্থানটি সম্পর্কে হয়তো জানেন না অনেকেই। তাই বুদ্ধগয়া, রাজগীর ঘুরেই বাড়ি ফিরে আসেন পর্যটকদের অধিক অংশ। ২৫৯ বর্গ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান করা এই অভয়ারণ্য বিরাজমান অকৃত্রিম সৌন্দর্য্য।
কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে ট্রেন কিংবা বাসে আগে পৌঁছে যেতে হবে গয়া। সেখান থেকে গাড়ি বুক করে কিংবা বাসে পৌঁছে যান গৌতম বুদ্ধ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। অনেকে আবার ঝাড়খণ্ড থেকেও গাড়িতে এই স্থানে ঢুঁ মারেন।
ইতিহাস
১৯৭৬ সালের আগে এই স্থান ছিল বেসরকারি শিকার ক্ষেত্র। ওই বছরই অরণ্যটি সরকারের হাতে চলে যায় এবং অভয়ারণ্যের মর্যাদা পায়। যা দেশের মধ্যে অন্যতম প্রাচীনও বটে।
কী কী পশু দেখবেন
১) স্তন্যপায়ী প্রাণী : চিতাবাঘ, ভারতীয় হাতি, লাঙ্গুর, বন্য কুকুর, বড় কাঠবেড়ালী, হরিণ, হায়না, নীলগাই, সম্বর, বন্য শুকর, শিয়াল, পর্কুপাইন, প্যাঙ্গোলিন, ভাল্লুক।
২) পাখি : ঈগল, ময়না, ভালচার, পিফউল, মথুরা পাখি, ভারতীয় রোলার, সোনালী ওরিওলে, বুলবুল, ময়ূর।
৩) সরীসৃপ : ক্যামেলিওন প্রজাতির গিরগিটি, পাইথন।
৪) নিম্ন গাঙ্গেয় সমভূমি আর্দ্র পর্ণমোচী বনভূমি ও ছোটনাগপুর শুষ্ক পর্ণমোচী বনভূমির অংশ হওয়ায় এই অভয়ারণ্যে শাল, পাহাড়ি কাঁটাবনের আধিক্য বেশি।
কোথায় থাকবেন
গৌতম বুদ্ধ বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে পর্যটকদের থাকার জন্য রেস্ট হাউস রয়েছে। আগে থেকে বুকিং করে জঙ্গলে রাত কাটিয়ে পরের দিন সকালে গাড়িতে সাফারি করা যায়। অনেকে আবার গয়া বেড়াতে গিয়ে এক দিনের জন্য ঢুঁ মারেন এই অভয়ারণ্যে।