ছুটিতে আদিম অরণ্যের অন্দরমহলে, চলুন মেন্দাবাড়ি
কেন যাবেন: ডুয়ার্সের চিলাপাতা ফরেস্টে রয়েছে পাঁচটি বিট। তার একটি হল মেন্দাবাড়ি।
চিলাপাতার 'কোর এরিয়া' মানে ঠাসবুনোট বনে রয়েছে মেন্দাবাড়ি জঙ্গল ক্যাম্প। দিনের বেলাতেও বাংলোর কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ে হরিণ। হাতির পাল ঘুরতে ঘুরতে উঁকি দেয় এখানে। রাত নামলে জেগে ওঠে ডুয়ার্সের আদিম অরণ্য। আপনার এলিয়ে পড়া অবসরের সাক্ষী থাকবে শুধু রাতজাগা তারা। পূর্ণিমায় জ্যোৎস্না ধুয়ে দেবে বাংলোর বারান্দা। একটু দূরে দেখে নেওয়া যায় নজরমিনার। তোর্সা নদীর ধারে এই নজরমিনারটি থেকে জঙ্গলের বহু দূর পর্যন্ত দেখা যায়। দেখে নিতে পারেন গুপ্তযুগে তৈরি হওয়া নলরাজার গড়। এটি অবশ্য এখন ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। জনজীবন দেখার বাসনা থাকলে রাভা ও মেচ উপজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলি ঘুরতে পারেন।
আরও পড়ুন: মায়াবী কুয়াশা, মেঘের লুকোচুরি, গাছে-গাছে কমলালেবু: ওয়াহ্ জম্পুই!
কীভাবে যাবেন: শিয়ালদহ থেকে ১৩১৪৯ কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে আসুন হাসিমারা। অথবা ১৩১৪৭ উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে কোচবিহার চলে আসুন। দু'জায়গা থেকেই গাড়িতে পৌঁছনো যায় মেন্দাবাড়ি। হাসিমারা থেকে ১৮ কিলোমিটার এবং কোচবিহার থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে আপনার গন্তব্য়।
কোথায় থাকবেন: থাকার জন্য রয়েছে মেন্দাবাড়ি জঙ্গল ক্যাম্প। যোগাযোগ করতে পারেন- ডিএফও, ওয়াইল্ড লাইফ থ্রি, কোচবিহার-৭৩৬১০১ (ফোন: ০৩৫৮২-২২৭১৮৫/03582-227185)।
থাকার জন্য মেন্দাবাড়ি জঙ্গল ক্যাম্পের জুড়ি নেই। একান্তই যদি জায়গা না পান, তা হলে থাকতে পারেন চিলাপাতা জঙ্গল ক্যাম্পে। যোগাযোগ করুন: গণেশ রাই (৯৪৭৪৩৮২৪৪২/9474382442)।
মনে রাখুন: (১) মেন্দাবাড়ি জঙ্গল ক্যাম্পে বিদ্যুৎ নেই। জঙ্গলের আদিম রূপকে উপভোগ করার জন্যই এই ব্যবস্থা। তাই আগে থেকে মোবাইল ফোন, ক্যামেরা ইত্যাদি চার্জ করে রাখবেন ভালো করে।
(২) সঙ্গে টর্চ রাখা আবশ্যিক।
(৩) চিলাপাতা জঙ্গলে এক রকম গাছ আছে। রামগুয়া। এই গাছে গায়ে আঘাত করলে রক্তের মতো লাল রস বেরোয়। অবশ্যই এই গাছ দেখে নেবেন।
(৪) ভাতের সঙ্গে অবশ্যই নদীর টাটকা বোরোলি মাছের ঝোল খেয়ে দেখবেন।
(৫) রাতে কখনওই বাংলো চত্বর ছেড়ে বাইরে বেরোবেন না। বুনো জন্তুদের উপদ্রব আছে।