কেরলের ব্যাকওয়াটার্সে হাউসবোট বেড়ানোর মজা উপভোগ করতে চান, কলকাতার কাছেই মিলবে এমন সুযোগ
কলকাতার কাছেই রয়েছে কেরলের মত হাউসবোটে বেড়ানোর সুযোগ
ব্যাকওয়াটার্সে হাউস বোটে বেড়ানো। চোখের সামনে ভেসে উঠবে কেরলের ছবি। কিন্তু আসল খবরটা হল কলকাতা নয় কেরলের মত সেই হাউসবোটে বেড়ানোর সুযোগ রয়েছে কলকাতাতেই। গঙ্গাবক্ষে অপেক্ষা করছে হাউসবোট। পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের নতুন উদ্যোগ। যার নাম মঙ্গলধারা। কলকাতা থেকে ১ ঘণ্টার দূরত্বেই রয়েছে সেই জায়গা।
হাউসবোটে বেড়ানোর সুযোগ
কলকাতার কাছেই সপ্তাহান্তে সময় কাটানোর এক মোক্ষম জায়গা হাউসবোট। গঙ্গাবক্ষে হাউসবোটে সপ্তাহান্তে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসুন। ঘরের কাছেই রয়েছে সেই সুযোগ। কলকাতা থেকে যেতে মাত্র ১ ঘণ্টা সময় লাগবে। ব্যারাকপুরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটনের সেই ব্যবস্থাপনা। যার নাম মঙ্গলধারা ট্যুরিজিম প্রপার্টি। এখানেই গঙ্গাবক্ষে তৈরি করা হয়েছে হাউসবোট। কেরলের ব্যাক ওয়াটার্সের মত মনে হবে এখানে থাকলে। চারিদিকে গঙ্গা মাঝে হাউসবোটে থাকার এক অন্যরকম পরিবেশ।
কীভাবে যাবেন
কলকাতা থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে রয়েছে ব্যারাকপুর। সেই ব্যারাকপুরেই গঙ্গা বক্ষে তৈরি হয়েছে এই হাউসবোট। যাকে বলে হাউসবোটেই হোটেল। চারটে ঘর রয়েছে একটি হাউসবোটে। ঘরে সবরকম ব্যবস্থাই রয়েছে। হাউস বোটে রয়েছে ছোট্ট একটা কিচেন। এখানেই খাবার তৈরি হয় অতিথিদের জন্য। আগে থেকে বুকিং করে যেতে হয়ষ অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে জায়গাটি। ঘর প্রায় ফাঁকা পাওয়াই যায় না। ব্যারাকপুর স্টেশন থেকে টোটো করেই পৌঁছে যাওয়া যায় এখানে। আবার যাদের উচ্ছে গাড়ি করে চলেও আসতে পারেন।
আর কী আছে দেখার
ব্যারাকপুরের এই হাউসবোটে থাকার পাশাপাশি কাছাকাছি বেড়িয়ে আসতে পারেন কয়েকটি জায়গায়। হাঁটতে হাঁটতে বিকেলে বেড়িয়ে আসতে পারেন গান্ধী ঘাট থেকে। বেশ শান্ত নিরিবিলি জায়গা। আবার তার কিছুদূরেই রয়েছে অন্নপূর্ণা মন্দির। যাকে বলা হয়ে থাকে দ্বিতীয় দক্ষিণেশ্বর। একেবারে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলেই তৈরি হয়েছে অন্ন পূর্ণামন্দির। রানি রাসমনির মেজ মেয়ে জগদম্বা দেবী তৈরি করেছিলেন এই মন্দিরটি। এখানে ঘটা করে অন্নপূর্ণা মন্দির তৈরি হয়।
ছাদের টেরিস গার্ডেন
ঘরে বসে গঙ্গা দেখতে দেখতে চা খেতে মন্দ লাগবে না সকাল বিকেল। ঘুম চোখ খুললেই দেখা যাবে গঙ্গা। গঙ্গা বয়ে যাওয়া ছোট ছোট নৌকা। পড়ন্ত বিকেলে গঙ্গার মনোরম পরিবেশন মন ভরিয়ে দেবে। কেরলের ব্যাক ওয়াটার্সে হাউসবোটে বেড়ানো বা কাশ্মীরে ডাল লেকে হাউস বোটে থাকার আনন্দের মতই উপভোগ্য এই হাউস বোটে একটা দিন কাটানো। একেবারে অন্যরকম একটা অনুভূতি। হাউস বোটের ছাদে আবার একটা বাগানও রয়েছে। চাইলে সেখানেও বসে থাকা যায়।
ছবি সৌ:ইনক্রিডিবল রোড/ইউটিউব
মাঘ-ফাগুনের দুপুরে দ্বীপের মাঝে চড়ুইভাতি, কলকাতার কাছেই অপেক্ষা করছে মঙ্গলদ্বীপ