জানেন কি কোথায় রয়েছে সীতাকুণ্ড, কলকাতার কাছেই রয়েছে সেই দর্শনীয় স্থান
প্রখর গ্রীষ্মেও কমে না সীতাকুণ্ডের জল
সীতা কুণ্ড রয়েছে এই বঙ্গেও। অনেকেই জানেন না সেই জায়গার কথা। পুরুলিয়ার জয়চণ্ডী পাহাড়েই রয়েছে সেই পবিত্র কুণ্ড। পর্যটকরা জয়চণ্ডী পাহাড়ে গেলেও এই সীতাকুণ্ডের কথা অনেকেই জানেন না। কারণ এখানে যাওয়ার জন্য তেমন ভাবে কোনও রাস্তা এখনও তৈরি হয়নি। সপ্তাহান্তে অনায়াসেই বেড়িয়ে আসা যায় এই জয়চণ্ডী পাহাড় থেকে।
কোথায় আছে এই সীতাকুণ্ড
জয়চণ্ডী পাহাড়। পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের মতই জনপ্রিয় পর্যটন স্থল জয়চণ্ডী পাহাড়। অনেকেই সেখানে ট্রেক করতে যান। জয়চণ্ডী পাহাড়েই রয়েছে সীতা কুণ্ড। জয়চণ্ডী মন্দিরের পিছনেই রয়েছে এই সীতা কুণ্ড। এখানকার বাসিন্দাদের মুখে জানা যায় এই সীতাকুণ্ডের পৌরানিক কাহিনী। এই সীতাকুণ্ডের জল নাকি কখনও কমে না। প্রখর গরমেও একই অবস্থায় থাকে। আর এই সীতা কুণ্ডের জল দিয়েই পুজো হয় জয়চণ্ডীর মন্দিরে।
কী আছে পৌরাণিক কাহিনী
জয়চণ্ডী পাহাড়ের উপরে অবস্থিত এই সীতাকুণ্ডের একটি পৌরাণিক কাহিনী। কথিত আছে রাম চন্দ্র যখন লঙ্কায় রাবণকে পরাজিত করে সীতাকে নিয়ে ফিরছিলেন। তখন পুস্পক রথের চাকা ঘসা খেয়েছিল এই জয়চণ্ডী পাহাড়ে। সেই চাকার চিহ্নও রয়েছে পাহাড়ের গায়ে। পুস্পক রথের চাকা যখন ঘষা খায় পাহাড়ের গায়ে তখন সীতার চুল ছুয়ে গিয়েছিল পাহাড়ের গায়ে। তার থেকেই এই কুণ্ডের সৃষ্টি। মানুষের চোখের আকৃতির এই কুণ্ডের জল নাকি কোনও দিন কমে না। এই কুণ্ডেই রয়েছে জলের উৎস্য।
আর কী রয়েছে জয়চণ্ডী পাহাড়ে
জয়চণ্ডী পাহাড়ে একাধিক জিনিস রয়েছে দেখার। জয়চণ্ডী পাহাড়ে ওঠার পথটাই বেশ সুন্দর। পাহাড় ভেঙে উঠতে হবে উপরে। একেবারে উপরে রয়েছে জয়চণ্ডী মাতার মন্দির। রয়েছে একটি হনুমান মন্দিরও। স্থানীয়রা প্রায়ই এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। পর্যটকরাও পাহাড়ে বেড়াতে এসে পুজো দিয়ে যান। শীতকালে এখানে ট্রেকিংয়ে জন্য আসেন। শিক্ষার্থীদেরও নিয়ে আসা হয়। সকলে এসে জয়চণ্ডী মাতার মন্দির পর্যন্তই যান তার পিছনে যে একটা সীতাকুণ্ড রয়েছে তা অনেকেই জানেন না।
কীভাবে যাবেন
পুরুলিয়া যাওয়ার সেরা পরিবহণ ট্রেন। হাওড়া স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন ছাড়ে পুরুলিয়া যাওয়ার জন্য। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর সাবডিভিশনে রয়েছে এই জয়চণ্ডী পাহাড়। তার উপরে রয়েছে জয়চণ্ডী মন্দির। আর মন্দিরের পিছনে রয়েছে সীতাকুণ্ড। কিন্তু সেখানে যাওয়ার রাস্তা খুব কঠিন। অনেকেই সেখানে যান না। গাইড নিয়ে গেলে ভাল। তার কাছে সেই সীতাকুণ্ডের উৎপত্তির কথা জানা যায়।
ছবি সৌ:এক্সপ্লোর উইথ সায়ন/ইউটিউব ভিডিও