গজাননের দর্শনে আর মুম্বই পাড়ি দিতে হবে না, জানেন কী শহরেই রয়েছে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির
গজাননের দর্শনে আর মুম্বই পাড়ি দিেত হবে না, জানেন কী শহরেই রয়েছে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির
বেড়ানো মানেই যে ব্যাগ গুছিয়ে দূরপাল্লার যাত্রা তা নয়। শহরেই ছড়িেয় ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য জায়গা। সামনেই উৎসব। চারিদিকে পুজোপুজো আমেজ। রাস্তা জুড়ে হচ্ছে বড় বড় প্যান্ডেল। পুজোর শপিংয়ে বেড়িয়ে পড়েছেন সকলে। এরই মাঝে আবার কয়েকদিন পরেই রয়েছে গণেশ চতুর্থী। গণেশ পুেজার পরেই বলা হয়ে যাকে সব দেবতার পুজো হয়। কাজেই দেশে উৎসবের মরশুম গণেশ চতুর্থী দিয়েই শুরু হয়ে যায়। আর এই গণেশ চতুর্থীর দিন বাড়ির কাছেই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে দর্শন করে আসুন। বাড়ির কাছে বলছি তার কারণ শহরেই রয়েছে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। তার জন্য মুম্বই পাড়ি দিতে হবে না।
শহরেই সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির
জানেন কি শহরেই রয়েছে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। বেশিরভাগ মানুষই জানেন না সেকথা। অনেকেই হয়তো ভাববেন সম্প্রতি হয়তো তৈরি হয়েছে। কিন্তু তা নয় এই মন্দির শহরে রয়েছে বহু প্রাচীণকাল থেকে। উত্তর কলকাতার অলিগলি যাঁরা ঘুরতে ভালবাসেন তাঁদের পক্ষে জানা খুব একটা কঠিন নয় সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। তাঁরা হয়তো অনেকেই জানেন শহরের কোথায় রয়েছে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির। উত্তর কলকাতার একেবারে মাঝে মুক্তারাম বাবু স্ট্রিটে গেলেই দেখা যাবে সিদ্ধিবিনায়কের।
কীভবে যাবেন
আগে না হয় বাসের নম্বর দেখে দেখে যেত হত। অনেক হ্যাপা। যাঁরা শহরের আশপাশে থাকেন তাঁদের এই মন্দিরে যাওয়ার সবচেয়ে উপযোগী বাহন হল মেট্রো। দমদম বা কবি সুভাষ থেকে মেট্রোয় চড়ে নামুন এমজি রোড স্টেশনে দমদম থেকে এলে ২ নম্বর গেট দিয়ে বেরোতে হবে। স্টেশন থেকে বেরিয়েই বাম দিকে যেতে হবে। সেখানে পর পর তিনটে গলি পড়ে। তিন নম্বর গলি দিয়ে গেলেই দেখা যাবে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের। । বাস রুটেই আসা যায়। গাড়ি িনয়ে যেতে পারেন েসখােন গাড়ি রাখার জায়গা রয়েছে।
মুম্বইয়ের সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরের থেকে কিছু কম সু্ন্দর নয়
প্রাসাদোপম মন্দির। পুরোটাই শ্বেত পাথরের তৈরি। মল্লিক কুঠি রাজবাড়ি তৈরি করা হয়েছিল। একেবারে রাজবাড়ির আগলে তৈরি করা হয়েছে মন্দিরটি। বড় বড় ঝাড়বাতি। কড়ি বরগার ছাদ। ঠাকুর দালান। বাঙালি জমিদার বাড়িতে যেমনটা দেখা মেলে সেরকমই রয়েছে মন্দিরটি। প্রতিদিন রাত ৮টা পর্যন্ত মন্দিরে পুজো দেয়া যায়। গণেশ মন্দিরের পাশেই রয়েছে হনুমান মন্দির।
শহরে উৎসবের মেজাজ
শহরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের আমেজ। জন্মাষ্টমী কাটতেই শুরু হয়ে যাবে গণেশ পুজো। তারপরেই বিশ্বকর্মা পুজো। দুর্গাপুেজার ঘণ্টা বেজে যাবে। গণেশ চতুর্থী গোটা দেশেই পালিত হয়ে থাকে। শহরে এখন ভালই গণেশ চতুর্থী উদযাপন করা হয়ে থাকে। গণেশ চতুর্থীর দিন ঘুরে আসতেই পারেন কলকাতার সিদ্ধিবিনায়ক মন্দির থেকে।
শহরের কাছেই রয়েছে রহস্যে ঘেরা এক কেল্লা, মনে করিয়ে দেবে ভানগড়ের কথা