পাহাড়ের বুকে পাইনের বনে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে লাভা, সৌন্দর্য্যের অন্য ঠিকানা
পাহাড়ের বুকে পাইনের বনে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে লাভা, সৌন্দর্য্যের অন্য ঠিকানা
কিছু কাল আগেও ভুটানের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য যোগাযোগ হত যে রাস্তা ধরে, সেই পথের অন্যতম আকর্ষণীয় শহর ছিল লাভা। আজ এ শহরের গুরুত্ব কমলেও আকর্ষণ কমেনি একফোঁটাও। পাহাড়ের বুকে পাইনের বনে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা এই শহর সৌন্দর্য্যের অন্য ঠিকানা। আঁকাবাঁকা দুর্গম পার্বত্য পথ, শিরশিরে হাওয়া এবং মেঘের রাজ্যে হারিয়ে না গিয়ে থাকতে পারেন না পর্যটকরা।
অবস্থিতি
সমুদ্রতল থেকে ২৩৫০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত লাভা শহরটি কার্শিয়াং থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য, বেশকিছু মনাস্ট্রি এই এলাকার মুখ্য আকর্ষণ। রং-বেরংয়ের নানা প্রজাতির পাখি দেখতেও অনেকে ভিড় জমান লাভায়।
কীভাবে পৌঁছবেন
কলকাতা থেকে ট্রেন, বাস কিংবা আকাশ পথে পৌঁছে যেতে হবে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে ৮২ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করলেই পৌঁছে যাওয়া যায় লাভা। অনেকে আবার দার্জিলিং কিংবা কার্শিয়াংয়ে এক রাত থেকে সেখান থেকে লাভার উদ্দেশে রওনা হন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে ঢেলে সাজানো এই শৈল শহর বর্তমানে পর্যটকের অন্যতম আকর্ষণস্থল।
কী কী দেখবেন
১) রাচেলা পাস : লাভা থেকে নেওড়া ভ্যালি হয়ে জঙ্গলে ঘেরা পার্বত্য পথ ধরে ১২ কিলোমিটার ট্রেকিং করে পৌঁছে যাওয়া যায় রাচেলা পাসে। যাকে বাংলা, সিকিম এবং ভুটানের সংযোগস্থল বলা হয়। পথিমধ্যে রোডোডেনড্রন, বাঁশ বন পর্যটকদের নজর টানে।
২) রামিতে ডারা ভিউ পয়েন্ট : সমুদ্রতল থেকে ১৪০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই ভিউ পয়েন্ট পাহাড়, মেঘ ও সবুজের শোভা দেখে মুগ্ধ হতে হয়।
৩) লাভা মনাস্ট্রি : পাহাড়ের উচ্চতায় কিংবদন্তি কার্মা লোডরো চোকি সেংগের হাতে তৈরি এই মনাস্ট্রি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের স্থল।
কোথায় থাকবেন
পর্যটকদের জন্য লাভা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় প্রচুর বাংলো, হোটেল এবং হোম স্টে তৈরি করে দিয়েছে প্রশাসন। বর্ষাকাল ছেড়ে বছরের বাকি সময় এই এলাকায় যাওয়া যায়।
মেঘের রাজ্যে এক বিন্দু কার্শিয়াং যেন মুক্তপ্রাণ ও খুশির আলো