তারকেশ্বর থেকে চলে আসুন দশঘরায়, ফাগুনের রং মন ভরিয়ে দেবে
তারকেশ্বর থেকে চলে আসুন দশঘরায়, ফাগুনের রং মন ভরিেয় দেবে
ফাগুনের রং লাগতে শুরু করেছে প্রকৃতিতে। পলাশ, শাল, শিমূল ফুটতে শুরু করেছে। আর এই বসন্তে বাড়িতে মন টেকে না। করোনার দৌরাত্মও তেমন নেই। কাজেই বেরিয়ে পড়ুন পরিবার সঙ্গে নিয়ে। কাঠে পিঠে হলে তো মন্দ হয় না। এমনই একটা পর্যটন কেন্দ্র দশঘরা। তারকেশ্বরের কাছেই রয়েছে দশঘরা। তারকেশ্বরের দর্শন সেরে অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন দশঘরায়।
ঘরের কাছেই দশঘরা
তারকেশ্বরের কাছেই রয়েছে দশঘরা। সুন্দর বেড়ানোর জায়গা। তারকেশ্বর রেলস্টেশন থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরেই দশঘরা। দশটি গ্রাম নিয়ে তৈরি হয়েছে বলে এর নাম দশঘরা। ইছাপুর, গোপীনগর, গঙ্গেশনগর, পাড়াম্বো, দিঘরা, নলথোবা, শ্রীরামপুর, আগলাপুর, জাড়গ্রাম,শ্রীকৃষ্ণপুর। এই দশটি গ্রাম নিয়ে তৈরি হয়েছে দশঘরা। বারোদুয়ারি রাজাদের রাজধানী ছিল এই দশঘরা। তাই এখানকার কোনায় কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য পুরা কীর্তি।
ঘরের কাছেই দশঘরা
তারকেশ্বরের কাছেই রয়েছে দশঘরা। সুন্দর বেড়ানোর জায়গা। তারকেশ্বর রেলস্টেশন থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরেই দশঘরা। দশটি গ্রাম নিয়ে তৈরি হয়েছে বলে এর নাম দশঘরা। ইছাপুর, গোপীনগর, গঙ্গেশনগর, পাড়াম্বো, দিঘরা, নলথোবা, শ্রীরামপুর, আগলাপুর, জাড়গ্রাম,শ্রীকৃষ্ণপুর। এই দশটি গ্রাম নিয়ে তৈরি হয়েছে দশঘরা। বারোদুয়ারি রাজাদের রাজধানী ছিল এই দশঘরা। তাই এখানকার কোনায় কোনায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য পুরা কীর্তি।
কী কী দেখা যাবে
দশঘরায় পুরাকীর্তির অভাব নেই। বিশ্বাসপাড়ার বিশালাক্ষী পুস্করণী থেকে শুরু করে চারচালা, দোলমঞ্চ, আটকোনা রাসমঞ্চ,নহবতখানা, দুর্গাদালান, কাছারিবাড়ি, আটচালা শিবমন্দির কি নেই। দুর্গাদালানের পাশেই রয়েছে বিশ্বাসবাড়ির রাধাগোপীনাথ জিউ-র মন্দির। ১৮২৯ খ্রীষ্টাব্দে সেটা তৈরি করেছিলেন সদানন্দ বিশ্বাস। গোপীনাথ জিউ মন্দিরে টেরাকোটার কারুকাজ মুগ্ধ করবে। রামায়ন-মহাভারতের বিভিন্ন কাহিনি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই টেরাকোটা শিল্পের মধ্যে।
কীভাবে যাবেন
দশঘরা থেকে কলকাতার দূরত্ব বেশি নয়। লোকাল ট্রেন বা বাস অথবা গাড়ি তিন ভাবেই যাওয়া যায়। কলকাতা থেকে দশঘরার দূরত্ব মাত্র ৭০ িকলোমিটার। তারকেশ্বরগামী লোকাল ট্রেনে তারকেশ্বর স্টেশনে নামতে হবে। স্টেশন থেকে বাসে বা ট্রেকারে করেও যাওয়া যায়। যেতে সময় লাগবে আধঘণ্টা। গাড়িেত কলকাতা থেকে যেতে সময় লাগবে আড়াই ঘণ্টার মত। মাঝে একটু চা বা ব্রেকফাস্ট করে নিতে পারেন দিল্লি হাইওয়ের ধারে। ফাগুনের সকালে মন্দ লাগবে না।
কীভাবে ঘুরবেন
দশঘরায় পৌঁছে অনেকেই মনে করতে পারেন কোথা থেকে শুরু করবেন ঘোরা। গাড়িতে যাঁরা যাচ্ছেন তাঁদের চিন্তা নেই। কিন্তু ট্রেনে অথবা বাসে যাঁরা দশঘরা যাবেন তাঁদের জেনে রাখা জরুরি। দশঘরার বাজারপাড়ায় নামলেও মেলে ভ্যান রিকশা। সেটা ভাড়া করে নিলেই হল। তারাই ঘুরিয়ে দেখিয়ে দেবে দশঘরার পুরাকীর্তি। ঘড়ি মিনার, শিবমন্দির, গোপীনাথ জিউ-র মন্দির, রাশ মঞ্চ, দোলমঞ্চ। এখনও এখানে দোলের দিন দোল খেলেন গ্রামবাসীরা।