শীতের ছুটিতে ঘুরে নিন গুজরাতের কচ্ছের 'রন উৎসব',রইল থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্তের খোঁজ
প্রকৃতির রুক্ষতাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে গুজরাতের কচ্ছে রন। আর এখানেই প্রতিবারের মতো এবছরেও আয়োজিত হতে চলেছে ' রন উৎসব'।
সাদা বালিতে পূর্ণিমা রাতের চাঁদের আলো, ব্যাস্ততার জীবন থেকে কয়েকদিনের নিষ্কৃতির জন্য এই নৈস্বর্গিক দৃশ্যই কী যথেষ্ট নয়? প্রকৃতির রুক্ষতাকে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে গুজরাতের কচ্ছে রন। আর এখানেই প্রতিবারের মতো এবছরেও আয়োজিত হতে চলেছে ' রন উৎসব'। এবছরের উৎসব শুরু হচ্ছে ১৭ নভেম্বর থেকে, চলবে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। রুক্ষ গুজরাতের রঙিন সংস্কৃতিকে চাক্ষুস দেখতে হলে, একবার যেতেই পারেন কচ্ছেন এই রান উৎসবে। কীভাবে যাবেন, থাকা-খাওয়ারই বা কী আয়োজন, উৎসবের বিশেষ আকর্ষণই বা কী একনজরে দেখে নিন।
[আরও পড়ুন:কাশ্মীরের এই অজানা জায়গাগুলিতে বেড়াতে না গেলে অসম্পূর্ণ থাকবে 'ভূস্বর্গ' সফর]
প্রকৃতির অপরূপ শোভা
কচ্ছের রন উৎসবে যেতে হলে আপনাকে বেছে নিতে হবে কোনও পূর্ণিমার সময়কে। তবেই এই রুক্ষ প্রকৃতির জ্যোৎস্না রাতের হিমশীতল রূপকে প্রাণ জুড়ে অনুভব করা যাবে। পূর্ণিমার রাতে সাদা বালির উজ্জ্বলতায় চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য উপহার দিয়ে থাকে কচ্ছ।
[আরও পড়ুন:ডিসেম্বরের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন লাক্ষাদ্বীপ ,রইল থাকা থেকে বেড়ানোর জায়গার হদিশ]
কীভাবে যাবেন
ভারতের যেকোনও কোন থেকেই কচ্ছ যেতে হলে আপনাকে আগে পৌঁছতে হবে গুজরাতের ভুজে। সেখান থেকে যেতে হবে ধোরদো টেন্ট সিটিতে। ভুজ থেকে ধোরদো পর্যন্ত যেতে প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট সময় লাগবে। ধোরদো পর্যন্ত যেতে ভুজ স্টেশন বা বিমানবন্দরে গাড়ির ব্যাবস্থাও করে থাকে গুজরাত ট্যুরিজিম। তবে তা আগে থেকে বুক করে রাখতে হয়। এই গাড়ির আয়োজন প্রতিটি প্যাকেজে-র মধ্য়ে ধরা থাকে।
থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত
গুজরাত ট্যুরিজিমের তরফে রন উথসবে থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয় প্যাকেজের আকারে। উৎসবরে রস আস্বাদন করতে থাকতে হবে তাঁবুতে। তবে সেই বিলাসবহুল তাঁবুও আপনার মন কেড়ে নিতে বাধ্য। প্রিমিয়াম টেন্ট ভাড়া নিলে একজনের জন্য খরচ পড়ে ৮১০০ টাকা। এই টাকার মধ্যে ধরা থাকে খাওয়া ও ঘোরার বিভিন্ন বন্দোবস্ত। ডিলাক্স এসি সুইস টেন্ট নিলে খরচ ৭১০০ টাকা। নন এসি সুইস টেন্ট নিলে খরচ ৫৫০০ টাকা। থাকার বন্দোবস্ত সম্পর্কে যোগাযোগের নম্বর- +919512105050, 8469355050। তবে তাঁবু ছাড়াও হোটেলেরও ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
উৎসবের আকর্ষণ
রাজস্থানী ও গুজরাতি লোকগীতিতে এক অসাধারণ আমেজ তৈরি হয় কচ্ছের রন উৎসবে। সঙ্গে থাকে রাজস্থানী নাচ ও গানের নানা রকমের আয়োজন। যাতে গা না ভাসিয়ে থাকা দায়।
দর্শনীয় স্থান
উৎসবের আনন্দের পাশাপাশি আশপাশের বেশ কিছু দর্শনীয় স্থানও দেখে আসা যায়, সফরের অংশ হিসাবে। ভুজ, ধোলাবিরা, মান্ডবীর বিজয়বিলাস রাজপ্রাসাদ এখানের দেখবার মতো স্থান।
মান্ডবী বিচের সম্মোহন
রুক্ষ মরুপ্রকৃতির মাঝেই কচ্ছের আরব সাগর যেন আরও বেশি মোহময়ী হয়ে উঠেছে। এখানের মান্ডবী বিচে উটে চড়া অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি দিক, কচ্ছ সফরের।
এয়ার বেলুন ও বাইক রাইড
কচ্ছের রনের অন্যতম আকর্ষণ হল বাইক রাইড বা এয়ার বেলুন রাইড। এয়ার বেলুন রাইড-এ চড়লে অনেকটা উঁচু থেকে দেখা যায় গোটা কচ্ছকে। যার রূপ অসামান্য।
কেনাকাটা
গুজরাতের নানা হস্তশিল্পের নির্দশন এখানে দেখা যায়। রনের বিভিন্ন জায়গায় হস্ত শিল্পের সম্ভার নিয়ে বসেন বহু দূর দূরান্তের গ্রাম থেকে আসা মানুষ। বাঁদনীর কাজ থেকে গুজরাতি আভলা স্টিচের শিল্প, সমস্ত কিছুই পাওয়া যায় এখানে।