মূর্তি ও জলঢাকায় ঘেরা চাপরামারিতে বন্যপ্রাণের অবাধ আনাগোনা
মূর্তি ও জলঢাকায় ঘেরা চাপরামারিতে বন্যপ্রাণের অবাধ আনাগোনা
করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক কাটিয়ে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার পথে জনজীবন। ছন্দে ফিরছে রাজ্যের পর্যটন শিল্পও। সব ভুলে আরও একবার বাহির পানে মন ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির। সেই তাদেরই কাছে পর্যটনের সেরা ঠিকানা হতে পারে চাপরামারি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের অংশ এই স্থান ডুয়ার্সের অন্যতম আকর্ষণ।
অবস্থিতি
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির অন্তর্গত চালসা এবং লাটাগুড়ি থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত চাপরামারি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যে। চালসা থেকে নাগরাকাটা যাওয়ার পথে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কিছুটা এগিয়ে মূর্তি নদী পেরিয়ে দুই দিকে যে অরণ্য চোখে পড়বে, সেটিই গন্তব্য।
কীভাবে পৌঁছবেন
অনেকে কলকাতা থেকে ট্রেনে বাসে শিলিগুড়ি পৌঁছে সেখান থেকে সড়কপথে চাপরামারি যান। শিলিগুড়ি থেকে গন্তব্যে পৌঁছতে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। কেউ কেউ ট্রেনে সরাসরি মালবাজার স্টেশনে নেমে, সেখান থেকে চাপরামারি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের পথে অগ্রসর হন।
ইতিহাস ও আয়তন
জলপাইগুড়ির অন্তর্গত এই স্থান ১৮৯৫ সালে অরণ্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৩৯ সালে এর নাম হয় চাপরামারি ওয়াইল্ডলাইভ রিজার্ভ। ১৯৯৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকার এই জঙ্গলকে জাতীয় বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের মর্যাদা দেয়। যার অধীনে রয়েছে ৯৬০ হেক্টর সবুজ বন।
কী কী দেখবেন
এশীয় হাতি, বাইসন, সম্বর হরিণ, চিতাবাঘ এবং বন্য শুকোর চাপরামারি অভয়ারণ্যের মূল আকর্ষণ। কারো মতে ঘন জঙ্গলে ঘাপটি মেরে বসে থাকে বাংলার বাঘও। যদিও সচরাচর লোকালয়ে তাদের দর্শন মেলে না। বরং জঙ্গল ছেড়ে মাঝেসাঝেই জনারণ্যে বেরিয়ে আসে হাতি, বাইসন কিংবা চিতা। গা ছমছম করা এই অরণ্যে বিভিন্ন মরসুমে পরিযায়ী পাখিরাও ভিড় করে। জঙ্গলের মধ্যে তৈরি করা ওয়াচ টাওয়ার থেকে বন্যপ্রাণীর দর্শন মন মোহিত করে। গাড়িতে জঙ্গল সাফারি করে থাকেন অনেকে।
কখন যাবেন
বর্ষার কারণে জুলাইয়ের মধ্যভাগ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যভাগ পর্যন্ত অরণ্য বন্ধ থাকে। বাকি সময় জঙ্গলের শোভা দর্শন করতে পারেন পর্যটকরা।
ছবি সৌ: ইউটিউব