ঘরের কাছেই পক্ষী অভয়রাণ্য, শীতের শেষ বেলায় সেরে নিন ছোট্ট চড়ুইভাতি
ঘরের কাছেই পক্ষী অভয়রাণ্য, শীতের শেষ বেলায় সেরে নিন ছোট্ট চড়ুইভাতি
করোনা নয় নয় করে নেকটাই কমে গিয়েছে। ভ্রমণেও আর বিধিনিষেধ নেই। এববার এক ছুট্টে বেড়য়ে পড়লেই হল। বাড়ির কাছেই রয়েছে একাধিক জায়গা। অনেকে হয়তো জানেনই না কীভাবে যাবেন কোথায় যাবেন। এমনই এক ঘরের কাছে বেড়ানোর হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেটা চিন্তামনি কর পক্ষী অভয়ারণ্য। কলকাতার কাছেই রয়েছে সেই অভয়ারণ্য। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নােরন্দ্রপুরে। অনেকেই হয়তো এখনও সেখানকার কথা জানেন না।
ঘরের কাছেই বেড়ানো
ঘরের কাছেই রয়েছে একাধিক বেড়ানোর জায়গা। তার জন্য দূরে কোথাও যেতে হবে না। অনেকেই এখনও করোনার ভয়ে দূরে কোথাও যেতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁদের জন্য শহর থেকে দু-তিন ঘণ্টার দূরত্বে সুন্দর সুন্দর বেড়ানোর জায়গা রয়েছে। এখন তো আর বেড়াতে কোনও বাধা নেই। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে সব বিধিনিষেধ। কলকাতার কাছেই রয়েছে এরকম একাধিক ট্যুরিস্ট স্পট।
পক্ষী অভরাণ্য
অনেকেই হয়তো নরেন্দ্রপুরে অনেকবার গিয়েছেন। কিন্তু সেখানে যে একটা পক্ষী অভয়ারণ্য রয়েছে সেকথা অনেকেই জানেন না। ২০০৫ সাল চিন্তামনি কর পক্ষী অভয়ারণ্যটি অভরণ্যের মর্যাদা পেয়েছে। ভাস্কর চিন্তামনি করের প্রচেষ্টা এটা সম্ভব হয়েছিল। স্থানীয়দের অনেকেই হয়তো এই নামে জায়গাটিকে চেনন না। এখানকার পরিচিত নাম কয়ালের বাগান। একটি ঝিলকে ঘিরে তৈরি হয়েছে এই অভয়ারণ্যটি। শীতকালে এখানে অসংখ্য পরিযায়ী পাখির আনাগোনা হয়।
কোন কোন পাখি দেখা যায়
এই কয়ালের বাগান বা চিন্তামনি কর পক্ষী অভয়ারণ্যে অসংখ্য পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে। তার মধ্যে রয়েছে লেসার হুইসেলিং টিল, হেরন, ভুতুম প্যাঁচা, এশিয়ান কোকিল, দোয়েল, বেনে বউ, তিনা মুনিয়া, সবুজ বাঁশপাতি, নীলকণ্ঠ, বসন্ত বৌরী। আরও কত নাম না জানা পাখির দেখা মেলে এখানে। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রজাপতির ভিড়। প্রকৃতির কোলে বেশ কিছুটা সময় কাটালে মন ভরে যাবে।
কীভাবে যাবেন
কলকাতার খুব কাছেই এই পক্ষী অভয়ারণ্য। নরেন্দ্রপুর স্টেশন থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে। গাড়িতে বা বাসে গেলে গড়িয়া-নরেন্দ্রপুর গামী বাসে চাপতে হবে। নরেন্দ্রপুর বাসস্টপেজে নেমে নরেন্দ্রপুর রথতলার দিকে কিছুটা গেলেই পৌঁছনো যাবে সেই অভয়ারণ্যে। শীতকালে চড়ুইভাতির মনোরম পরিবেশ। তার সঙ্গে মন ভাল করে দেবে রংবেরঙের পাখির ভিড়।