ঘরের কাছে প্রাণী বৈচিত্রের স্বাদ নিতে ঘুরে আসুন বেথুয়াডহরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
ঘরের কাছে প্রাণী বৈচিত্রের স্বাদ নিতে ঘুরে আসুন বেথুয়াডহরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য
কাছেপিঠে এক বেলা ঘোরার জায়গা যারা খুঁজছেন, তাদের কাছে বেথুয়াডহরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য আদর্শ জায়গা হতে পারে। নদিয়া জেলার অন্তর্গত নির্ঝঞ্ঝাট, নিরিবিলি এই বনের প্রধান আকর্ষণ জীব বৈচিত্র। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এই স্থানকে স্বতন্ত্র এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
অবস্থিতি
নদিয়া জেলায় অবস্থিত এই অরণ্য জমজমাট বেথুয়াডহরি শহরে সন্নিকটে অবস্থিত। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা এই বনে পৌঁছতে খুব বেশি কাঠখড় পোড়াতে হয় না। লাগে না বেশি সময়ও।
কীভাবে যাবেন
শিয়ালদ থেকে লোকাল ট্রেনে বেথুয়াডহরি পৌঁছতে দুই ঘণ্টার কিছু বেশি সময় লাগে। সেখান থেকে টোটো, রিক্সা কিংবা গাড়িতে পৌঁছে যাওয়া যায় অভয়ারণ্যে। অনেকে আবার সড়ক পথে বাসে পৌঁছন বেথুয়াডহরি। কেউ যান প্রাইভেট গাড়িতে। যাত্রাপথের দৈর্ঘ্য তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়।
ইতিহাস
মোট ১.২১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বেথুয়াডহরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য সাজানোর কাছ শুরু হয়েছিল ১৯৫৮ সালে। ধীরে ধীরে বনে জীব বৈচিত্রের আমদানি ঘটতে শুরু করে। ১৯৮০ সালে বেথুয়াডহরির এই স্থানকে বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের স্বীকৃতি দেয় সরকার। সেই মতো এই বনে আরও জীবজন্তুর আমদানি ঘটে।
কী কী দেখবেন
চিত্রা হরিণ বেথুয়াডহরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্যের মূল আকর্ষণ। সেই সঙ্গে বনে বেজী, খরগোশের দেখা মেলে। সবুজে মোড়া বনে রাজার মতো ঘুরে বেড়ায় অজগর। এই স্থান গুই সাপ এবং ঘড়িয়ালের মুক্তাঞ্চল। একদিকে শিয়াল, পরকুপাইন, তো অন্যদিকে নানা রংয়ের পাখি এই অভয়ারণ্যকে ভরিয়ে রেখেছে। শাল, অর্জুন, বাঁশ বনের নীরবতা ও স্নিগ্ধতা ফেলে বেরিয়ে আসা মুশকিল।
ছবি সৌজন্য:ইউটিউব
সবুজে মোড়া মহানন্দা অভয়ারণ্যের এক ঘাটে জল খায় বাঘ ও হরিণ