পরিযায়ী পাখি ও ইতিহাসের টানে গাজলডোবায় বাড়ছে পর্যটকের ভিড়
হিমালয়ের পাদদেশে তিস্তা ও মহানন্দার নদীর মধ্যের এই স্থানে ভিড় করে পরিযায়ী পাখিরা। সবুজ অরণ্যে ঘেরা এই জলাশয়ের জল মাছ চাষের পাশাপাশি কৃষিকাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সৌন্দর্য্য যার অন্য দিক। ভগবান কৃষ্ণ ও তাঁর স্ত্রী রুক্মিনীর স্মৃতিতে মাখা এই স্থান একাধারে পৌরাণিকও বটে।

অবস্থিতি
ডুয়ার্সের অন্তর্গত জলপাইগুড়ি জেলার ওদলাবাড়ির অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু গাজলডোবা গ্রাম। যার পশ্চিম দিকে রয়েছে মহানন্দা এবং পূর্বে রয়েছে তিস্তা। দুই নদীর জলের খানিকটা অংশ বেঁধে তৈরি করা হয়েছে এক সুবিশাল জলাশয় বা ডোবা। রাজ্য সরকারের স্ব-ইচ্ছায় যা বর্তমানে পর্যটনস্থলে পরিণত হয়েছে।

কীভাবে যাবেন
শিয়ালদহ কিংবা হাওড়া থেকে ট্রেনে পৌঁছে যেতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি। সড়কপথেও পৌঁছে যাওয়া যায় শিলিগুড়ি। কিংবা আকাশপথে বাগডোগরায় অবতরণ করে থাকেন অনেকে। সেখান থেকে মন ব্যাকুল করা তিস্তার পার ধরে সড়ক পথে এক ঘণ্টা এগোলেই ধরা দেয় গাজলডোবা।

কেন যাবেন
১) হিমালয়ের পাদদেশে ডুয়ার্সের অন্যতম আকর্ষণের স্থল হয়ে ওঠা গাজলডোবাকে কেন্দ্র করে কটেজ, ফুলের বাগান তৈরি করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তার সৌন্দর্য্যে মোহিত হতে হয়। জলাশয়ে বোটিংও করতে পারেন পর্যটকরা।
২) বছরের বিভিন্ন সময়ে এই ডোবা এবং পার্শ্বস্থ স্থানে ভিড় জমায় নানা রঙের পরিযায়ী পাখি, হাঁস, পানকৌরি। সেই শোভা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন পর্যটকরা।
৩) আকাশ পরিচ্ছন্ন থাকলে গাজলডোবা গ্রাম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ দেখে চমকে যেতে হয়।
৪) গ্রামের পাশেই রয়েছে বৈকুন্ঠপুর বন। যেখানে ভগবান কৃষ্ণ, স্ত্রী রুক্মিনীর সঙ্গে বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন বলে কথিত রয়েছে। সেই স্মৃতিতে ইস্কনের পৌরহিত্যে এই স্থানে সুবিশাল কৃষ্ণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।

কোথায় থাকবেন
গাজলডোবাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি কটেজ তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। সেগুলিতে থাকতে পারেন পর্যটকরা। পাশের গ্রামেও রয়েছে বেশ কয়েকটি হোম-স্টে। শীতের দিকে এই স্থানে পর্যটকদের ভিড় বাড়ে।
ছবি সৌ: ইউটিউব
সজনেখালির সবুজ অরন্যে লুকিয়ে এক বন্য পৃথিবী ও অকৃত্রিম সৌন্দর্য্য