নিরিবিলি অবকাশ অথবা মধুচন্দ্রিমার সেরা ঠিকানা বাঁকিপুট
আরও
পড়ুন:
ছুটিতে
চলুন
স্বল্পচেনা
সিলারিগাঁও
আরও
পড়ুন:
শহরের
ধুলোধোঁয়া
থেকে
চলুন
শান্ত
সবুজ
পাউসি
কেন যাবেন: বাঁকিপুটের সৌন্দর্য অনবদ্য। এখানের সঙ্গে মিল আছে ওড়িশার চাঁদিপুরের। চাঁদিপুরে যেমন ভাটার সময় সমুদ্র পিছিয়ে যায় অনেকটা, বাঁকিপুটেও তাই। তখন সমুদ্রের জলে গা ভেজাতে গেলে আপনাকে হেঁটে যেতে হবে এক কিলোমিটারেরও বেশি। সৈকতভূমি জুড়ে তখন শুধুই লাল কাঁকড়ার চলাফেরা। এরা বড় চালাক। আপনার পায়ের আওয়াজ শুনেই দৌড়ে পালাবে। গতিতে ধরে কার সাধ্যি! দূর থেকে দেখলে মনে হবে, সৈকতভূমিতে বুঝি পলাশ ফুল বিছিয়ে রয়েছে! অতিরিক্ত পাওনা এখানকার রোমান্টিক ঝাউবন। বাঁকিপুটে রয়েছে একটি পরিত্যক্ত লাইটহাউস। ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই লাইটহাউস থেকে জাহাজকে আলো দেখানো হত। এ ছাড়া আছে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখায় উল্লিখিত কপালকুণ্ডলা মন্দির। মন্দির থেকে একটু এগোলে দরিয়াপুর লাইটহাউস। ৯৬ ফুট উঁচু। এই লাইটহাউসটি কিন্তু পরিত্যক্ত নয়। রয়েছে পেটুয়াঘাট দেশপ্রাণ মৎস্য বন্দর।
কীভাবে যাবেন: দু'ভাবে বাঁকিপুট পৌঁছনো যায়। সড়কপথে ও ট্রেনে।
কলকাতা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে বাঁকিপুট। নিজস্ব গাড়িতে এলে কাঁথি পর্যন্ত এসে সেখান থেকে জুনপুটগামী রাস্তা ধরতে হবে। জুনপুট বাসস্ট্যান্ড থেকে বাঘাপুটের দিকে কিছুটা এগোলে দেখবেন রাস্তা দু'ভাগ হয়ে গিয়েছে। বাঘাপুটগামী রাস্তা ছেড়ে অন্য রাস্তা ধরে সোজা পৌঁছনো যাবে বাঁকিপুট।
কলকাতা থেকে সরাসরি বাসে এলে নামতে হবে কাঁথি। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে আসা যাবে বাঁকিপুট।
ট্রেনে এলে হাওড়া থেকে ধরতে হবে ১২৮৫৭ তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস অথবা ১৮০০১ কাণ্ডারী এক্সপ্রেস। নামতে হবে কাঁথি স্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছনো যাবে বাঁকিপুট।
কোথায় থাকবেন: থাকার জন্য রয়েছে ঝিনুক রেসিডেন্সি। যোগাযোগ করতে পারেন: (৯৪৩৩৮১৩৬৭৮/9433813678) এবং (৯৯৩২৬৭৭২৫৮/9932677258)।
ঝিনুক রেসিডেন্সি সমুদ্রের একদম কাছেই। দ্বিশয্যা এসি ঘরের ভাড়া ১২০০ টাকা এবং নন-এসি ঘরের ভাড়া ৯০০ টাকা।
আগে থেকে বললে কাঁথি স্টেশন থেকে এরাই আপনাকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবে।
মনে রাখবেন: পেটুয়াঘাট দেশপ্রাণ মৎস্য বন্দরে চাইলে টাটকা মাছ কিনতে পারবেন। তুলনামূলকভাবে দামেও সস্তা। যাঁরা শুঁটকি মাছ খেতে ভালোবাসেন, এখান থেকে তাও পেয়ে যাবেন।
বাঁকিপুটে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখতে ভুলবেন না। সঙ্গে যেন অবশ্যই ক্যামেরা থাকে। দূরে মধুচন্দ্রিমা করতে যাওয়ার সময় ও সাধ্য না থাকলে অনায়াসে যেতে পারেন বাঁকিপুট।