বর্ষায় অরণ্যের রোমাঞ্চ উপভোগ করতে চান? হাতছানি দিয়ে ডাকছে আম্বোলি
বর্ষায় অরণ্যের রোমাঞ্চ উপভোগ করতে চান? হাতছানি দিয়ে ডাকছে আম্বোলি
বর্ষা সাধারণ জঙ্গল বন্ধ থাকে। জলদা পাড়া থেকে সুন্দরবন সব অরণ্যই সেসময় পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাধারণত বর্ষার তিন মাস পর্যটকদের প্রবেশ বন্ধ থাকে দেশের অধিকাংশ জঙ্গলেই। আম্বোলির ক্ষেত্রে উল্টো সমীকরণ। মহারাষ্ট্রের সঙ্গে বর্ষার একটা যে মধুর সম্পর্ক রয়েছে তা আরও স্পষ্ট করে দেয় আম্বোলি। পশ্চিমঘাট পর্বতের কোলে এক অনামি পর্যটন কেন্দ্র আম্বোলি। বর্ষায় অপরূপ হয়ে ওঠে এই হিলস্টেশনটি।
বর্ষায় অপরূপ আম্বোলি
পশ্চিম মহারাষ্টের ছোট্ট অনামি একটা হিলস্টেশন আম্বোলি। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার কোলে ২,২৬০ ফুট উচ্চতায় রয়েছে এই ছোট্ট পর্যটন কেন্দ্রটি। এখানে এতটাই বৃষ্টি হয় যে একে মহারাষ্ট্রের চেরাপুঞ্জিও বলা হয়ে থাকে। বর্ষার লোনাভলার মত পর্যটকের ভিড় এখানে থাকে না। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার কোলে অরণ্যে ঘেরা আম্বোলি আরও মুখরিত হয়ে ওঠে বর্ষায়। প্রাণ ফিরে ঝরনা। গাছগুলি আরও সবুজ হয়ে ওঠে। আম্বোলির যাওয়ার রাস্তাও অত্যন্ত মনোরম। পশ্চিমঘাট পর্বত মালার বাঁকে বাঁকে রাস্তা বেয়ে উঠতে হয় আম্বোলিতে। মাঝে মাঝেই বারি ধারা ভিজিেয় দিয়ে যায়। বছরে ৭,৪০০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় আম্বোলিতে।
কীভাবে যাবেন
আম্বোলিতে যেতে হলে অবশ্যই মহারাষ্ট্রে যেতে হবে। গোয়া হয়েও যাওয়া যায়। গোয়ার মাড়গাও থেকে কোঙ্কন রেলপথে পৌঁছে যাওয়া যায় আম্বোলি। আবার মহারাষ্ট্রের সাওয়ন্তওয়াড়ি স্টেশন থেকে সড়ক পথেও যাওয়া যায় সেখানে। স্টেশন থেকে ১১১ কিলোমিটার পথ পুরোটাই জঙ্গলে ঘেরা। মনোরম সেই পথ। একদিকে সবুজ পাহাড়। বাঁক বেয়ে বেয়ে উঠে যাবে গাড়ি। মহারাষ্ট্র পরিবহণ নিগমের বাসও পাওয়া যায় এখানে। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার অপরূপ সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে সকলকে। আম্বোলি যেতে গেলে গোয়া হয়ে যাওয়াই ভাল। কারণমুম্বই থেকে এর দূরত্ব অনেকটাই।
রোমাঞ্চ ভরা অরণ্য
আম্বোলির পরিবেশই এর মূল আকর্ষণ। এখানে বর্ষায় ৪৫ প্রজাতির উভয়চর এবং সাপ দখতে পাওয়া যায়। কাছেই রয়েছে আম্বোলি ফলস। বিভিন্ন রকমের পোকা, ক্যাট স্নেক, পার্পল ট্রি ক্র্যাব, নীল কাঁকড়া। এখােন দেখা মেলে নতুন প্রজাতির এক মাছের। যার নাম সিস্তুরা হিরণ্যকেশী। হিরণ্যকেশী মন্দির লাগোয়া মন্দিরের কুণ্ডে এই মাছের দেখা মেলে। বর্ষায় অরণ্যের শোভা উপভোগ করাই অম্বোলির মূল আকর্ষণ।
থাকবেন কোথায়
মহারাষ্ট্রের বন দফতরের থাকার ব্যবস্থা যেমন রয়েছ। তেমন হোম স্টেও রয়েছে এখানে। আগে থেকে যোগাযোগ করে ফোন করে রাখলে তারাই গাড়ি এবং গাইডের বন্দোবস্ত করে দেয়। রাতের অন্ধকারেও বন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন এখানে। তবে তার জন্য গাইড সঙ্গে রাখতে হবে। ছাড়াও একাধিক হোটেল রয়েছে এখানে। অনলাইনে আগে থেকে বুক করে রাখাই ভাল। মহারাষ্ট্র ট্যুরিজিমের ঘর ভাড়া একটু কম।
প্রতীকী ছবি
উত্তর পূর্ব ভারতের অনাবিষ্কৃত স্থান,গরমে শর্ট ট্রিপের তলিকায় রাখুন এই জায়গাগুলো