ত্রিপুরার থেকে বেশি গুরুত্ব মেঘালয়কে! ভোটের আগে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধিতে উৎফুল্ল তৃণমূল
ত্রিপুরার থেকে হঠাৎ বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে মেঘালয়। বিধানসভা ভোটের আগে মেঘালয়ের সংগঠন বৃদ্ধিতে জোর দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করে এসেছেন।
ত্রিপুরার থেকে হঠাৎ বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে মেঘালয়। বিধানসভা ভোটের আগে মেঘালয়ের সংগঠন বৃদ্ধিতে জোর দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করে এসেছেন। তারপর খোদ তৃণমূলের সর্বাধিনায়িকা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে পারেন মেঘালয়ে।
অভিষেক সফর সেরে এসে জানিয়েছেন, মেঘালয়ে সক্রিয় কর্মীর সংখ্যা ১ লক্ষ পেরিযে গিয়েছে। স্বল্পদিনের মধ্যেই বিপুল সংখ্যাক মানুষের সাড়া মিলবে। মেঘালয়ে তারা সদর্থক ভূমিকা নিয়ে এগোচ্ছে বলে দাবি অভিষেকের। অভিষেক বলেছিলেন, মেঘালয়কে শাসন করবে মেঘালয়েরই ভূমিপুত্র। দিল্লি বা গুজরাতের ভূমিপুত্ররা মেঘালয়ে এসে শাসন কেয়ক করবে, তা চলবে না।
অভিষেক বলেন, আমরা মাত্র কয়েকশো সদস্য নিয়ে বছর খানেক আগে মেঘালয়ে সংগঠন তৈরি করেছিলেন। এরই মধ্যে তা ১ লক্ষ হয়েছে। এই প্রবণতা ধরে রাখতে পারলে শীঘ্রই তৃণমূলই মেঘালয়ের শাসন ক্ষমতা পরিচালনা করবে। মেঘালয়কে দেশের এক নম্বরে নিয়ে যেতে সবাইকে তৃণমূলের ছত্রছায়ায় আসার ডাক দিলেন অভিষেক।
অভিষেক বলেন, উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি কেন্দ্রের কোনও সরকারই। উত্তর-পূর্ব ভরাত ও পূর্ব ভারত যে কোনও অংশে কারও থেকে কম যায় না, তা দেখিয়ে দেব আমরা। ত্রিপুরা থেকে শুরু করে মেঘালয়, অসম-সহ বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূলই যে ক্ষমতার অলিন্দে আসবে অদূর ভবিষ্যতে তা নিশ্চিত করে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমরা উত্তর-পূর্ব ভারতে সংগঠন বাড়ানোর কাজ করছি।
এখন প্রশ্ন, ২০২৩-এর শুরুতেই ত্রিপুরার ভোট। সেই ভোটের আগে ত্রিপুরাকে গুরুত্ব না দিয়ে কেন মেঘালয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? তৃণমূলের দাবি, ত্রিপুরায় আমরা একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছি। সেখানে একটা টিম কাজ করছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুস্মিতা দেবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ভোট ঘোষণা হলেই তৃণমূলের সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে প্রচারে।
তৃণমূলের পক্ষে দাবি, ত্রিপুরার পাশাপাশি মেঘালয়েও আমরা বেড়ে চলেছি। আমরা খাতায় কলমে মেঘালয়ের বিরোধী দল। তাই দায়িত্ব থেকেই যায় বিজেপির বিরুদ্ধে ফাইট করে এই রাজ্যে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে চলেছি। আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যেই উত্তর-পূর্বে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছে যাবে তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের রাজ্যে উন্নয়নের ব্যাপক সুযো রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের বঞ্চনার জন্য উত্তর-পূর্ব পিছিয়ে রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতি বদলানোর চ্যালেঞ্জ রয়েছে তাদের সামনে।