কেন বিদিশা আত্মহত্যা করলেন! তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, চলছে বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ
মে মাসের ১৫ তারিখ টেলি অভিনেত্রী পল্লবীদের ঝুলন্ত দেহ দক্ষিণ কলকাতার গরফার ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গিয়েছিল। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছিল তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও পুরোপুরি কাটেনি। আর তাঁর মাঝেই আরও এক মডেলের ঝুলন্ত দেহ মিলেছে নাগেরবাজারের রামগড় কলোনির ফ্ল্যাট থেকে। নাম বিদিশা দে মজুমদার।
এই ঘটনায় পুলিশ কিন্তু বিদিশার বান্ধবীর কথাও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। এতদিন তিনি কী কাজ করছেন, নতুন কোনও কাজের জন্য কথাবার্তা চলছিল কিনা, সেদিকেও খুটিয়ে দেখছেন পুলিশ। সেই সঙ্গে কার কার সঙ্গে ফোনে ও হোয়াটস অ্যাপে তাঁর কথা হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছেন, বিদিশার দুটি মোবাইল সিজ করা হয়েছে, সেইসঙ্গে দুটি সিডিয়ার খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চ্যাট ও কল লিস্ট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে পুলিশ তিন বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন। তিনি আত্মহত্যা করছেন বলেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। তবে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই তা স্পষ্ট বোঝা যাবে, কেন তিনি আত্মহত্যা করলেন?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেও বিদিশা একবার না দু’দুবার আত্মহত্যার চেস্টা করেন। কিন্তু বন্ধুদের বাধার জন্য সেকাজে সেসময় তিনি কাজটি করতে পারেনি। মডেলের বন্ধুরা অনুভব বেরা নামে এক যুবকের নামে থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু বিদিশার মৃত্যু ঘটনা নিয়ে নাগেরবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে সেখানে কিন্তু অনুভবের নাম নেই। ঘটনার জন্য পুলিশ বিদিশার বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। আর সেখান থেকেই জানা যায়, প্রায় চারমাস ধরে ঝাড়গ্রামের এক যুবক অনুভব বেরার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল বিদিশার। যদিও বিদিশার বান্ধবীরদের দাবি, শুধু যে বিদিশার সঙ্গেই তাঁর সম্পর্ক ছিল তা নয়, যুবকের আরও অনেক নারীর সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল। আর এইকারণেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। আর তাই হয়তো আত্মহত্যা করলেন তিনি।
খাস ভবানীপুরে চলন্ত গাড়িতে ভেঙে পড়ল গাছ, আহত টেলি অভিনেত্রী অনন্যা গুহ
আরও জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধার সময় মডেলের এক বান্ধবী নাগেরবাজার থানায় ফোন করেন। তারপর পুলিশ এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে বিদিশার দেহ উদ্ধার করেন। তবে, পুলিশ সেখান থেকে সুইসাইড নোটও পেয়েছেন। সেখানে, কিন্তু বিদিশা নিজের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেননি। তিনপাতা জুড়ে লেখা সেই সুইসাইড নোট। যা এখন পুলিশের হাতে। তবে কী আছে সেখানে লেখা? সেখানে কেরিয়ারের সমস্যা, তিনি কোনও কাজে মনস্থির করতে পারছেন না, তাই তিনি এমন পথ বেছে নিলেন। যদিও তিনি কিন্তু এও লিখেছেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।