জয় ভানুশালির সঙ্গে তুলকালাম ঝগড়া, বিগ বসের বাড়িতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেন প্রতীক সহেজপাল
বিগ বসের বাড়িতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেন প্রতীক সহেজপাল
একাদশতম দিনে বিগ বস ১৫–তে নতুন টাস্ক দেওয়া হল, যার নাম 'জঙ্গল মে খুনখার দঙ্গল’। এই টাস্কে, প্রতিযোগীদের নিজের মাথা খাটিয়ে বিজয়ী হতে হবে। এই খেলা জঙ্গলবাসী ও ঘরের সদস্যদের মধ্যে হচ্ছে। কিন্তু এই টাস্কের মধ্যেই একাধিক ঝগড়ার সূত্রপাত হয় বাড়ির মধ্যে। জয় ভানুশালী প্রতীক সহেজপালের মাকে নিয়ে তাঁকে হেনস্থা করার পর প্রতীক মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং নিজেকে নিজেই অনবরত থাপ্পড় দিতে থাকেন।
এই সপ্তাহে নমিনেটেড সদস্যরা হলেন আফসানা খান, ডোনাল বিস্ত, আকাশা সিং, ইশান নাগপাল, বিশাল কোটিয়ান ও বিধি পাণ্ডিয়া। বিগ বস ১৫–এর একাদশতম দিনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আপডেট এবার জেনে নিন।
১) টাস্ক চলাকালীন, করণ কুন্দ্রা ও জয় ভানুশালী প্রধান বাড়িতে ঢোকেন। কম্বল চাপা দিয়ে তাঁরা নিশান্ত ভাটকে ব্লক করেন। এই পদ্ধতির সময়, কোরিওগ্রাফারের পা ও হাতের নখ কেটে দেওয়া হয়।
২)
এই
ঘটনার
সময়
শমিতা
শেট্টি
জয়
ও
করণের
সঙ্গে
তর্ক
করে
বলেন
যে
নিশান্তকে
ব্লক
করা
ঠিক
হয়নি।
এই
ঘটনায়
শমিতা
শেট্টি
নিজেও
খুব
আহত
হয়েছেন।
৩)
এরপর
বাওয়ার্চি
গ্রুপের
সদস্য
আফসানা
খান
তাঁর
দলের
কৌশলকে
সামনে
রেখে
শমিতা
শেট্টিকে
ব্লক
করে
দেন।
৪)
করণ
কুন্দ্রা
প্রধান
বাড়ি
থেকে
পায়েস
নিয়ে
এসে
তাঁর
টিম
সদস্যদের
দিয়ে
দেন।
আফসানার
জল
তেষ্টা
পাওয়ায়
তিনিও
গ্লাস
নিয়ে
জল
পান
করেন।
যদিও
সেই
জল
মোটেও
ভালো
খেতে
ছিল
না।
আফসানা
যখন
এ
বিষয়ে
করণকে
জিজ্ঞাসা
করেন,
'জলের
স্বাদ
এরকম
খারাপ
কেন?’
কম
এর
জবাবে
জানান
যে
ওটা
তেল
ছিল।
শমিতা
এরপর
আফসনাকে
জানান
যে
তিনি
ভুলবশত
তেল
খেয়ে
নিয়েছেন
তাই
বেশি
করে
যেন
জল
খান।
৫)
জঙ্গল
এলাকায়
যেখানে
এই
টাস্কের
সূচনা
হয়,
আফসানা
খানকে
নিশানা
বানান
ঘরের
সদস্যরা।
কখন
আফসানার
ওপর
স্টিকার
লাগাবেন
সেই
সুযোগের
অপেক্ষা
করতে
থাকেন
ঘরবাসীরা।
যদিও
সঙ্গীত
দলের
সদস্য
তেজস্বী
প্রকাশ,
ডোনাল
বিস্ত
ও
বিধি
পাণ্ডিয়া
আফসানাকে
সেখান
থেকে
পালিয়ে
যেতে
বলেন।
৬) নিজেকে বাঁচানোর জন্য আফসানা সেখান থেকে পালিয়ে যান। তবে পালানোর সময় আফসানা মাটিতে পড়ে যান এবং আহত হন। অন্যেরা তাঁকে যখন তুলছিলেন তখন আফসানাকে কাঁদতেও দেখা যায়। বিগ বসের কাছ আফসানা বরফ চান। সকলে এর জন্য প্রতীককেই দায়ী করছিলেন, তখন প্রতীক জানান যে আফসানাকে পালানোর জন্য চাপ দিয়েছিলেন তেজস্বী, ডোনাল এবং বিধি।
৭)
এই
পর্বের
আলাদা
একটি
সেগমেন্টে
দেখা
গিয়েছে,
করণ
কুন্দ্রা
আফসানাকে
কথা
দিতে
বলছেন
যে
তিনি
যেন
কখনও
কাউকে
না
ডাকেন।
অভিনেতা
সেই
সময়
উল্লেখ
করেন
যে
আফসানা
যখন
শমিতাকে
জিজ্ঞাসা
করেছিলেন
যে
তিনি
তাঁর
২৫
বছরের
জীবনে
কি
অর্জন
করেছেন।
করণ
কুন্দ্রা
তখন
জানান
যে
তাঁর
মতো
মানুষ
লাইনে
দাঁড়িয়ে
তাঁর
অটোগ্রাফ
পাওয়ার
জন্য
পাগল
ছিলেন।
৮) আফসানা এরপর প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি আর কখনও কারোর পরিবার বা কেরিয়ার নিয়ে আপত্তিজনক কথা বলবেন না। করণও তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে কেউ যদি তাঁকে অসম্মান করেন তবে তিনি আফসানার পাশে দাঁড়াবেন।
৯)
জঙ্গল
মে
খুনখার
দঙ্গল
টাস্কে,
প্রতীক
সহেজপাল
ও
জয়
ভানুশালির
মধ্যে
ফের
তিক্ত
লড়াইয়ের
সৃষ্টি
হয়।
এই
শো
শুরু
হওয়ার
পর
থেকেই
এই
দু’জনের
মধ্যে
হাড্ডাহাড্ডি
লড়াই
সর্বদাই
দেখা
গিয়েছে।
আগের
পর্বগুলিতে
প্রতীক
জয়কে
হুমকি
দিয়ে
জানিয়েছিলেন
যে
জয়
যদি
বাড়ির
বাইরে
থাকতেন
তবে
প্রতীক
তাঁকে
মেরে
গুঁড়িয়ে
দিতেন।
এর
জবাবে
জয়
জানিয়ে
ছিলেন
যে
প্রতীক
এখনও
তাঁকে
ছুঁয়ে
দেখুক
যদি
তাঁর
সাহস
থাকে।
১০)
এই
লড়াই
ক্রমেই
আগ্রাসী
ভূমিকা
নেয়
এবং
জয়
প্রতীকের
মাকে
নিয়ে
আপত্তিজনক
কথা
বলেন।
মায়ের
খুব
কাছের
প্রতীক,
এই
কথা
শোনার
পর
প্রতীক
জয়কে
জানান
যে
এভাবে
তাঁকে
হেনস্থা
যেন
না
করা
হয়।
কিন্তু
জয়
কিছুতেই
চুপ
না
করায়
প্রতীক
জয়কে
'অশিক্ষিত’
ও
'অসভ্য’
বলে
অ্যাখা
দেন।
১১) এই ঝগড়ার মাঝেই প্রতীক মাটিতে বসে পড়েন এবং কাঁদতে শুরু করে দেন। প্রতীক নিজেকে আঘাত করতে শুরু করলে শমিতা শেট্টি তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। বিশাল কোটিয়ান প্রতীকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু প্রতীক নিজেকে জোরে জোরে থাপ্পড় মারতে থাকেন এবং কাঁদতে শুরু করে দেন। প্রতীক জানান যে তাঁর মাকে নিয়ে এমন হেনস্থা তাঁকে করা হবে এটা চুক্তিতে লেখা ছিল না। প্রতীক এই শো থেকেও বেরিয়ে যেতে চান।
১২)
আফসানা
খানও
প্রতীককে
সামলানোর
চেষ্টা
করেন
এবং
তাঁর
জন্য
জল
নিয়ে
আসেন।
আফসানা
প্রতীককে
জড়িয়ে
ধরে
জানান
যে
তিনি
প্রতীকের
বড়
দিদির
মতো।
১৩) অন্যদিকে, জয় ভানুশালি নিজের দোষ স্বীকার করতে চান না। তিনি বলেন, 'যেভাবে সে (প্রতীক) আমার সঙ্গে আচরণ করেছে, আমিও একই আচরণ প্রতীকের সঙ্গে করেছি।’ জয় এ বিষয়ে বিধির সমর্থন পান।
১৪)
এই
পর্বের
আরও
একটি
সেগমেন্টে
দেখা
গিয়েছে,
বাড়ির
সদ্যসরা
সকলে
গুণ্ডাদের
চরিত্রে
সেজে
রয়েছেন।
৮০–এর
দশকে
ডাকাতের
মতো
পোশাক
পরে
প্রত্যেকের
হাতে
বন্দুক
রয়েছে।
এই
টাস্কের
নাম
'ডাকু
কা
কবজা’।
১৫) তেজস্বী দারুণ স্টাইলিশ ডাকাত সাজেন এবং অন্য পুরুষ ডাকাতদের সঙ্গে ফ্লার্ট করতে থাকেন। এই টাস্ক আগামী পর্বেও দেখা যাবে।
গত শনিবারই বিগ বস থেকে প্রথম সদস্য হিসাবে বাড়ি ছেড়েছেন সাহিল শ্রফ। সলমন খান সঞ্চালিত এই শো চলবে ৪–৫ মাস।