জুনের শেষদিকেই নতুন নির্দেশিকা মেনে শুরু হবে টেলিভিশনের শুটিং
জুনের শেষদিকেই নতুন নির্দেশিকা মেনে শুরু হবে টেলিভিশনের শুটিং
করোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ পড়ে রয়েছে টেলিভিশনের সব শোয়ের শুটিং। বাধ্য হয়েই এখন দর্শকদের জন্য সম্প্রচার করা হচ্ছে পুরনো পর্বগুলি। কিন্তু এবার দর্শকদের জন্য সুখবর। তাঁরা শীঘ্রই নতুন পর্বগুলি দেখতে পারবেন। জুনের শেষের দিকেই টেলিভিশনের সব ধারাবাহিকের শুটিং পুনরায় শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে তবে অবশ্য নতুন নির্দেশিকা মেনে।
একতা কাপুরের শো, কৌন বনেগা ক্রোড়পতি ও ভাবিজি ঘর পর হ্যয় সিরিয়ালগুলিকে সীমিত সংখ্যক ক্রু–দের নিয়ে কাজ করতে হবে এবং শীঘ্রই শুটিং শুরু হবে। ফেডারেশন অফ ওয়ের্স্টান ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ (এফডব্লিউআইসিই) সভাপতি বিএন তিওয়ারি জানিয়েছেন যে তাঁরা দিন মজুরদের কথা মাথায় রেখে প্রযোজকদের কাছে কিছু শর্ত রেখেছেন। প্রযোজকরাও তাতে রাজি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
১)
এফডব্লিউআইসিই
মাস্ক
কিভাবে
পরতে
হয়
ও
স্যানিটাইজার
ব্যবহারের
প্রশিক্ষণ
দেবে।
প্রত্যেক
সেটে
একজন
করে
পর্যবেক্ষক
থাকবেন,
যিনি
দেখবেন
যে
কে
মাস্ক
পরেছেন
এবং
কে
পরেননি।
কর্মীদের
যখন
অভ্যাস
হয়ে
যাবে
মাস্ক
পরা
তখন
ওই
পর্যবেক্ষক
চলে
যাবে।
২) যদি কোনও কর্মী নোভেল করোনা ভাইরাসে মারা যান তবে চ্যানেল ও প্রযোজককে মৃত কর্মীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা দিতে হবে এবং পরিবারের মেডিকেল খরচ বহন করতে হবে। দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তা ৪০–৪২ লক্ষ টাকা পরিবারকে দিত হবে যদিও এফডব্লিউআইসিই চায় যে তা নুন্যতম ৫০ লক্ষ করা হোক। এটা কর্মীদের মধ্যে কাজের উৎসাহ বাড়িয়ে তুলবে এবং তাঁদেরও প্রযোজকদের প্রতি আস্থা জন্মাবে। তাতে কাজেরই সুবিধা হবে।
৩) শুটের সময় সেটে অন্তত ১০০ বা তার বেশি লোক থাকে। কিন্তু পরিস্থিতির ওপর বিচার করে পরিচালকরা ৫০ শতাংশ ইউনিট নিয়েই কাজ করতে রাজি হয়েছেন। প্রযোজকরাও নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে ৫০ শতাংশ লোক শিফটে কাজ করবে যাতে কেউ বেকার হয়ে না পড়ে। ৫০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে বয়স যে সব কর্মীদের তাঁদের তিনমাস বাড়িতে থাকতে হবে কারণ কোভিড–১৯–এর ক্ষেত্রে তাঁরা দুর্বল প্রজাতির মানুষ। ৪) আপদকালীন বিপদের জন্য সেটে অ্যাম্বুলেন্স রাখা জরুরি। এ বিষয়ে এফডব্লিউআইসিই প্রযোজক ও চ্যানেল হেডের সঙ্গে নতুন এই নির্দেশিকা নিয়ে আলোচনা করা হবে শীঘ্রই।
চতুর্থ দফার লকডাউনে দূরদর্শনে আসতে চলেছে শাহরুখ খানের 'দুসরা কেবল’