কোনও বাধা ছাড়াই সম্প্রচার মিঠাই, যমুনা ঢাকি, জি বাংলার ‘ক্লিন ফিড’ বাংলাদেশকে
জি বাংলার ‘ক্লিন ফিড’ বাংলাদেশকে
এ দেশেও মিঠাই মন জয় করেছে ও বাংলার মানুষের মন, যমুনা ঢাকির যমুনার কি হবে তা সমানভাবে জানতে চায় বাংলাদেশের দর্শকরাও। যদিও কিছু জটিলতার জন্য অনেকদিন ধরে বাংলাদেশে বন্ধ ছিল এই সিরিয়ালগুলি। তবে এবার পশ্চিমবঙ্গের পর এবার বাংলাদেশেও দেখা যাবে জি বাংলার সিরিয়ালগুলি। বিজ্ঞাপন ছাড়াই এবার বাংলাদেশেও দেখা যাবে জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল মিঠাই, যমুনা ঢাকি, অপরাজিতা অপু সহ সবকিছুই। কেবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (কোয়াব) সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ এই খবরটি জানিয়েছেন। তিনি জানান যে এ বিষয়ে জি বাংলার পক্ষ থেকে 'ক্লিন ফিড’ পাওয়া গিয়েছে।
তবে পরীক্ষামূলকভাবে এই চ্যানেলের সম্প্রচার শুরু করেছেন কেবল অপারেটরসরা। আর স্বাভাবিকভাবে জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়ালের পরিচিত মুখদের দেখে হাসি ফুটেছে সিরিয়াল ভক্ত দর্শকদের মুখে। এই জি বাংলার পরীক্ষামূলক সম্প্রচার সফল হলে অন্যান্য বন্ধ থাকা চ্যানেলগুলিও খুলবে আস্তে আস্তে বলে আশাবাদী কোয়াব সভাপতি। জানা গিয়েছে, গত ১ অক্টোবর থেকে বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত জটিলতায় বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের চ্যানেলগুলি। বিজ্ঞাপন দেখানো হয় এমন বিদেশি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচারও বন্ধ করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ সরকার। অথচ অন্য সুর শোনা গিয়েছে কেবল অপারেটরসদের মুখে। তাদের বক্তব্য, বিজ্ঞাপন-সহ অনুষ্ঠান প্রচার করে, এমন বিদেশি চ্যানেলগুলি থেকে বিজ্ঞাপনের অংশটুকু কেটে বাদ দিয়ে সম্প্রচার করা সম্ভব নয়। ফলে তারা ওই চ্যানেলগুলি দেখানোই বাদ দিয়ে দিয়েছে।
ফলে ১ অক্টোবর থেকেই থেকেই সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ হয় যায়। ফলে বহু দর্শক বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় বিদেশি চ্যানেল দেখতে পাচ্ছিলেন না, যার মধ্যে ছিল পশ্চিমবাংলার বেশ কিছু চ্যানেলও। এখানে উল্লেখ্য, বাংলাদেশের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের ১৯(১৩) ধারায় বলা হয়েছে, কেবল টিভি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিদেশি কোনও চ্যানেলে বিজ্ঞাপন সম্প্রচার করা যাবে না। এই আইনের জেরে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে জি নেটওয়ার্কের চ্যানেলগুলি প্রায় ২৪ ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
তবে পশ্চিমবঙ্গের দর্শকদের পাশাপাশি বাংলাদেশের দর্শকদেরও মন জয় করেছে জি বাংলার বহু সিরিয়াল। যার মধ্যে মিঠাই, যমুনা ঢাকি, অপরাজিতা অপু, সর্বজয়া, উমা যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে বাংলাদেশেও। কোয়াবের সভাপতি জানিয়েছেন যে অনেক দর্শকই কেবল অপারেটরসদের ওপর দোষ চাপাচ্ছিলেন বিদেশি চ্যানেল বন্ধের জন্য। কিন্তু তারা সকলেই কেবলমাত্র সরকারের নির্দেশ মেনেই চলছিল। তবে দিন ১৫ কাটতে না কাটতেই সমস্যা সাময়িকভাবে মিটল। জি বাংলা চ্যানেলের তরফে 'ক্লিন ফিড’ পাওয়ায় আপাতত চালু হল সেই চ্যানেলটি।