বাংলা সিরিয়াল ফের শ্যুটিং জটে! কাজ বন্ধ হতে পারে অনির্দিষ্টকালের জন্য
বাংলা সিরিয়াল ফের শ্যুটিং জটে! কাজ ফের বন্ধ হতে পারে অনির্দিষ্টকালের জন্য
শ্যুটিং জটে রীতিমতো বিধ্বস্ত বাংলার টলিউডপাড়া। এর আগেও বহুবার টলিপাড়ার সংগঠনের মধ্যে সংঘাতের জেরে বহু সময়ই বন্ধ ছিল সিরিয়ালের কাজ। এদিনও পারিশ্রমিক বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি নিয়ে ফের ফেডারেশন ও প্রযোজকদের সংগঠনের মধ্যে বিরোধ বাধায়, তা নিয়ে ফের জটিলতা তৈরি হয়েছে। দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসায় শনিবার এর সমাধান সূত্র খুঁজতে ফের একবার নতুন দিশার অপেক্ষায় গোটা টলিউড পাড়া। তবে তার আগে দেখে নেওয়া যাক, টলিপাড়ার মধ্যে কোন সমস্যা নতুন করে দানা বেঁধেছে।
কী ঘটেছে টলিপাড়ায়?
পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবিতে বহুদিন ধরেই সরব ছিল ফেডারেশন। আজ ফের একবার সেই ইস্যুতে সরব হয়েছে সংগঠন। এদিকে পরিস্থিতি সামলাতে অন্তরবর্তী একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে শনিবার। তবে সেই বৈঠকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে, ফের একবার বন্ধ হতে পারে টলিউড পাড়ায় শ্যুটিং এর কাজ। আপাতত কোনও সংগঠনই মিডিয়ার সামনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি নয়।
টলিপাড়া জুড়ে অশান্তি
এদিকে, টলিউড জুড়ে প্রবল অশান্তি শুরু হয়েছে। বহু সিরিয়ালের কলাকুশলীরাই সময়মতো বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করছেন। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঠিক সময়ে ঢুকছে না বলে অভিযোগ করেছেন। এর জেরে বহু সিরিয়ালের কাজ অর আগেও সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। এদিকে, লকডাউনে শ্যুটিং বন্ধ থাকা অবস্থাতেও বহু প্রযোজকই কলাকুশলীদের প্রাপ্য টাকা পাঠিয়ে দেন। কাজ শুরুর জন্য শ্যুট ফ্রম হোম শুরু হয়। তবে শ্যুট ফর্ম হোম এ যোগ না দেওয়া টেকনিশিয়ানদের পারিশ্রমিক দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনা বাস্তবে রূপ দিতেই বন্ধ হয় 'তিতলি' ধারাবাহিকের শ্যুটিং।
দাবি একনজরে
এদিকে, রাতে কাজ বন্ধ রাখা, পারিশ্রমিক আরও বাড়ানো ও ফেডারেশনের টেকনিশিয়ানদের কাজে নিয়োগ সহ একাধিক দাবি রয়েছে ফেডারেশনের। তবে এই সমস্ত দাবির সব কয়টি মেনে নিতে রাজি নন প্রযোজকরা। সেই থেকেই শুরু সংঘাতের। এদিকে করোনায় জেরবার টলিপাড়া কিছুদি আগেই মাথা তুলে দাঁড়াতেই ছন্দে ফেরা শুরু করেছিল। তারপরই নতুন করে সমস্যা দানা বাঁধে।
শ্যুটিং বন্ধ হতেই কোন চাপ হতে পারে!
উল্লেখ্য, টলিপাড়ায় যদি শ্যুটিং যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সিরিয়ালের সম্প্রচারে বড় প্রভাব পড়বে খুব শিগগির। কারণ সেভাবে সিরিয়ালের ব্যাঙ্কিং বেশি থাকে না। ফলে শ্যুটিং বন্ধ হলেই সমস্যা বাড়ে। এর আগে বহুবার এমন জটিলতার জেরে, শেষমেশ সমস্ত পক্ষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন। তাঁর মধ্যস্থতায় সমাধান হয় জটের। তবে আপাতত সকের নজর শনিবারের দিকে। শনিবার কী ঘটে সেদিকে তাকিয়ে সকলে। ফলে বৈঠক শেষ হলেই জানা যাবে কী ঘটতে চলেছে।