তিন রাজ্যে বিজেপির ৪০ আসন কাড়ার পরিকল্পনা, রাজ্য ধরে সমীকরণ তৈরির প্রস্তাব
মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে ভেঙে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তারপরই খেলা ঘুরিয়ে বিহারে বিজেপিকে পাল্টা ধাক্কা দিয়েছেন নীতীশ কুমার। নীতীশ বিজেপির সঙ্গ থাড়তেই অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে বিরোধীরা।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনাকে ভেঙে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তারপরই খেলা ঘুরিয়ে বিহারে বিজেপিকে পাল্টা ধাক্কা দিয়েছেন নীতীশ কুমার। নীতীশ বিজেপির সঙ্গ থাড়তেই অক্সিজেন পেয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। বিরোধীরা এবার নতুন করে অঙ্ক কষতে উদ্যোগী হয়েছে। বাংলা, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিজেপির আসন কাড়ার লক্ষ্যমাত্রা রেখেই রাজ্যওয়াড়ি নয়া সমীকরণ তৈরি কথা ভাবা হচ্ছে।
নয়া সেতুবন্ধনের প্রস্তাব তেজস্বীর
বিহারে পালাবদলের পর হঠাৎ বিরোধী দলগুলির মধ্যে সেতবন্ধনে জোর দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। নীতীশ কুমরা সাফ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আকাঙ্খা তাঁর নেই। তিনি চান, বিজেপিকে হারাতে। শনিবার দিল্লিতে গিয়ে তেজস্বী যাদব কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে দেখা করে প্রস্তাব দিয়েছেন নয়া সেতুবন্ধনের।
বিজেপিকে শেষ করার পরিকল্পনা তেজস্বীর
তেজস্বী এদিন সোনিয়া ও ইয়েচুরির সমক্ষে বলেছেন, নীতীশ কুমার যা করে দেখিয়েছেন, তা গোটা দেশেই করা সম্ভব। সেজন্য সমস্ত আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আসতে হবে। বিজেপি আঞ্চলিক দলগুলিকে শেষ করে দিতে চায়। আঞ্চলিক দলগুলির উচিত এক হয়ে বিজেপিকে শেষ করে দেওয়া। মনে রাখা উচিত, আঞ্চলিক দলগুলি হল অনগ্রসর ও দলিত সমাজের প্রতিনিধি।
বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয়ের বার্তা তৃণমূলের
তৃণমূল কংগ্রেস ২০২৪-এ বিজেপিকে রুখে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, বিজেপিকে যদি সবাই মিলে রুখে দেওয়া যায়, তবে ২০২৪-এর নির্বাচনের পরে সবাই এক সঙ্গে আসবে। বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয় তৈরি হবে। ডেরেক বলেছেন, বিহারের ঘটনা নিঃসন্দেহে বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। এ প্রসঙ্গেই তিনি মমতার একুশের বক্তব্য তুলে ধরেন।
তিন রাজ্যে বিজেপির ৪০টি আসন কাড়ার প্ল্যান
বিহারে জেডিইউ পালাবদল ঘটনার পর জেডিইউয়ের সর্বভারতীয় সভাপতি লালন সিং বলেন, এই তিন রাজ্য মিলিয়ে অন্তত ৪০টি আসন কম পাবে বিজেপি। এ জন্য যেখানে যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে, তাকে নিশ্চিন্তে লড়াই করতে দেওয়া উচিত। উল্লেখ্য, এটাই ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোট-তত্ত্ব। এখন অবশ্য এই তত্ত্বে মুখ কুলুপ এঁটেছে তৃণমূল।
বিরোধীদের সমন্বয়ের অঙ্ক তৈরি তেজস্বীর
সোনিয়া গান্ধী ও সীতারাম ইয়েচুরির কাছে তেজস্বী সম্প্রতি যে প্রস্তাব তুলে ধরেন, তা হল- তেলেঙ্গানায় টিআরএস, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল, দিল্লিতে আম আদমি পার্টি লড়বে। রাজস্থান, গুজরাত, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে লড়বে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশে সমন্বয় গড়ে তোলা দরকার। মহারাষ্ট্রে সরকার বদল হলেও সমন্বয় রয়েছে বিরোধীদের। উত্তরপ্রদেশে বিরোধীদের উচিত অকিলেশ যাদবের পাশে থাকা।
বিজেপির ৪০টি আসনে কোপ ফেলার অঙ্ক
জেডিইউ সভাপতি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিজেপির ৪০টি আসনে কোপ ফেলা সম্ভব। ২০১৯ সালের ফলাফল অনুযায়ী বিহারে ৪০টির মধ্যে ১৭টি, ঝাড়খণ্ডে ১৬টির মধ্যে ১১টি এবং বাংলায় ৪২টির মধ্যে ১৮টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। এবার সেই আসন বিজেপির কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া সম্ভব। তা করতে অঙ্ক কষে এগোতে হবে।