বিজেপি মিশন ২৪-এ ‘ডাবলে’র লক্ষ্যে, স্পেশ্যাল ১৯-এ নয়া টার্গেট খাঁড়া করলেন শুভেন্দু
বিজেপি মিশন ২৪-এ ‘ডাবলে’র লক্ষ্যে, স্পেশ্যাল ১৯-এ নয়া টার্গেট খাঁড়া করলেন শুভেন্দু
একুশে পরাস্ত হয়ে চব্বিশকে টার্গেট করেছে বিজেপি। মিশন ২৪-এর লক্ষ্যে দেড় বছর আগে থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে নেতৃত্ব। এই অবস্থায় এক এক নেতা, এক একরকম টার্গেট খাঁড়া করছেন। যদিও বিজেপি স্পেশ্যাল ১৯ কর্মসূচি চালু করতে চাইছে, তবু বিজেপি রাজ্য সভাপতি থেকে বিরোধী দলনেতার লক্ষ্য ভিন্ন।
স্পেশ্যাল ১৯-এর অভিযানে নেমে পড়েছে বিজেপি
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিপুল সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০২১-এ সেই সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি তারা। একুশের বিধানসভা নির্বাচন থেকেই পশ্চাদগমন শুরু। এই অবস্থায় ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে ঘুরে দাঁড়াতে নতুন পন্থা নিয়েছে বিজেপি। স্পেশ্যাল ১৯-এর অভিযানে নেমে পড়েছে তারা। বিজেপির তরফে এই মর্মে সাংসদদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বাংলা থেকে ২৫ আসন জয়ের টার্গেট রাখেন সুকান্ত
আবার কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে যে স্পেশ্যাল ১৯-এর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে, সেটাই শেষ কথা নয়। বঙ্গ বিজেপির তাদের মতো করে লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করতে শুরু করেছে। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ২০২৪-এর লোকসভায় বাংলা থেকে ২৫ আসন জয়ের টার্গেট রেখেছেন। তা নিয়ে কটাক্ষ করতেও শোনা গিয়েছে তৃণমূলকে।
বাংলা থেকে এবার ‘ডাবল’ লাভ পেতে চাইছেন শুভেন্দু
এবার শুভেন্দু অধিকারী রাখলেন আরও বড় টার্গেট। ১৯ বা ২৫-এ তাঁর সায় নেই। তিনি চাইছেন বাংলা থেকে এবার 'ডাবল' লাভ পেতে। অর্থাৎ গতবার যা প্রাপ্তি ছিল তাঁর দ্বিগুণ আসন প্রাপ্তি ঘটাতে। ২০১৯-এর ভোটে বাংলা থেকে ১৮ জন সাংসদ পেয়েছিল বিজেপি। এবার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৬ করাই লক্ষ্য শুভেন্দু অধিকারীর।
তৃণমূলে থেকেও বিরাট লক্ষ্যমাত্রা রাখেন শুভেন্দু
শুভেন্দু অধিকারী ২০১৯-এর ভোটের আগে তৃণমূলে থাকাকালীন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মিলিয়ে ৪২-এ ৪২ করার টার্গেট নিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কমে ২২ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ টার্গেটের অর্ধেক আসন জুটেছিল তৃণমূল। বিজেপির বড় উত্থান ঘটেছিল ২ থেকে বেড়ে ১৮ হওয়ায়।
‘ডাবল’ লক্ষ্যমাত্রা খাঁড়া করলেন শুভেন্দু অধিকারী
এখন শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে। বিজেপিতে গিয়ে তিনি 'ডাবল' লক্ষ্যমাত্রা খাঁড়া করলেন। তাঁর এই দাবি অবশ্য কেন্দ্রীয় বিজেপির দাবির সঙ্গে সাযুজ্য রেখে। কেননা কেন্দ্রীয় বিজেপি স্পেশ্যাল ১৯-এর লক্ষ্যমাত্রায় পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৯-এ যে ১৮টি আসন তারা পেয়েছিল, ২০২৪-এ তার সঙ্গে আরও ১৯টি আসন যোগ করে প্রবাস কর্মসূচি পালনে নামছে তারা। অর্থাৎ ১৮টির সঙ্গে আরও ১৯টি যোগ করে মোট ৩৭ আসনকে তারা টার্গেটে রাখছে।
বিজেপির পক্ষে ‘ডাবল’ ধামাকা কতটা বাস্তবিক
২০১৯-এর সাফল্য নিয়ে ২০২১-এ বিজেপি আশা করেছিল বাংলার পরিবর্তনের জোয়ার আনবে। কিন্তু আদতে দেখা যায় বিজেপির জয়যাত্রা ৭৭ আসন প্রাপ্তিতেই আটকে গিয়েছে। দুই শতাধিক আসনের টার্গেট নিলেও তাঁরা শোচনীয় ব্যর্থ। ব্যর্থ বিধানসভা ভোট পরবর্তী সমস্ত উপনির্বাচন ও পুর নির্বাচনেও। তারপর বিজেপির পক্ষে 'ডাবল' ধামাকা ঘটানো কতটা বাস্তবিক, তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।
২০২৪-এ ঘুরে দাঁড়াতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বিজেপির
বিজেপি ২০২৪-এ ঘুরে দাঁড়াতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। বিজেপি ফের বাংলায় উত্থান ঘটাতে চাইছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সেই মর্মে বাংলার দলীয় সাংসদদের কড়া বার্তা দিয়েছে। স্পেশ্যাল ১৯ কর্মসূচি সফল করার উপর জোর দিয়েছে। কিন্তু আরএসএসের তরফে সম্প্রতি যে সমীক্ষা রিপোর্টে সামনে আনা হয়েছে, সেখানে রয়েছে বঙ্গ বিজেপির জন্য একরাশ হতাশা।
আরএসএসের সমীক্ষা রিপোর্টে হতাশার ছবি
আরএসএস সম্প্রতি যে রিপোর্ট সামনে এনেছে তাতে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪-এর লোকসভায় তেমন কোনও আশা দেখা যাচ্ছে না বিজেপির জন্য। নতুন ১৯টি তো দূর-অস্ত, ২০১৯ পাওয়া ১৮টি আসন তারা ধরে রাখতে পারবে কি না তা নিয়েই সংশয় রয়ে যায়। সমীক্ষা রিপোর্টে প্রকাশ, বড়জোড় দুটি আসন পেতে পারে বিজেপি। তাও সেই দুটি আসন নিশ্চিত নয় বলে সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
হাল ছেড়ো না! কম ভোটে হারের আসনগুলি টার্গেট
তবু বিজেপি হাল ছাড়ার পাত্র নয়। তারা ২০২৪ নির্বাচনকে লক্ষ্য করে ঝাঁপাতে চাইছে। কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে সাফ জানানো হয়েছে, শুধু দলীয় কর্মীসভা বা সমাবেশ করে কিছু হবে না। এলাকার মানুষের কাছে যেতে হবে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। তবেই একমাত্র রক্ষা মিলবে। সেই লক্ষ্যেই স্পেশ্যাল ১৯-এর লক্ষ্যে 'প্রবাস' নামে জনসংযোগ কর্মসূচিতে নামছে তারা। যে সমস্ত আসনগুলিতে বিজেপি কম ভোটে হেরেছিল, সেই আসনগুলিই এই কর্মসূচির টার্গেট।
জ্যোতিরাদিত্যকে সামনে রেখে দমদম 'দখলে'র ছক! ২১ শে বড় চমক বিজেপি'র