বিজেপির অন্দরের কোন্দল আরও প্রকট! বিধানসভায় সুকান্ত-শুভেন্দুর অ-সাক্ষাতে জল্পনা তুঙ্গে
বিধানসভা এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তবু দেখা হল না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। সুকান্ত-শুভেন্দুর সাক্ষাৎ না হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হল।
বিধানসভা এলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, তবু দেখা হল না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। সুকান্ত-শুভেন্দুর সাক্ষাৎ না হওয়ায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হল। তবে কি বিজেপির অন্দরের কোন্দল এবার শুভেন্দু বনাম সুকান্তের মধ্যে পর্যবসিত হল?
বিধানসভা অধিবেশন চলছে। সমস্ত বিধায়করাই রয়েছেন বিধানসভায আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো থাকবেনই। আবার আসার কথা দলীয় রাজ্য সভাপতির। তখন সৌজন্যবশতঃ বিরোধী দলনেতা থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর এলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বিধানসভায় এসে প্রায় ২৫ মিনিট কাটিয়ে গেলেন বিরোধী দলনেতার ঘরে। সেখানে দলের বিধায়কদের একাংশের সঙ্গে কাটিয়ে গেলেন। তারপর তিনি ফিরে দেলেন রাজ্য দফতরে। কিন্তু তিনি যাওয়ার আগে শুভেন্দুর বিধানসভা ছেড়ে চলে যাওয়া নিয়ে বিজেপির ঘরোয়া কোন্দলকে সামনে আনা হচ্ছে।
বারবার বিজেপিতে আদি-নব্য দ্বন্দ্ব সামনে চলে আসছে। তারসঙ্গে তৎকাল নেতাদেরও কোন্দল প্রকাশ হয়ে পড়ছে। সম্প্রতি রটনা তৈরি হয়েছিল সুকান্ত মজুমদারকে সরিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে। সেই জল্পনার সূত্রপাত হওয়া থেকেই রাজনৈতিক মহলে উভয়ের গতিবিধি স্ক্যানারে চলে এসেছে।
শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদার কোথায় কী করছেন, তাঁদের কেন একসঙ্গে আর দেখা যাচ্ছে না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। এরই মধ্যে বিধানসভা বিরোধী দলনেতার ঘরে গিয়েও শুভেন্দু-সুকান্তের মিলিত না হওয়া সেই জল্পনার পারদ আরও ছড়িয়ে দিয়েছে।
একুশের নির্বাচনের পরে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে উত্তরবঙ্গের সুকান্ত মজুমদারকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করা হয়েছিল। আর বিরোধী দলনেতা নিযুক্ত হয়েছিলেন দক্ষিণবঙ্গের শুভেন্দু অধিকারী। দুই তরুণ-তুর্কি নেতাকে সামনে রেখে বিজেপি রাজ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর খেলায় নেমেছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে কোনও নির্বাচন এখন পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা।
তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপির নেতৃত্ব বদলের জল্পনা শুরু হয়। সেই জল্পনা ব্যতিরেকে গত দেড় বছরে বিধানসভার বাইরে সুকান্ত ও শুভেন্দুর একসঙ্গে থাকা, না থাকা, সভা বা মিছিলে একসঙ্গে হাঁটা বা না হাঁটা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। যদিও প্রকাশ্যে তাঁদের বিরোধী শুভেন্দু বা সুকান্ত কেউই তা মানতে চাননি।
রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিধানসভায় আসার কর্মসূচি বিজেপির মিডিয়া সে তাদের অফিসিয়াল গ্রুপে জানিয়েছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়, দুপুর দেড়টা নাগাদ বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে সুকান্তর বৈঠকের কথা জানানো হয়। কিন্তু বিজেপি বিধায়কদের একাংশ তা জানতেন না বলে দাবি করা হয়েছে। এরপর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ একাংশ বিধায়ক না উপস্থিত থাকা নিয়ে জল্পনা দানা বাঁধে।