ইউরোপের সমান সমুদ্রতলের এক-চতুর্থাংশের ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি! রহস্য উদ্ঘাটনে বিজ্ঞানীরা
ইউরোপের সমান সমুদ্রতলের এক-চতুর্থাংশের ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি! রহস্য উদ্ঘাটনে বিজ্ঞানীরা
আমরা পৃথিবীর মহাসাগর এবং সমুদ্রতল সম্পর্কে যতটা জানি, তার থেকে ঢের বেশি জানি চাঁদ বা মঙ্গল নিয়ে। মহাসমুদ্রের থেকে মহাকাশ নিয়ে আমাদের আগ্রহ বেশি। চাঁদের গর্ত এবা পৃষ্ঠ সম্পর্কে আমাদের আগ্রহ তো আছেই, কিন্তু মহাসমুদ্রের তলদেশে কী রয়েছে, তা কি আমরা জানার চেষ্টা করেছি। এবার সেই অজানাকে জানার জন্যই শুরু হল 'ম্যাপিং'।
সমুদ্রতলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ তথ্য এবং ডেটা সংগ্রহ
সমুদ্রের তলদেশের মানচিত্র তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা সমুদ্রের তলদেশের একটি ডিজিটাল মানচিত্র তৈরি করতে চাইছে। তার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তাঁরা সফলভাবে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রতলের প্রায় এক-চতুর্থাংশ তথ্য এবং ডেটা সংগ্রহ করেছেন। তা ম্যাপিং করে ফেলেছেন। বাকি কাজও দ্রুত শেষ করার চেষ্টা চালাচ্ছে সমুদ্র-বিজ্ঞানীরা।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসাগর সম্মেলনে মানচিত্র প্রকাশ
সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওসিয়ান কনফারেন্সে বা মহাসাগর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে সমুদ্র তীর ২০২৩০ প্রকল্পের গবেষকরা বলেছেন, সমুদ্রতলের ডিজিটাল মানচিত্রটি ২৩.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের চিত্র থেকে ১০.১ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার নতুন বাথমেট্রিক ডেটার বৃদ্ধি হয়েছে। সেই বর্ধিত মানচিত্র প্রকাশও করা হয় রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওসিয়ান কনফারেন্সে।
ইউরোপের আয়তনের সমান সমুদ্রতলের ম্যাপিং
সমুদ্রের তলার যে পরিমাণ অংশ ম্যাপিং করা হয়েছে তা এখন ইউরোপের আয়তনের চারপাশের একটি অঞ্চলের সমান এবং পৃথিবীর বৃহত্তম উষ্ণ মরুভূমি সাহারার চেয়ে সামান্য বড়। এরপর দ্রুত বাকি সমুদ্র তল ম্যাপিংয়ের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। এর ফলে জানা যাবে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রের তলদেশে কী কী অজানা জিনিস রয়েছে।
সীবেড ২০৩০ প্রকল্প কী?
দ্য নিপ্পন ফাউন্ডেশন এবং জেনারেল বাথিমেট্রিক চার্ট অফ দ্য ওসেনস-এর একটি সহযোগিতামূলক প্রকল্প হল সীবেড ২০৩০। সীবেড ২০৩০-এর লক্ষ্য হল বিশ্বের সমগ্র সমুদ্রের তলদেশ নিরীক্ষণ করা। নিপ্পন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মিৎসুউকি উন্নো নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসাগর সম্মেলনে প্রকল্পটি চালু হওয়ার পাঁচ বছর পর পরিসংখ্যান ঘোষণা করেছেন।
বিশ্বব্যাপী সমুদ্রতলের অজানাকে জানতে
মানচিত্রে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রতলের এলাকাগুলি দেখানো হয়েছে। যেগুলিকে জেনারেল বাথিমেট্রিক চার্ট অফ দ্য ওসেনস-এর গ্রিডের মধ্যে ম্যাপ করা বলে মনে করা হয়৷ ধূসর রঙের অঞ্চলগুলি ম্যাপ করা এলাকার কভারেজকে চিত্রিত করে এবং লাল রঙের এলাকাগুলি অতিরিক্ত কভারেজ দেখায়। গ্রহের ৭০ শতাংশেরও বেশি জায়গাজুড়ে সমুদ্র থাকা সত্ত্বেও তার তলদেশে কী রয়েছে সে সম্পর্কে জানতেই এই উদ্যোগ।
পৃথিবীর ৭০ শতাংশের নীচে কী রয়েছে
পৃথিবীর ৭০ শতাংশ জল বাকি স্থল। ওই ৭০ শতাংশের নীচে কী রয়েছে, তা নিয়ে আমাদের জ্ঞান মারাত্মকভাবে সীমিত। এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছাড়া আমরা গ্রহের বেশিরভাগ জিনিসই অজানা রয়ে যাবে। সেই কারণেই বিগত পাঁচ বছর ধরে সমুদ্রতল ২০৩০ প্রকল্পে ম্যাপিংয়ের কাজ চলছে।
মহাকাশ গবেষণার নতুন অধ্যায়, গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তন করতে নয়া পরীক্ষা নাসার