মস্তিস্ক ও প্রোস্টেট ক্যান্সারে কোষকে লক্ষ্যবস্তু করে ধ্বংস করার উপায় আবিষ্কার, কীভাবে কাজ করে এই পদ্ধতি
মস্তিস্ক ও প্রোস্টেট ক্যান্সারে কোষকে লক্ষ্যবস্তু করে ধ্বংস করার উপায় আবিষ্কার, কীভাবে কাজ করে এই পদ্ধতি
সারা পৃথিবীতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তাতে কিন্তু ক্যান্সার (Cancer) থেমে নেই। থেমে নেই তার ওপর গবেষণাও (research)। ইউসিএল-এর বিজ্ঞানীরা ক্যান্সালের চিকিৎসায় যুগান্তকারী থেরাপি আবিষ্কারের দাবি করেছেন। যেখানে এমআরআই স্ক্যানারকে ব্যবহার করে মস্তিস্কের মধ্যের ক্যান্সার কোষকে ম্যাগনেটিক সিডসের মাধ্যমে উত্তপ্ত করে এবং তাকে ধ্বংস করতে সাহায্য করছে। গবেষণা লব্ধ ফল ইতিমধ্যেই 'অ্যাডভান্সড সায়েন্স' জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা
এই
গবেষণা
চালানো
হয়েছে
ইঁদুরের
ওপরে।
মিনিম্যালি
ইনভেসিভ
ইমেজ
গাইডেড
অ্যাবলেশনের
মাধ্যমে
এই
কাজ
করা
হয়েছে।
এখানে
একটি
ফেরোম্যাগনেটিক
থার্মোসিডকে
এমআইআই
স্ক্যানারের
মাধ্যমে
তৈরি
ম্যাগনেটিক
প্র্যোপালশন
গ্রেডিয়েন্ট
ব্যবহার
করে
কাছের
ক্যান্সার
কোষগুলিকে
মেরে
ফেলে
টিউমারে
প্রবেশ
করানো
হয়।
গবেষণায়
যে
ফল
পাওয়া
গিয়েছে
তা
গ্লিওব্লাস্টোমা
মতো
ক্যান্সারের
চিকিৎসায়
যথেষ্টই
কার্যকরী।
এছাড়াও
এই
গবেষণা
লব্ধ
ফল
প্রোস্টেট
ক্যান্সারের
চিকিৎসায়ও
কার্যকরী
হতে
চলেছে।
গবেষকদের ব্যাখ্যা
সংবাদ
মাধ্যমে
প্রকাশিত
খবর
অনুযায়ী,
ইউসিএল
সেন্টার
ফর
অ্যাডভান্সড
বায়োমেডিক্যাল
ইমেজিং-এ
গবেষক
অধ্যাপক
মার্ক
লিথগো
বলেছেন,
মিনিমা
(মিনিম্যালি
ইনভেসিভ
ইমেজ
গাইডেড
অ্যাবলেশনের)
হল
এমআইআই-এর
মাধ্যমে
নতুন
এক
থেরাপি,
যা
সুস্থ
কোষগুলির
ক্ষতি
না
করে
টিউমার
কোষগুলির
চিকিৎসা
করে।
নতুন
এই
থেরাপি
পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়া
কম
বহলেও
দাবি
করেছেন
তিনি।
গবেষকরা
মিনিমায়
তিনটি
বিশেষ
উপাদানের
কথা
উল্লেখ
করেছেন।
যা
হল
প্রিসাইজ
সিড
ইমেজিং,
এমআইআই
সিস্টেম
ব্যবহার
করে
মস্তিস্কের
কোষের
মধ্যে
প্রবেশ
এবং
মাউস
মডেলে
গরম
করে
টিউমার
বাদ
দেওয়া।
এক্ষেত্রে
ব্যবহৃত
ম্যাগনেটিক
থার্মোসিডগুলির
ব্যাস
২
মিমি,
যা
মিশ্র
ধাতুতে
তৈরি।
গবেষকদের দাবি
গ্লিওব্লাস্টোমা রোগীদের সার্জারির পরে তাঁরা ১২ থেকে ১৮ মাস বেঁচে থাকেন। এই চিকিৎসায় সেই সময়কার বাড়বে এবং মস্তিস্কের মধ্যে কোষগুলির ক্ষতিও কম হবে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। অন্যদিকে বর্তমানে আটজন পুরুষের মধ্যে একজনের প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পড়ে। রেডিওথেরাপি কিংবা সার্জারিতে যেতে হয়। সেক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি প্রোস্টেট টিউমার কোষকে লক্ষ্য করে ধ্বংস করবে এবং স্বাভাবিক কোষের ক্ষতি কমাবে।
একইসঙ্গে থেরাপি ও রোগ নির্ণয়
এমআরআই স্ক্যানার এখন সাধারণ হাসপাতালেই পাওয়া যয়। এক্ষেত্রে গবেষকরা দেখিয়েছেন, এই থেরাপিতে এমআরআই স্ক্যানারকে রোগ নির্ণয়কারী ভূমিকা থেকে রোগের চিকিৎসায় ( থেরাপিউটির প্ল্যাটফর্ম) ব্যবহার করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে থেরাপি এবং রোগ নির্ণয়কে একটি ডিভাইসেই একসঙ্গে করা সম্ভব হচ্ছে। যা চিকিৎসার একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে।
প্রতীকী ছবি