প্রতিদিন মিনিট কুড়ির হাই ইন্টেনসিটি ওয়ার্কআউট, গড়ে তোলে কোভিড বিরোধী সুরক্ষা
Array
কোভিড - ১৯ এর ক্ষেত্রে ভারতের বিভিন্ন অংশে বড় প্রভাব দেখা গিয়েছিল। প্রথম তরঙ্গে বড় সমস্যা তৈরির পর দ্বিতীয় তরঙ্গে সবচেয়ে নাজেহাল হয়েছিল দেশের। সম্প্রতি চতুর্থ ঢেউ কয়েকটি রাজ্যে চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছিল। একটি নতুন গবেষণা বলছে যে বিশেষ কাজ করলে ভাইরাল সংক্রমণ এড়ানোর পথ সহজ হবে। গবেষকরা দেখেছেন যে নিয়মিত ব্যায়াম এবং শারীরিক পরিশ্রম সার্স কোভ ২ সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
গবেষকরা অনুমান করেছেন যে প্রতিদিন ২০ মিনিটের জন্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং ফিটনেস ব্যায়াম ভাইরাল মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং লড়াই করতে অনেকটা ক্ষমতা দেয়। এই উপসংহারটি একটি বৈশ্বিক ডেটা সেটের বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল যার লক্ষ্য ছিল শারীরিক কার্যকলাপ এবং সার্স কোভ ২ দ্বারা সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে সম্পর্ক নির্ধারণের লক্ষ্যে, যে ভাইরাসটি কোভিড-১৯ সৃষ্টি করে।
গবেষণার লক্ষ্য কী ছিল ?
ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে যে নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ প্রতিকূল কোভিড -১৯ ফলাফলের কম সম্ভাবনার সাথে সম্পর্কিত বলে মনে হয়। তারা হাইলাইট করেছে যে সপ্তাহে ৫০ মিনিটের মাঝারি-তীব্রতা বা ৭৫ মিনিটের জোরালো-তীব্র শারীরিক কার্যকলাপ দীর্ঘমেয়াদী উপকার দিতে পারে।
কীভাবে হয় এই গবেষণা ?
গবেষকরা
নভেম্বর
২০১৯
এবং
মার্চ
২০২২
এর
মধ্যে
প্রকাশিত
প্রাসঙ্গিক
গবেষণার
একটি
ডাটাবেস
বিশ্লেষণ
করেছেন
এবং
১.৮
মিলিয়ন
প্রাপ্তবয়স্কদের
অন্তর্ভুক্ত
করেন,
যার
মধ্যে
৫৪
শতাংশ
মহিলা
ছিলেন।
বেশিরভাগ
গবেষণা
দক্ষিণ
কোরিয়া,
ইংল্যান্ড,
ইরান,
কানাডা,
যুক্তরাজ্য,
স্পেন,
ব্রাজিল
এবং
ফিলিস্তিনের
মানুষের
মধ্যে
করা
হয়েছিল।
তথ্যগুলি
দেখায়
যে
যারা
নিয়মিত
শারীরিক
কার্যকলাপে
জড়িত
ছিল
তাদের
সার্স
কোভ
২
দ্বারা
সংক্রামিত
হওয়ার
সম্ভাবনা
১১
শতাংশ
কমে,
গুরুতর
কোভিডের
ঝুঁকি
৩৬
শতাংশ
কমে
এবং
৪৩
শতাংশ
মৃত্যুর
ঝুঁকি
কমে।
কী বলছে গবেষণা
গবেষকরা অনুমান করেছেন যে নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং কোভিড - ১৯ এর তীব্রতার কমাতে পারে। "আমাদের গবেষণা জনস্বাস্থ্যমূলক কাজ। পর্যাপ্ত শারীরিক ক্রিয়াকলাপে জড়িত থাকলে প্রতিরক্ষামূলক প্রভাবগুলিকে কতটা বেশি থাকে, গুরুতর কোভিড ১৯ এর ঝুঁকি কমাতে কতটা সুবিধা দেয় তা দেখতেই আমাদের এই কাজ।" তারা আরও উল্লেখ করেছে যে মানসম্মত পদ্ধতি এবং ফলাফল রিপোর্টিং সহ আরও অধ্যয়ন প্রয়োজন রয়েছে।
ভারতে করোনা
মঙ্গলবার ভারতে ৮৫৮৬ টি নতুন করোনভাইরাস সংক্রমণ মিলেছে, যেখানে সক্রিয় কেস ৯৬ হাজার ৫০৬টিতে নেমে এসেছে। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সক্রিয় কোভিড কেসলোডে ১,১৪২ টিতে নেমে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক অনুসারে দৈনিক পজেতিভিটির হার ২.১৯ শতাংশ এবং সাপ্তাহিক পজেতিভিটির হার ৩.৩১ শতাংশ।
অ্যালোপ্যাথি নিয়ে যথেচ্ছ সমলোচনার রামদেবের, তিরস্কার করল সুপ্রিম কোর্ট