মঙ্গলে চলছে প্রবল ধুলোর ঝড়, ল্যান্ড করা হেলিকপ্টারের ছবি পোস্ট করল নাসা
মঙ্গলে চলছে প্রবল ধুলোর ঝড়, ল্যান্ড করা হেলিকপ্টারের ছবি পোস্ট করল নাসা
বর্তমানে মঙ্গল গ্রহে শীতকাল। আর এই শীতকাল মানে ধুলোর মরশুম। এই সময় বাতাসে বেশি ধূলিকণা থাকে এবং সূর্যালোকও কম। এই কারণে নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মঙ্গলের মাটিতে তাদের হেলিকপ্টার ওড়ানোর পরিকল্পনা কিছুদিনের জন্য স্থগিত রেখেছে। এখন মঙ্গলের মাটিতে সূর্যের আলোয় হেলিকপ্টারগুলি ল্যান্ড করিয়ে দৈনিক চার্জের ব্যাক-আপ তৈরি করছে।
|
সৌরবিদ্যুৎ-চালিত ছোট্ট হেলিকপ্টার মঙ্গলে
বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, জুলাইয়ের শেষের দিকে ধুলোর মাত্রা কমবে মঙ্গলে। আবহাওয়ারও উন্নতি হবে, তখন আবার ল্যান্ড করা উড়োজাহাজ ওড়া শুরু করবে। মঙ্গলে যে উড়োজাহাজ ওড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তার নাম দেওয়া হয়েছে ইনগিনিউইটি। এটি আসলে সৌরবিদ্যুৎ-চালিত ছোট একটি হেলিকপ্টার।
উড়োজাহাজ উড়িয়ে লালগ্রহে তৈরি হয় ইতিহাস
২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে অবতরণ করেছিল এই হেলিকপ্টারটি। পারসিভারে্ন্স রোভারের সঙ্গে ওই হেলিকপ্টার অবতরণ করার পর ১৯ এপ্রিল প্রথম পৃথিবীর বাইরে অন্য কোনও গ্রহে হেলিকপ্টার ওড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সেদিন ৩৯.১ সেকেন্ড উড়েছিল উড়োজাহাজটি। সেইসঙ্গে লালগ্রহে তৈরি হয় ইতিহাস।
২৭ মে প্রকাশ হয়েছিল উড়োজাহাজ ওড়ানোর ছবি
এ বছরের মে মাসে নাসা রেকর্ড ২৫ বার উড়ান সম্পূর্ণ করে। সেই ফুটেজ নাসা প্রকাশ করেছে সম্র্রতি। প্রতি সেকেন্ডে ৫.৫ মিটার গতিতে ৭০৪ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছিল উড়োজাহাজটি। এটি এখন পর্যন্ত রোটারক্রাফ্টের দীর্ঘতম এবং দ্রুততম ফ্লাইট ছিল। ফ্লাইটটি উড়েছিল ৮ এপ্রিল। আর ২৭ মে মহাকাশ সংস্থা তা প্রকাশ করেছিল।
মঙ্গল গ্রহে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিল হেলিকপ্টারটি
মে মাসে ভিডিও প্রকাশের আগে, নাসাও ঘোষণা করেছিল, মঙ্গল গ্রহের হেলিকপ্টারটি যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছে। তবে সেই যোগাযোগ সাধন হয় খানিক পরেই। বোঝা যায়, হেলিকপ্টারটি খানিক সময়ের জন্য চার্জ হারিয়ে ফেলেছিল। ওই হেলিকপ্টারের ছ'টি লিথিয়াম-আয়নের ব্যাটারি চার্জ করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পায়।
ইনগিনিউইটি যাতে দিগনির্ণয় করতে পারে
জুন মাসে সেন্সর ও অ্যাকুয়েটরগুলির একটি প্রিফ্লাইট চেকআউট প্রকাশ করেছিল নাসা। হেলিকপ্টারের একটি সেন্সর যাকে ইনক্লিনোমিটার বলা হয়, তা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। নন ওয়ার্কিং সেন্সর দুটি অ্যাক্সিলোমিটার নিয়ে গঠিত এবং এর একমাত্র উদ্দেশ্য হল স্পিন আপ এবং টেক-অফের আগে মাধ্যাকর্ষণ পরিমাপ করা। যাতে ইনগিনিউইটি ঠিকঠাক প্রক্রিয়া মেনে দিগনির্ণয় করতে পারে।
অ্যাক্সিলোমিটার থেকে ডেটা ব্যবহার করে
ফ্লাইটের সময় ইনক্লিনোমিটা ব্যবহার করা হয় না। তবে বিজ্ঞানীরা এটি ছাড়াই টেক অফের আগে নেভিগেশন অ্যালগরিদম শুরু করার জন্য একটি নতুন উপায় খুঁজে বের করেছে। কিন্তু যেহেতু ইনগিনিউইটি ফের উড়ান শুরু করার জন্য অ্যাক্সিলোমিটার থেকে ডেটা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিল।
ছবি সৌ:টুইটার
মঙ্গলে প্রাণ খুঁজতে কঠিন প্রচেষ্টা, রোভার দিয়ে গভীর খননের পরিকল্পনা পৃথিবীতে বসেই