মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসছে পাথর-মাটি! কীভাবে তা সম্ভব, দেখুন ভিডিও
মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসছে পাথর-মাটি! অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন বিজ্ঞানীরা। আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি এসা লাল গ্রহ মঙ্গল থেকে মাটি ও পাথর আনার কাজ করছে।
মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে আসছে পাথর-মাটি! অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখালেন বিজ্ঞানীরা। আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি এসা লাল গ্রহ মঙ্গল থেকে মাটি ও পাথর আনার কাজ করছে। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা কীভাবে হচ্ছে তার ভিডিও-ও সামনে এসেছে নাসার সৌজন্যে।
নাসা ও এসার তরফে জানানো হয়েছে, আমরা ইতিমধ্যেই চাঁদ এবং গ্রহাণু থেকে নমুনা পৃথিবীতে এনেছি। মঙ্গল থেকে এই ধরনের নমুনা নিয়ে আসার প্রচেষ্টা এই প্রথম। আমাদের বিশ্বাস এই মিশনে আমরা সফল হব। শীঘ্রই পৃথিবীতে এসে পৌঁছবে মঙ্গল গ্রহ থেকে পাথর ও মাটির নমুনা।
দুই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও এসা ইতিমধ্যেই জেজেরো ক্রেটারে একটি প্রাচীন নদী ব-দ্বীপের তলদেশের একটি অঞ্চল থেকে নমুনা টিউব ডিপো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পারসিভারেন্স রোভারের সঙ্গে মিলিত হয়ে মঙ্গলে নমুনা রিটার্ন মিশন শুরু হয়েছে। পারসিভারেন্স রোভার ইতিমধ্যেই কেসিং ইউনিটে পৃষ্ঠ থেকে শিলা এবং মাটির নমুনা সংরক্ষণ করছে।
মঙ্গলের পৃষ্ঠ থেকে শিলা এবং মাটির নমুনা সংগ্রহের পর তা সংরক্ষণ করে কেসিং ইউনিটে রাখা হচ্ছে। জেজেরো ক্রেটারের দ্বারা সংগৃহীত নমুনাগুলি মঙ্গলের বিবর্তনের ইতিহাস বলতে সাহায্য করতে পারে। এর মাধ্যমে জানা যেতে পারে গ্রহের প্রাচীন জীবনের লক্ষ্মণগুলিও।
মঙ্গলের ব-দ্বীপের সূক্ষ্ম ও দানাযুক্ত পাললিক শিলা থেকে পাওয়া নমুনাগুলি বিলিয়ন বছর আগে হ্রদে জমা হয়েছিল। মঙ্গল গ্রহের নমুনাগুলি বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আগে হ্রদে জমা হয়েছিল। মঙ্গল গ্রহের জলবায়ু আজকের তুলনায় অনেক আলাদা ছিল। তখন জীবাণুর অস্তিত্ব ছিল কি না, নমুনা থেকে তার সূচকও মিলতে পারে।
নাসার পারসিভারেন্স রোভার ইতিমধ্যেই জেজেরো ক্রেটারের মাধ্যমে প্রাচীন নদী ব-দ্বীপের কাছে একটি এলাকা অন্বেষণ করে শিলা সংগ্রহ করেছে। সেই এলাকা কৌতুহলও বাড়িয়ে দিয়েছে। বেলে পাথরের শিলাচি সূক্ষ্ণ দানা দ্বারা গঠিত। তা জলের মাধ্যমে অন্যত্র বাহিতও হয়।
পারসিভারেন্স রোভারের বিজ্ঞানী কেটি স্ট্যাক মরগ্যান বলেন, আমরা এই ধরনের সূক্ষ্ম দানাযুক্ত পাললিক শিলা নিয়ে গবেষণাকে প্রাধান্য দিই। আমরা মঙ্গলে ওই ধরনের পাললিক শিলা খুঁজে পাওয়ায় মঙ্গলের বিবর্তনের ইতিহাস জানার সম্ভাবনা বেড়েছে। এবং ওই শিলায় বেশ কিছু ছাপও লক্ষ্যণীয়। এর ফলে মঙ্গল থেকে আরও অনেক কিছু অজানা জানার আশায় বিজ্ঞানীরা।