আকাশে দেখা যাবে বিরল ‘সুপার থান্ডার মুন’, পূর্ণিমার থেকেও উজ্জ্বল চাঁদের দর্শনের অপেক্ষা
আকাশে বিরল চাঁদ দর্শনের অপেক্ষায় মহাকাশপ্রেমীরা। স্টারগ্যাজারদের জন্য নক্ষত্রময় আকাশে আলোর রোশনাই ছড়াতে আসছে বিরল ‘সুপার থান্ডার মুন’। যা সাধারণত দেখা যায় না মহাকাশে।
আকাশে বিরল চাঁদ দর্শনের অপেক্ষায় মহাকাশপ্রেমীরা। স্টারগ্যাজারদের জন্য নক্ষত্রময় আকাশে আলোর রোশনাই ছড়াতে আসছে বিরল 'সুপার থান্ডার মুন'। যা সাধারণত দেখা যায় না মহাকাশে। এবার সেই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে মহাকাশপ্রেমীরা প্রহর গুণতে শুরু করেছে। রাতের আকাশকে মোহময়ী করে তুলবে এই চাঁদ।
কবে আসবে সেই শুভক্ষণ
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে খুব শীঘ্রই রাতের আকাশে দেখা যাবে বিরল 'সুপার থান্ডার মুন'। আসন্ন পূর্ণিমায় চাঁদ যেমন বড় আকারে দেখতে পাবেন আকাশে, তেমনই তার দীপ্তি আপনাকে চোখ ফেরাতে দেবে না। সেই চাঁদের জ্যোৎস্নায় মন ভরিয়ে নিতে চাইবেন মহাকাশপ্রেমীরা। আসছে সেই দিন। ১৩ জুলাই বুধবার। সূর্য অস্ত গেলেই চোখ রাখুন মহাকাশে। দেখতে পাবেন সুপারমুন।
এ চাঁদের জ্যোৎস্না অপরূপা
সারা বছর পূর্ণিমায় যে চাঁদ দেখতে পান, সেই চাঁদ যে আলোকচ্ছটা ছড়িয়ে গেন পৃথিবীতে এই বিরল 'সুপার থান্ডার মুন'-এর আলো হবে আরও ভাস্বর। আরও উজ্জ্বল পূর্ণিমায় পৃথিবীর আকাশ-বাতাস হয়ে উঠবে অপরূপ সুন্দর। বিরল সুপার থান্ডার মুনের এই আলোয় সুন্দর হয়ে উঠবে প্রকৃতি। রাতের আকাশের শোভা বাড়িয়ে দেবে বহুগুণ।
সুপার মুনের আলোক-ছটা পৃথিবীর বুকে
জ্যোতির্বিজ্ঞানে গ্রীষ্ম শুরু হয় ২১ জুন। সেই অনুযায়ী গ্রীষ্মের প্রথম পূর্ণিমা এই ১৩ জুলাই। প্রথম পূর্ণিমায় চাঁদ আরও ভাস্বর রূপে প্রতিভাত হয় আকাশে। মেঘমুক্ত আকাশকে ভরিয়ে দেয় তাঁর আলোয়। সেই ছটা ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে। চাঁদ যখন পৃথিবী প্রদক্ষিণ করে, কখনও কাছে থাকে, কখনও সরে য়ায় দূরে। যখন সবথেকে কাছে থাকে, তখনই দেখা যায় সুপার মুন। এই সুপার মুন প্রতিবার যে পূর্ণচন্দ্র দেখা যায়, তার থেকে একটু বড়। এবার সুপার থান্ডার মুন দেখা যাবে অনেকটাই বড় আকারে। স্বাভাবিকভাবে তার আলোও বেশি হবে।
কবে কবে সুপারমুন দর্শন
নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, সুপারমুন বছরে মাত্র তিন থেকে চারবার দেখা যায়। অনের সময় এটা পর পর দেখা যায়। ২০২২ সালে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার দেখা যাচ্ছে সুপারমুন। বছরের প্রথম সুপারমুনটি দেখা গিয়েছিল জুন মাসে। বছরের তৃতীয় ও শেষটি অগাস্টেই দেখা যাবে। গ্রীষ্ম চলে গেলে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের পর আর সুপারমুন দেখার সম্ভাবনা থাকবে না। অর্থাৎ চাঁদ তখন পৃথিবী থেকে অনেক দূরে সরে যাবে।
সুপার মুনের নামকরণ
কিন্তু এবার সুপার মুনের নাম সুপার থান্ডার মুন হল কেন। জুলাই মাসে ঘন ঘন বজ্রপাতের কারণে ওল্ড ফার্মার্স অ্যালম্যানাক অনুসারে পূর্ণিমাকে কখনও কখনও থান্ডার মুন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তেমনই অনেক সময় পূর্ণিমার ডাক নাম অনুসারে বক মুন, বেরি মুন, হাউওয়ে সামার মুন প্রভৃতি হয়ে থাকে।
চার গ্রহের সমাবেশে চাঁদ
তবে বুধবার রাতের আকাশে সুপার থান্ডার মুন একা থাকবে না। গভীর রাতে চাঁদের পাশে দেখা যাবে শনিকে। চাঁদের ঠিক বামদিকে দেখা যাবে তা। পূর্ব আকাশে একই সঙ্গে দেখা যাবে বৃহস্পতি ও মঙ্গল গ্রহকে। আর আকাশে তো রয়েইছে শুক্রের উপস্থিতি। ফলে এক আকাশে চার গ্রহের সমাবেশে চাঁদ উপস্থিত থাকবে পৃথিবীর প্রতিনিধি হয়ে।