ডাইনসোরকে হত্যাকারী গ্রহাণুর সন্ধান চাঁদে! মিল পাওয়া গিয়েছে পৃথিবীর মাটির সঙ্গেও
ডাইনসোরকে হত্যাকারী গ্রহাণুর সন্ধান চাঁদে! মিল পাওয়া গিয়েছে পৃথিবীর মাটির সঙ্গেও
চিনের চ্যাং ৫ চাঁদ থেকে পৃথিবীতে একাধিক নমুনা এনেছে। সেখান থেকে বিস্ময়কর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা চাঁদে এমন গ্রহাণুর সন্ধান পেয়েছে, তার সঙ্গে পৃথিবীর সব থেকে বড় উল্কাপিণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মনে করা হয়, পৃথিবী থেকে ডাইনোসরের অবলুপ্তির নেপথ্যে ওই উল্কাপিণ্ড রয়েছে।
চাঁদের মাটির সঙ্গে পৃথিবীর মাটির মিল
চ্যাং-৫ চাঁদের মাটি নিয়ে এসেছে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, প্রাচীনকালে পৃথিবীর মাটির সঙ্গে চাঁদের মাটির অনেক মিল রয়েছে। ২০২০ সালে চিনের মহাকাশ যান চাঁদ থেকে একাধিক নুমনা পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিল। সেই মাটি পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, উল্কাপিণ্ডের প্রভাবে যে তাপ ও চাপের সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সিলিকেট কাচের কণাগুলি পাওয়া যায় তা চাঁদের মাটির অন্যতম প্রধান উপাদান। এগুলি সাধারণত কয়েক দশ মাইক্রোমিটার থেকে কয়েক মিলিমিটার পর্যন্ত হয়। এদরা মূলত গোলাকার, ডিম্বাকৃতি বা ডাম্বেল আকারে হয়ে থাকে।
ডাইনোসরের অবলুপ্তির কারণ
চাঁদের এই সিলিকেট কাঁচের কনাগুলো কীভাবে গঠিত হয়েছিল, তাই নির্ধারিত করতে বিজ্ঞানীরা মাইক্রোস্কোপিক বিশ্লেষণাত্মক কৌশল, সংখ্যাসূচক মডেলিং এবং ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষার সাহায্য নিয়েছিলেন। তাঁরা গবেষণায় দেখেছেন, চন্দ্রের কাচের কনাগুলোর সঙ্গে ডাইনোসরের বিলুপ্তির ঘটনার জন্য দায়ী চিকক্সুলুব ইমপ্যাক্ট ক্রেটার সহ কিছু প্রভাবের সঙ্গে অবিকল মিল রয়েছে।
সৌর জগৎ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
সায়েন্স
অ্যাডভান্সেস-এ
প্রকাশিত
গবেষণায়
প্রধান
লেখক
অধ্যাপক
আলেকজান্ডার
নেমচিন
জানিয়েছেন,
গবেষণায়
দেখা
গিয়েছে
যে
পৃথিবীতে
অনেক
বড়
প্রভাবের
সঙ্গে
চাঁদের
মিল
রয়েছে।
উদাহরণ
হিসেবে
তিনি
বলেছেন,
৬৬
মিলিয়ন
বছর
আগে
Chicxulub
crater
এর
সহ
অনেক
কিছুর
সঙ্গে
চাঁদের
মিল
পাওয়া
গিয়েছে।
যদি
এটি
সঠিক
হয়,
এই
প্রমাণগুলো
চাঁদের
সম্পর্কে
অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য
দেয়।
পৃথিবী
বা
অভ্যন্তরীণ
সৌরজগতের
প্রভাব
সম্পর্কে
মূল্যবান
তথ্য
যে
নতুন
করে
বিজ্ঞানীদের
হাতে
এসে
পড়েছে
তা
নতুন
করে
বলার
অপেক্ষা
রাখে
না।
চাঁদে রাসায়নিক বিক্রিয়া
চিনের মহাকাশযান চ্যাং-৫ যে নমুনা সংগ্রহ করেছে, সেখান থেকে চাঁদের মধ্যে যে অসংখ্য গর্ত রয়েছে, তার বয়স নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি চাঁদে কী ধরনের রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটেছিল, তা প্রকাশ্যে আনতে সাহায্য করবে। যার জেরে চাঁদের সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ্য আসবে। তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
পুজোর চার দিন কলকাতা ও বাংলার জেলাগুলির কোথায় কতটা বৃষ্টি, আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস